আমার দৃষ্টিতে দুনিয়ার সবথেকে বাজে থিওরী হল “আমি ভাই আমার মত, কে কি বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায় না! কারও জন্য আমি নিজেকে বদলাতে পারব না”। আমার প্রশ্ন তুমি ভাই জঙ্গলে যাও না কেন? আগে বিভিন্ন অপরাধে মানুষকে একঘরে করে দেওয়ার একটা বিধান ছিল। আর যখন থেকে এই নীতি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে (পড়ুন, ফ্যাশন বা ট্রেন্ড হিসেবে মানুষ বলা শুরু করেছে) মানুষ যেন সেচ্ছায় একঘরে হবার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
এই সস্তা নীতি নিয়ে একটা পরিবর্তনশীল সমাজে চলা সম্ভব? বহুদিন ধরে যে পরিবেশে থাকলে তাকেই মেনে নিতে না পারা বা তার জন্য কিছু করতে না পারা কোন জাতীয় আচরণ? উল্টা কত কনফিডেন্টলি বল এটা নাকি তোমার অভ্যাস না।
”ঈমান এবং সততা ব্যতীত”, যে পরিস্থিতি এবং সময়ের সাথে নিজেকে কিছুটা হলেও পরিবর্তন করার চেষ্টা করে না সে আসলে কোন প্রজাতির মানুষ? মানুষেরও কি প্রজাতি হয়? হ্যা হয়।
তুমি তোমার মত হলে তুমিটা আসলে কি? কোন মানদন্ডে নিজেকে মেপে নিজের মত হলে? মানুষের মানদন্ডে? মানুষ তো জঙ্গল ছেড়ে সভ্য সমাজে এসেছে বহুকাল আগে। কারণ মানুষ পরিবর্তনশীল। বনমানুষ থেকে গিয়েও এসেছ সভ্য সমাজে আর গায়ে ঠেলা এই গোয়াড়ে নীতির নাম দিয়েছ পারসোনালিটি!
সত্যি বলতে এরা নিজেরই নিজেদের সম্পর্কে অবগত নয়। এরা নিজেই জানে না যে সে কি চায়, তাই কখনোই জানবে না যে মানুষ তার কাছ থেকে কি চায়। আর যে নিজেরই চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে জানতেও চেষ্টা করে না, তার কাছে কে কি চাইল তাতে তার কিছু আসে যায় না! একজন ঈমানদার ও সৎ মানুষ যার নিজের উপর সত্যিকারার্থে আত্মবিশ্বাস আছে তার ভাষ্য এরকম হয় না।
সোজা কথায় এরা হয় অসামাজিক, নয়ত স্বার্থপর। হ্যা, মানুষের এক প্রজাতিও বলা যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২১