- হ্যালো?
- আপা, আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম সালাম। কে বলছেন?
- আপা, আমি সাকিব।
- চিনতে পারছিনা।
- ঐযে গত সপ্তাহে আপনার মোবাইল ঠিক করালেন। মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। বদলে দিলাম।
- ও আচ্ছা, মনে পড়েছে। কি ব্যাপার, সাকিব?
- আপা, একটা সমস্যা হয়েছে। আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করার পর আমার সিমটা একটু আপনার ফোনে লাগিয়েছিলাম। আমার সিমে ইন্টারনেট কানেকশন নেয়া আছে তো, ভাবলাম আপনার সেটটা একটু টেষ্ট করে দেখি সব ঠিক মতো চলছে কিনা।
- আচ্ছা?
- এখন ঐ সময় আপনার ফোন থেকে একটা সেটিংস আমার সিমে সেভ হয়ে গিয়েছিলো। এখন কি সমস্যা জানিনা, কিন্তু সিমটা আমার ফোনে লাগানোর পর থেকে বারে বারে মেসেজ আসছে আর ব্যালান্স থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
- তো আমি কি করতে পারি? কাষ্টমার কেয়ারে কথা বলেন।
- আপা, আমার আসলে কাষ্টমার কেয়ারে কথা বলার দরকার হয়না। এখন আপনার সেটটা একবার একটু দরকার। মনে হয় ঐটাতে আবার লাগিয়ে চেক করলে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি কি একটু আসতে পারবেন একবার।
- আমি তো যশোরে থাকিনা। গত সপ্তাহে বেড়াতে গিয়েছিলাম।
- কিন্তু আপা, আপনার তো একটু আসাই লাগবে। নাহলে আমার ব্যালান্স থেকে ২৭০০ টাকা কেটে নিয়ে যাবে। আচ্ছা, আপনার বাবা-মা তো যশোরে থাকেন। তাই না?
- আপনাকে আগেও বলেছি যে আমার বাবা মা যশোরে থাকেন না।
- আপা কি বিরক্ত হচ্ছেন?
- আসলে আমি বুঝতে পারছিনা আমি কোথায় থাকি, কি করি, বাবা মা কি করে এইসব ব্যক্তিগত বিষয় জেনে আপনার কি দরকার?
- সরি আপা। আসলে বিষয়টা জরুরী।
- ঠিক আছে, যদি আমি যশোরে আবার যাই তাহলে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
[এই হলো মোবাইল টেকনিশিয়ানের সাথে আমার এক বান্ধবীর কথা। জানিনা কতটুকু সত্য, কিন্তু আমার কাছে বিষয়টার ভিতরে একটা ঘাপলা আছে মনে হলো। গ্রামীনফোনের চাকুরীজীবী আমার ফ্রেন্ড লিস্টে যারা আছেন তারা একটু সাহায্য করেন বিষয় বিশ্লেষন করে। প্রয়োজন করে কলকারীর নাম্বার টা ও দেয়া যাবে পরীক্ষা করার জন্য যে আসলেই তার ব্যালান্স থেকে টাকা কাটা যাচ্ছে কিনা।]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


