আগে স্ট্যটাসটা দেখে নিন।
রবিন -- ইউ নো দোস্ত,এটা ফেব্রুয়ারি মাস। এই মান্থে আমাদের শহীদরা আমাদের ল্যাংগুয়েজ এর জন্য লাইফ দিয়েছে। সো, আমাদের কিছু করা উচিত এই মান্থ এ।
টিটু -- ওকেয় দোস্ত, তুই হামেশার মত রাইট কথাটাই বলছিস। আমাদের বাংলা ল্যাংগুয়েজ এর মত সুন্দর ল্যাংগুয়েজ আর কয়টা আছে? আর এর হিস্টোরি টাও কত গ্রেট ভাব একবার। ল্যাংগুয়েজ এর জন্য কয়টা কান্ট্রির মানুষ এভাবে জিন্দেগি কুরবান করছে? ড্যাম শিট, বাঙালি পিপাল এর কিমাত বুঝেনা ...
রবিন-- ওকেয় আমরা টুয়েন্টি ফার্স্ট ফেব্রুয়ারি তে নাঙ্গে পাও ফুল নিয়ে শহীদ মিনার এ যাব, দেন শিশা লাউঞ্জ এ হ্যাং আউট করবো,রিয়া অ্যান্ড জেনি ও আস্তেসে ... মাজা আয়েগা !!!
টিটু-- অচাম শালা, ইয়ে হুয়ি না বাত ...
(বি.দ্রঃউপরের স্ট্যাটাস টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, কারো চেনা জানা পাকনা পুলাপাইন এর সাথে ইহা মিলে গেলে একান্তই কাকতালীয় আর মিল খুজতে চাইলে নিজ দায়ীত্বে খুজবেন, আমাকে কিছু বলবেন না)
(বি.বি.দ্রঃ বাংলা ভাষার মত চমৎকার ভাষা কোথাও নাই
(সংগৃহীত)
আজকে খুব বেশী ভালো লাগতেছিলো না। বুকের মাঝে একটা চাপ অনুভব করছিলাম। তাই দুই দিন পর চাকরীর ইন্টারভিউ আর পরীক্ষা থাকার পরও কিছু পরতে ইচ্ছে করছিলো ন।
অনেক খন সামুতে গুতিয়ে পড়ার মত ভালো কিছু না পেয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম। এক গ্রুপে ঢুকে দেখি একটা স্ট্যাটাস। পরার পর মনে হল আমাদের বাংলা ভাষার দূর্দশা প্রকাশ করার জন্য এই একটা স্ট্যাটাসই যথেষ্ট।
ভাষাকে কি আমরা আবদ্ধ করে রাখতে পারি? কখনোই না। এটি পরিবর্তিত হবেই। এর অভ্যন্তরিন শব্দে পরিবর্তন আসবে। নতুন শব্দ প্রবেশ করবে এবং কিছু শব্দ হারিয়ে যাবে।
কিন্তু এই পরিবর্তন যখন দ্রুত আসে তখন কি হয়। রোগের নামটা ভুলে গিয়েছি। মানুষের বয়স বাড়বেই কিন্তু যে রোগের কথা বললাম সেই রোগের কারনে ১০ -২০ বছরের মধ্যেই মানুষ ৮০-৯০ বছরের বুড়ার মত হয়ে যায়। ফলে বেশী দিন বাচে না। আমাদের ভাষার অবস্থাও সেদিকেই যাচ্ছে।
অনেকেই বাংলা ভাষার এই পরিবর্তন কে স্বাভাবিক বলেন। দুই কারনে। ইংরেজী না হলে আমাদের চলবে কি করে? আর ভাষার তো পরিবর্তন হবেই।
ইংরেজী না হলে আমাদের চলবে না আমিও তা স্বীকার করি। কিন্তু তার আমাদের দৈন্দিন জীবনে ব্যবহার না করলেই কি নয়। প্রযুক্তি বিষয়ক বা বিজ্ঞান বিষয়ক ভাষাগুলোকে আমরা ব্যবহার না করে পারি না। কিন্তু Thanks, Papa, Welcome, Happy Birthday To you, Sorry, excuse me, good bye, good night, you are looking so sexy and hot, beautiful, girl firend, boy friend, টাইপের যে কথাগুলোর আমরা সহজেই বাংলা ব্যবহার করতে পারি তার কেন ইংরেজী ব্যবহার করা। অনেক বাংলা শব্দ আছে আমরা ব্যবহার না করতে করতে এখন মনে করছি এগুলো দিয়ে সঠিক ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যখন বলে এই কথা তখন দুঃখ না পেয়ে থাকতে পারি না।
বুঝলাম ইংরেজী দরকার আছে কিন্তু তাই বলে হিন্দি। ইংরেজী আমাদের যে ক্ষতি করেছে তার চাইতে হাজারগুণ বেশী ক্ষতি করছে এই হিন্দি। আমি যখণ দেখি আমার ফেসবুক লিস্টের অনেক বন্ধু হিন্দিতে স্ট্যটাস দিচ্ছে তখন রাগে দুঃখে শুধু কাঁদতে বাকি রাখি। এমন অনেককেই আমি বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছি।
পরিবর্তন আসবেই। সেই পরিবর্তন ভালো পথে আসবে না খারাপ ভাবে আসবে তা নির্ভর করবে আমাদের উপর।
যে ভাষার জন্য কিছু মানুষ জীবন দিয়েছে সেই ভাষার এই অপমৃত্যু আমরা হতে দিতে পারি না।