১৭১২ সালে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ হিন্দুস্থানে আবির্ভাব হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নামে । তখন কাশ্মীর ছিল আফগান দুররানী সম্রাট যারা ১৭৪৭ সাল থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করেন । অমৃতসর চুক্তি অনুসারে জম্মুর রাজা গুলাব সিংহঅঞ্চলটি ব্রিটিশদের কাছে থেকে ক্রয় করেন এবং কাশ্মীরের নতুন শাসক হন। ১৯৪৭ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু অঞ্চলে হিন্দু মুসলিম ভেজ করে দুটো দেশের জন্ম দিয়ে যায় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদী'রা । তখনই শুরু হয় কাশ্মীর ইস্যু । ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাঁর বংশধরগণ ব্রিটিশ রাজমুকুটের অনুগত শাসক হিসেবে কাশ্মীর শাসন করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় অঞ্চলটি একটি বিবদমান অঞ্চলে পরিণত হয়। বর্তমানে অঞ্চলটি ভারত, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিভক্ত। এ আসা আর যাওয়া হয় নি আজও ভারতের । ভারতের চলতে থাকা গায়ের জোরের বয়স ৭১ বছর ।
বিদ্যমান কনফিল্কট নিয়ে দু দেশ তাদের জলপাই রঙের দাপট দেখাচ্ছেন খুব সুরত কাশ্মীরে ।বিশেষ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৯৮৯ সালে থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে । ১৯৪৭-এ দেশভাগের আগে পর্য্যন্ত হিন্দু মহারাজাদের অধীনে কাশ্মীর শাসিত হয় যদিও জম্মু ও লাডাখ অঞ্চল ছাড়া সমগ্র রাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যার আধিক্য ছিল বেশি। যদিও ভারতের জনসংখ্যা পাকিস্তানের পাঁচ গুণ বেশি তবে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সমান।
পাকিস্তানের পাকিস্তান রেন্জার্স / পাকিস্তান স্থলবাহিনী/ ইন্টার সার্ভিসস ইন্টেলিজেন্ট এবং সাথে চায়নার বন্ধুত্বপূর্ণ হাত । আর ভারতের ইন্ডিয়ান আর্মি/বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স , রিচার্স এন্ড এনালাইসিস উইংস ।সংখ্যাগরিস্টতায় মুসলিম থাকার ধরুন কাশ্মীরের রাজনৈতিকদলগুলো ধর্মীয় দলগুলোকে সাপোর্ট করেন অথচ ভারত জুম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট / হিজবুল মুজাহিদিন এদের আখ্যায়িত করেছেন সন্ত্রাসী অরগানাইজেশন হিসেবে । ৪৩% জায়গা জোর পূর্বক ভারত দখল করছেন আর ৩৭% দখলে নিয়েছেন পাকিস্তান এর মধ্যে আছে আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্থানের উত্তরাঞ্চল ।
কাশ্মীরের জনগন এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধের কারন একটিই সেটি হল স্থানীয় কনফ্লিক্ট । বলা চলে সেখানে ভারতও পাকিস্তান গায়ের জোর দেখাচ্ছেন । ভারতের এ আসা যে আর কখনও ফেরত যাওয়া হবে না কাশ্মীর থেকে হয়ত তারা বুঝতে পারে নি । কাশ্মীর কনফ্লিক্টে আরেক প্রতিবেশী দেশ চায়না যারা আয়নার ভূমিকা পালন করেন কিন্তু কোন কথা বলেন না ।
শুধু শাকসাই উপত্যকা ও আকসাই চীন নিজেদের দাবী করে নিয়ে গিয়েছেন । ১৯৪৭/১৯৬৫/কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালে তিনটিতেই বলা হয় পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ হয়েছে , কাশ্মীর বলতে কোন শব্দ যোগ হয় নি । দুনিয়ায় যদি কোন জান্নাত থেকে থাকে সেটি কাশ্মীর । আজকে জলপাই রঙের দাপটে জান্নাতের খুশবু লোপ পেয়ে গেছে । নরক বনে গেছে । কাশ্মীরি ভ্রুনের রক্তে গঙ্গা চলছে কাশ্মীরের রাজপথে । সিভিলিয়ানরা একেকজন ভূয়সী প্রশংসনীয় সাহসী সত্যিকার অর্থে আজকে যদি সাহসীকতার জন্য নোবেল দেওয়া হত প্যালেস্টাইন এবং কাশ্মীরের পাথর হাতে প্রতিটি তরুন যোদ্ধা নোবেল পাবার যোগ্য ।
দুই কুকুরের কামড়াকামড়িতে একটি জাতিস্বত্তা রক্ত ঝরাচ্ছেন । বলা চলে কাশ্মীর এখন কসাই স্কোয়ার্ড । আমার সুমিত জ্ঞানে আমি বুঝি না পৃথিবীতে এত সংখ্যক মানুষ শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন । নোবেল পাচ্ছেন যেমন খুশী তেমন সাজোর মতন । কিন্তু বিদ্যমান প্যালেস্টাইন ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কোন শান্তিবার্তা দিতে বুঝি একজন লোকও নেই ? পৃথিবীর ক্ষমতাবানরা কোথায় ? আজ কাশ্মীরের সিভিলিয়ানের উপর ভারত এবং পাকিস্তান যে অন্যায় কিংবা গায়ের জোর চালাচ্ছেন সে জান্নাতে উদ্বিগ্নতায় থেকেও আল্লামা ইকবাল বরং সেই চোরদের প্রতি ভালোবাসার কবিতা লিখেছিলেন______
যায়ে যাহা হ্যা আচ্ছা,
হিন্দুস্থান হামারা ।