somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্টারনেটের অবাধ বিচরণ: আগ্রাসনের টুঁটি চেপে ধরার এখনই সময়

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের আদালত ইন্টারনেটে বিশেষ করে ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু এবং অন্যান্য সকল সাইট থেকে
ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী অপ-প্রচার, বিভ্রান্তি মূলক সকল পোস্ট মুছে দেয়ার আদেশ দিয়ে প্রায় ১২ কোটি ব্যবহারকারীর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে
বলা হচ্ছে ভারত সরকার নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের দক্ষতা এবং সংঘবদ্ধ হবার ক্ষমতা দেখে এই প্রথম কিছুটা ভীত হয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ ভারত যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই ইন্টারনেট ব্যাবহারে শীর্ষ স্থানে আছে।

কোটি কোটি ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেটের নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই ফলে যৌনতা,পর্ণ-গ্রাফি গোটা ভারতে ভয়াবহ থাবা বিস্তার করেছে।
এছাড়াও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে একশ্রেণীর কট্টর হিন্দু সমালোচক এবং উস্কানি দাতাদের কারণে
যে কোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যদিও দেশটির নীতিনির্ধারক মহল দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের নেয় আরব বসন্তের ভয় করছেন না।
একজন ভারতীয় নাগরিকের সাথে আলাপ কালে জানা গেল যে, "ভারত সরকার ইন্টারনেট সহজ লভ্য করেছিলেন দুটি কারণে।
প্রথমত সাইবার ক্রিমিনাল তথা সন্ত্রাসবাদ দমনে, সন্ত্রাসীদের খুব সহজে খুঁজে বের করতে। ভারতের সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সেদেশের পুলিশ অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এছাড়াও চিহ্নিত কিছু অপরাধী, বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীকে সনাক্ত করতেও ইন্টারনেট অবাধ রেখেছিলেন।
যৌন বা পর্ণ সাইটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিজিটরের আইপি এড্রেস সংগ্রহ করছে, তার কম্প্যুটারের নিরাপত্তা ছিদ্র ভেদ করে ঢুকে পরছে সিস্টেম এর ভেতরে।
ফলে অপরাধী যেখানে বসেই অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা করুক না কেন ধরা পড়ে যাচ্ছে।"

তাঁর মতে পাকিস্তানী অভিনেত্রী ভীনা মালিকের নগ্ন ছবি ভারতীয় মিডিয়ায় ফলাও করে ছাপার পর থেকেই সংখ্যালঘু মুসলমানরা ক্ষেপে উঠে।
ফতোয়া ডট ওআরজি এবং একজন সাংবাদিক আদালতে মামলা করলে আদালত উপরিউক্ত রায় দেন।

আমাদের দেশে ইন্টারনেট অবাধ এবং উন্মুক্ত হওয়ার কারণে উঠতি বয়সের তরুণ এবং যুব সমাজ ক্রমশ অশ্লীলতার দিকে ঝুঁকে পড়ছে যৌন ছবি, যৌনতার অবাধ গতি বাংলাদেশে!
সাইবার ক্যাফেগুলোতে ১৩-২৫ বছর বয়সীদের ভীড় ব সময়। কাফে মালিকরা হিস্টোরি ডিলিট তো করেন-ই না। তারা বেশ কিছু পর্ণ সাইট ফেভারিট/বুকমার্ক লিষ্টে সতনে রেখে দেন।
ইন্টারনেটে ডেটিং সাইট, চলমান পতিতালয়, পর্ণ-মুভি খুবই সহজ লভ্য! ফলে দেশের তরুণ সমাজ এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

এরা ইন্টারনেটের অপ-ব্যবহার করে অকালপক্ব হয়ে উঠছে। এডভেঞ্চারের নেশায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে কিম্বা নানা ভাবে
সখ্যতা তৈরি করছে। নানা ধরনের যৌন-উত্তেজক ড্রাগ খাবার বা পানীয়ের সাথে মিশিয়ে পান করিয়ে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।
এসব ঘটনা গোপন ক্যামেরা, মুঠোফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে আপলোড করছে, (মান-সম্মানের ভয়ে ভিক-টিম গণ-ধর্ষণের কথাও গোপন রাখছে) ব্ল্যাক-মেইল করছে।
এধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার মত অকাল মৃত্যু ঘটছে। পর্ণ সিডিতে দেশ ছেয়ে গেছে।

সব কিছু ছাপিয়ে যেটা বেশি নজরে পরছে তা হলো, এসব ছেলে মেয়ে অনেকটাই উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ছে, নেশার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে,
পতিতালয় গমন, অনিরাপদ যৌন সম্ভোগে জড়িয়ে পড়ছে এতে যৌনরোগ তথা এইডস, হেপাটাইটিস এর মত ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার ঘটছে।

ইন্টারনেটে অবাধ বিচরণ আমাদের কাম্য নয়। ধর্মীয়, মানবিক এবং নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে ইন্টারনেটের আগ্রাসন রোধ কার সময় এসেছে।
যৌনতা, নগ্নতা, পর্ণ-গাফি, সাইবার অপরাধ রোধে কার্যকর আইন চাই।
ছবি: ইন্টারনেট

পাদটীকা: যারা সাইবার অপরাধ এবং বাক-স্বাধীনতাকে একত্রে গুলিয়ে ফেলছেন সেই সব শ্রদ্ধেয় ব্লগারদের জন্য আমার লেখার একটি লিংক দিলাম।
প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা ২০১১: আদিম গুহামানব যুগে প্রস্থান করতে চাই!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৫
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×