somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুতোঁর টানে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সুখের দিনে প্রতিশ্রুতি হোক আর কষ্টের দিনের , যার চলে যাবার ইচ্ছে সে যে কোনভাবেই চলে যেতে পারে । মানুষকে ধরে বেঁধে রাখার জন্য কোন সুঁতো আজ পর্যন্ত তৈরী হয় নি । যতক্ষন থাকে মনের বাঁধন দিয়ে বাঁধা সুঁতোর টানে থাকে । মনের বাঁধনও নাকি আধুনিকতার কাছে বেকার । আমার/আমিত্ব/স্বার্থপরতার দুনিয়াতে ইমোশন বেকার । স্বর্ণের নুপুর হলেও তার জায়গা গোড়ালির নিচে পায়েই থাকে । আবার সামান্য এক পয়সার টিপ ও কপালে মানায় । আমরা মানুষ রা আসলেই পেছনে ফিরে তাকাই না । ভুলে যাই সু :সময়ে । মূল্যহীন স্বর্ণ আর মূল্যবান টিপের পারাক অনেক অনেক ।

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ সোজা পথে চলাচল করা থেকে ত্যাড়া পথে চলতে পছন্দ করে । ভালোবাসা শব্দটি এখন ডাস্টিবেনের পোকায় পরিনত হয়েছে । কাউকে মন দিল দিয়া ভালোবাসবেন দেখবেন লাথ্থি মাইরা চলে গেছে । আবার মনে করেন কাউরে পাত্তা না দিন দেখবেন সেই মানুষটির কাছে আপনি সবচেয়ে মূল্যবান মানুষ । কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তার সক্ষমতা তার দুনিয়া দেখান দেখাবেন কিছুদিন পর সেই দুনিয়া দেখানোর জন্য আপনাকে দারোয়ানের পোস্ট দেওয়া হবে ।

আধুনিকতার হাল আমলে পশ্চিমা দেশের বাতাস তাদের থেকেও এশিয়ান ও অনুন্নত দেশগুলোতে বেশী । নতুন করে রেনেসাঁর আধুনিকতার জোয়ারে এরা কাউয়া আধুনিক হয়ে পড়েন । যেমন আমাদের এশিয়াতে সুন্দরের ডেফিনেশন সাদা ছামড়ায় । সাদা চামড়া আশেপাশে রাখা মানে জাদুঘর রাখা । যাস্ট শো অফ । ওয়াও আপুর বর বেদেশী, ওয়াও ভাইয়ার বৌ টা বিদেশী । দিল্লি কা লাড্ডু খাইলেও যাহা না খাইলেও তাহা । যদিও টিস্যু রুমালের কাজ করে সময়ে অ-সময়ে ।

বর্তমান সময়ে সবেচেয়ে বড় বিষবাষ্পের নাম নারী স্বাধীনতা । এর প্রখরতা অনেক কঠিন । একদল বাপ-মা খেদানো জামাই খেদানো না বুঝেই হয়ে পড়েন প্রগতীশীল । জামার থেকেও এরা হ্যাঙ্গার হতে বেশী পছন্দ করেন । স্বাধীনতার অপব্যাবহার, স্বাধীনতার নামে খাই খাই করা,স্বাধীনতার নামে নষ্ট স্রোতের অভিযাত্রী , বর রেখে অটো বয়ফ্রেন্ড নিয়ে চলতে সবচেয়ে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এরা । এরা আবার মানুষকে জ্ঞান বিলান । মুতিভেবশ স্পিচ দেন যদিও সপ্তাহে দুইবার সাইকো ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন মেন্টেলি ডিজ অর্ডারের জন্য । দুধওয়ালার কাছে পানি যেমন ইম্পর্টেন্ট তেমনি মদওয়ালার কাছেও ইম্পর্টেন্ট ।

আবার পুরুষশাসীত সমাজ ব্যাবস্থা স্টাবলিস্ট করার জন্য পুরুষবাদী গো কারনে নারীবাদী মানুষদের পোহাতে হয় । এরা নারী কে সম্মান করলেও বিনিময়ে অবজ্ঞা মিলে । কারন আপেল বাগানে জন্মনেওয়া দশটি চেরী গাছ থাকলে সেটিকে কেউ চেরী ফলের বাগান বলবেন না সেটিই স্বাভাবিক । সবাই কৃত্রিম খেতে খেতে, কৃত্রিম সুখ খুঁজতে খুঁজতে দিনকে দিনকে দিন যান্ত্রিক আর নাটকীয়তায় উপনীত হচ্ছে ।

যদি ব্যর্থতার রাতে ঝুম বৃষ্টি হয়ে কষ্ট রা নামে মনের উঠোনে পাশের চেয়ার খালি পড়ে থাকে,যদি আমি একজন অর্ধাঙ্গিনীর বিপরীতে একজন মার্গারেট থেচার পাই, যদি কথার মিছিলে হারায়ে যাই, দু ফোঁটা গরম জল মোছার জন্য দু হাত না পেয়ে টিস্যুত্ নির্ভর করি তবে আমি প্রকৃতির মতন একদিন স্বাভাবিক হয়ে যাবো , অভ্যস্ত হয়ে পড়বো । সেদিন আমার একা আত্নার সাথে আমি কথা বলবো আর সেদিন অপেক্ষায় থাকা একটি ম্যাসেজের পরিবর্তে শত ম্যাসেজ আমার উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না । মানুষ কষ্ট পাবার জন্য কাঁদে না,কাঁদে তার হৃদয় একা হয়ে যাবার জন্য __________
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×