১.
"অমুক নির্যাতিতা যদি আপনার মা বোন স্ত্রী বা মেয়ে হতো..."
এই জাতীয় বক্তব্যগুলো ইদানীং ধুপ করে মাথায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
কেন রে পিশাচ?
কেবল নিজের মা মেয়ের সাথে অন্যায় হলেই প্রতিবাদ করবি?
অন্যের মা কি মা নন? আরেকটা মেয়ে কি মানুষ নয়?
অন্যের স্ত্রী কন্যা কি যার যা খুশি তাই করার সুযোগবিশেষ?
যদি তাই হয়, যদি নির্যাতিতা নিজের মা মেয়ে না হলে বিবেক না জাগে,
তবে বলবো - আগে মানুষ হ, এরপর বাকি সব প্রতিবাদ করিস।
নির্যাতিতাকে নিজের মায়ের বা মেয়ের মতো ভাবার লোকদেখানো ঔদার্য প্রদর্শনের আগে
তাকে অন্তত মানুষ বলে ভাবতে অনুশীলন কর।
আখেরে ফায়দা হবে।।
২.
এখন হঠাৎ করে ধর্ষণের খবর বেড়ে গেছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। কেন?
কারণ এ ধরণের সংবাদে মানুষ আগ্রহী হচ্ছে বেশি - তাই..
ঠিক যেমনটি দিল্লির বাসে পাশবিক ঘটনার পর দেখা গিয়েছিল,
ঠিক যেমনটি রাজনের উপর নির্যাতনের পর দেখা গিয়েছিল - তেমনি।
ভাবখানা এমন যেন,
আগে এই বঙ্গদেশেতে এরকম অভূতপূর্ব ঘটনা জন্মেও ঘটে নি!!
কস্মিনকালেও এ পুণ্যভূমিতে এরূপ হয় নি কভু!!!
ভুল হলে ক্ষমা করো প্রভু!!!! সভ্যতার বাত্তি ফিউজ - নিভু নিভু..
ভুঁইফোড়২৪ ডট কম গুলোতে এসব নিয়মিত দেখা যেতো, দেখা যায়।
এখন মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোও মেতে উঠেছে এইসব অসভ্যতায়।
দুদিন পরে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরে গেলেই আবার কব্বরের নিস্তব্ধতা নেমে আসবে এসব বিষয়ে।
যেন তখন আর এসব ঘটবেই না..
৩.
জয়গান গাহি সভ্যতার,
জয় সভ্যরুপী অসভ্য মানুষের..
পুনশ্চঃ ইয়ে, উপরিউক্ত সব বক্তব্য কল্পনাপ্রসূত।
এই পুতঃপবিত্র ভূখণ্ডে এমন কিছু হতেই পারে না।
এ আমি বিলক্ষণ জানি..
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯