গতকাল দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তজির মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতি বছর ন্যায় জমে ওঠে রাসমেলার উৎসব।বাঙালি হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণের একটি হলো রাস উৎসব।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষের কোনো এক ভরা পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাস মেলার। অন্য একটি মতে , শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষ্যেই পালিত হয়ে আসছে রাস উৎসব।।ইহা একটি ধর্মীয় উৎসব।আমাদের সংবিধান তা নিবিঘ্নে পালন করার গ্যারান্টি দেয়।কিন্তু,গতকাল কান্তজির মন্দির প্রাঙ্গণে জমে ওঠা রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ১০ জন।
ধর্ম পালনের অধিকার রাষ্ট্র সকল কে সমান ভাবে দিয়ে থাকলে হয়ত রাষ্ট্রীয় প্রশাসন গতকাল এই ঘটনা ঘটতে দিত না ।কারণ , ইহার ব্যাপ্তি খুব অল্প পরিসরে ছিল ।যার নিরাপত্তা খুব সহজে দেয়া যেত ।কিন্তু তা হয়নি ।হয়ত কেউ মারা না যাওয়ায় মিডিয়া এইটা নিয়া নাড়াচাড়া করবে না ।কিন্তু একটা প্রশ্ন ,আমরা কতটুকু নিরাপদ ।কোন ঈদের মাঠে কিংবা দূর্গা পূজায় এই ঘটনা তো ঘটল না ।কারণ , এইটা তে প্রচার বেশি ।সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে তাই কঠোর নিরাপত্তা ।তিনি শিয়া তাই তাহার ধর্ম উপসনালয়ে গিয়ে তাদের ইমাম কে হত্যা করা হল ।কেউ কিছু করল না তাদের রক্ষায়।তারা কি রাষ্ট্রকে ভ্যাট দেয় না তাদের নিরাপত্তার জন্য ।রাষ্ট্র কেন আমার একজন নিরাপরাধ ভাইয়ের নিরাপত্তা দিতে পারে না ।১৯৪৫ সালে পোর্ট হারবারে জাপান কতৃক আক্রান্ত হওয়ার পর আমেরিকা ২য় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি আংশগ্রহণ করে ।এই নিয়ে , নিউইয়ার্ক ময়দানে ভাষণ কালে বলেছিলেন তার বিখ্যাত উক্তি ,স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকের ৪ অধিকার থাকবে -১.বাক স্বাধীনতা
২.জীবনের নিরাপত্তা
৩.শিক্ষার অধিকার
৪.খাদ্যর নিশ্চয়তা
আমি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে কি প্রথম দুইটা আধিকার সব সময় পাই ।কেউ যদি বলে আরে বেঁচে আছেন কেমন করে তাহলে,উত্তরে শুধু বলব আপনার পূর্বপুরুষ যেমন করে বেঁচে ছিল।আজ আমি আপনি আমরা সকলে জিম্মি ধর্ম আর চেতনা ব্যবসায়ীর কাছে ।আমি আহমেদ ছফা,হুমায়ূন আজাদ,রফিক আজাদদের অনুসারী ,চেতনার না , না কোন ভন্ড ধার্মিকের পথে।শেষে বলব শুধু ,আমার অধিকার ফিরিয়ে দে ,নইলে তোর গণতন্ত্রের বয়ান চিবিয়ে খাব ।গটদিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তজির মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতি বছর জমে ওঠে রাসমেলার উৎসব।বাঙালি হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণের একটি হলো রাস উৎসব।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষের কোনো এক ভরা পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাস মেলার। অন্য একটি মতে , শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষ্যেই পালিত হয়ে আসছে রাস উৎসব।।ইহা একটি ধর্মীয় উৎসব।আমাদের সংবিধান তা নিবিঘ্নে পালন করার গ্যারান্টি দেয়।কিন্তু,গতকাল কান্তজির মন্দির প্রাঙ্গণে জমে ওঠা রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ১০ জন।
ধর্ম পালনের অধিকার রাষ্ট্র সকল কে সমান ভাবে দিয়ে থাকলে হয়ত রাষ্ট্রীয় প্রশাসন গতকাল এই ঘটনা ঘটতে দিত না ।কারণ , ইহার ব্যাপ্তি খুব অল্প পরিসরে ছিল ।যার নিরাপত্তা খুব সহজে দেয়া যেত ।কিন্তু তা হয়নি ।হয়ত কেউ মারা না যাওয়ায় মিডিয়া এইটা নিয়া নাড়াচাড়া করবে না ।কিন্তু একটা প্রশ্ন ,আমরা কতটুকু নিরাপদ ।কোন ঈদের মাঠে কিংবা দূর্গা পূজায় এই ঘটনা তো ঘটল না ।কারণ , এইটা তে প্রচার বেশি ।সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে তাই কঠোর নিরাপত্তা ।তিনি শিয়া তাই তাহার ধর্ম উপসনালয়ে গিয়ে তাদের ইমাম কে হত্যা করা হল ।কেউ কিছু করল না তাদের রক্ষায়।তারা কি রাষ্ট্রকে ভ্যাট দেয় না তাদের নিরাপত্তার জন্য ।রাষ্ট্র কেন আমার একজন নিরাপরাধ ভাইয়ের নিরাপত্তা দিতে পারে না ।১৯৪৫ সালে পোর্ট হারবারে জাপান কতৃক আক্রান্ত হওয়ার পর আমেরিকা ২য় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি আংশগ্রহণ করে ।এই নিয়ে , নিউইয়ার্ক ময়দানে ভাষণ কালে বলেছিলেন তার বিখ্যাত উক্তি ,স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকের ৪ অধিকার থাকবে -১.বাক স্বাধীনতা
২.জীবনের নিরাপত্তা
৩.শিক্ষার অধিকার
৪.খাদ্যর নিশ্চয়তা
আমি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে কি প্রথম দুইটা আধিকার সব সময় পাই ।কেউ যদি বলে আরে বেঁচে আছেন কেমন করে তাহলে,উত্তরে শুধু বলব আপনার পূর্বপুরুষ যেমন করে বেঁচে ছিল।আজ আমি আপনি আমরা সকলে জিম্মি ধর্ম আর চেতনা ব্যবসায়ীর কাছে ।আমি আহমেদ ছফা,হুমায়ূন আজাদ,রফিক আজাদদের অনুসারী ,চেতনার না , না কোন ভন্ড ধার্মিকের পথে।শেষে বলব শুধু ,আমার অধিকার ফিরিয়ে দে ,নইলে তোর গণতন্ত্রের বয়ান চিবিয়ে খাব ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬