প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল। ২৯১ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৩৩ রানে হারাল ৯ উইকেট। এর পরই অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী দুই ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলি ও জেফ টমসন হয়ে উঠলেন ‘খাঁটি ব্যাটসম্যান।’
দেখতে দেখতে প্রয়োজনটা ১১ বলে ২৪ রানে নামিয়ে আনলেন দুজন। এর পরই তুলে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রয় ফ্রেডেরিকসের তালুবন্দী টমসন। ম্যাচ শেষ ভেবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সমর্থকেরা ঢুকে পড়ল মাঠে। আম্পায়ার যে নো বল ডেকেছেন, সেটা কে খেয়াল করে! মুহূর্তের মধ্যে মাঠ লোকারণ্য। রানআউট করার জন্য বল থ্রো করেছিলেন ফ্রেডেরিকস, স্টাম্পে না লেগে সেই বল হারিয়ে গেল দর্শকের মাঝে। ওদিকে লিলি-টমসন উইকেটে দৌড়েই যাচ্ছেন। আম্পায়ার বার্ড তাঁর হ্যাট হারালেন, আরেক আম্পায়ার টম স্পেন্সার হতভম্ব, অনেক ক্রিকেটার হারাল তাঁদের সোয়েটার।
নিরাপত্তাকর্মীরা অবশেষে মাঠ খালি করতে পারলেন। টমসন আম্পায়ার স্পেন্সারকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত রান দেবে আমাদের?’ স্পেন্সার, ‘দুই’। ‘দুই?’ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন টমসন, ‘পুরো বিকেল ধরে দৌড়াচ্ছি, ফাজলামো পেয়েছ!’ বার্ড এবার লিলিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত রান নিয়েছ?’ ‘তা অন্তত ১৭ তো হবেই’—লিলির উত্তর। অনেক বাতচিত শেষে দেওয়া হলো চার রান।
এর পরের দুই বলে ১ রান। তৃতীয় বলেই টমসনের রানআউটে খেলা শেষ। অস্ট্রেলিয়ার হার ১৭ রানে। যথারীতি আবার মাঠে ঢুকে গেল দর্শক। টমসনের পা থেকে প্যাড খুলে নিয়ে পালাল কেউ। কিথ বয়েসকে ধরে কয়েকজন মাটিতে শুইয়ে ফেলল, একজন চম্পট দিল তাঁর পা থেকে বুট খুলে নিয়ে!
copy from :http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-16/news/131947
বিশ্বকাপ নিয়ে আরো মজার মজার তথ্য দিতে চেষ্টা করবো.....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




