"আইনের ক্ষেত্রে একটা দর্শন আছে, প্রয়োজনে একজন অপরাধী বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে, কিন্তু কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায়।"
বিশেষক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই দর্শন যেন এখন পাকাপকি ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে আমাদের বিচার ব্যবস্থায়। কিন্তু তাও অর্ধেকটা কেন? দলীয় প্রয়োজনে বা হস্তক্ষেপে ধর্ষক পাচ্ছে খালাস! কিন্তু ঠিক থাকছে না নিরপরাধ ধর্ষিতার সাজা না পাওয়ার ব্যাপারটা। সে তো ঠিকই লজ্জা আর ঘৃণায় করছে আত্মহত্যা অথবা বেঁচে থাকলেও বয়ে বেড়াচ্ছে চিরগ্লানি! বিচার ব্যবস্থার এখানে কি কোন দায় নেই? এখানে না থাকল আইনের দর্শন ঠিক না থাকল সামাজিক দর্শন ঠিক। আইনের এই দর্শন অনুযায়ী তো ধর্ষিতা নারীর এই পরিণতি হবার কথা নয়। তার সামাজিক মর্যাদা কেন ক্ষুন্ন হবে? কেন সে লজ্জায় ঘৃণায় আত্মহত্যা করবে? তার জবাব কি?
সোজা কথায়, এসব দর্শন ছাড়ুন। রেইপ কেসে অন্তত এসব দর্শন খাটাবেন না। কোন রকম দীর্ঘ বিচার ব্যবস্থায় নয় ধর্ষকের বিচার হতে হবে ইন্সট্যান্টলি। বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে গেছে। থানা পুলিশ কোর্ট কাচারী করতে গেলে শেষে অপরাধীর বিচার তো হয়ই না উল্টা ভিক্টিমকেই ব্লেইমড হতে হয়। সুতরাং ধর্ষণের বিচার অনতিবিলম্বেে করুন। "প্রয়োজনে সাদা পোষাকের এন্টি রেপিস্ট স্কোয়াড গঠন করুন! যারা ইন্সট্যান্ট অ্যাকশন নেবে যেকোন ধরণের রেইপ বা এসিড ছোড়ার মত কেসে ভিক্টিমের পক্ষ থেকে সংবাদ পাওয়া মাত্র"। ধর্ষকের সঠিক বিচার করে ধর্ষিতা নারীকে ন্যায় বিচার দিন। শুধু ন্যায় বিচার নয়, কোন নারী ইচ্ছা করে ধর্ষিত হয় না তাই তার সামাজিক মর্যাদাও নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভিক্টিম কোনভাবে ব্লেইমড না হয় বা তাকে পরবর্তী জীবনে লজ্জায় মাথা নিচু করে চলতে হয়। সে যেন আর সবার মত সাধারণভাবেই বাঁচতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৯