somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্যারিস থেকে আমি
স্বপ্ন দেখি সত্য ও সুন্দরের।আহত হই সত্যের পরাজয়ে।মনের মাঝে কতশত এলোমেলো ভাবনা এসে জড়ো হয়।ভাবনা গুলো চাই সকলের সাথে শেয়ার করতে,কিন্তু সীমাহীন অযোগ্যতায় আর লিখা হয়না।ভাবনা গুলো গুমড়ে মরে সমাধিত হয় নীরবে।

গল্প : যুবক পুরুষ (পর্ব দুই)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শুধু ব্যাতিক্রম হলো সেদিন। যুবকটা আমার সাথে হাত মেলালো না। অন্য কোনো মেয়ের সাথেও হাত মিলায় নি। বলে কি না সে মেয়েদের সাথে হাত মেলায় না। তার এমন ব্যবহারে আমার সৌন্দর্যতার উপর এতদিন যে বিশ্বাস ছিলো, সেই বিশ্বাসে চরম আঘাত লাগলো। রাগ হলো। বাথরুমে ঢুকে চোখের পানির সাথে রাগ ভাসিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক হয়েছি। নতুবা কোনো লংকা কান্ড ঘটে যেত। রাগটা ভাসিয়ে দিয়ে এলেও মনের মাঝে একটা জিদ রুপন করে আসি; দেখে নিব কতদিন বাচাধন এরকম থাকতে পারেন। প্রথম আসছেনতো তাই একটু নিজের পৌরুষত্ব জাহির করছেন। কিছুদিন গেলে শরীরের উত্তপ্ত লাভা দিয়ে গলিয়ে দেব।

সহকর্মী হিসাবে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ঠিকই বলে। অযথা কথা বাড়িয়ে অন্যরা যেমন একটু সময় নিতে চায়,বারবার কাজের ফাঁকে মুখের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে ভালো লাগার জানান দিতে চায়, তার মাঝে এর লেশমাত্র দেখলাম না। প্রথম প্রথম তার সাথে না মিশে তাকে পরখ করতে লাগলাম। সাধারন একজন যুবকের সাথে তার অনেক প্রার্থক্য চোখে ধরা পড়লো। মাঝে মধ্যে পাঁচ/সাত মিনিটের জন্য সে যেন কোথায় উধাও হয়ে যায়। একদিন পিছু নিলাম। দেখলাম, কে এফ সির স্টোর রুমে পাতলা একখানা কাপড় বিছিয়ে নামাজ পড়ছে। তাহলে যুবকটা ধর্ম-কর্ম পালন করে !

তাই বলে একজন যুবতী মেয়ের সাথে হাত মেলাবে না ! কোন সম্পর্ক রাখবেনা ! দেখে নেব। মনের মাঝে রুপন করা জিদটা আস্তে আস্তে ডালপালা মেলতে লাগলো। অনেক ছেলেদের সাথে মিশেছি, অনেক যুবকের সাথে হরদম খোলামেলা আড্ডায় মাতি, তবে নিজের সতীত্ব কারো কাছে বিকিয়ে দেইনি। তাকে দিয়ে সতীত্বের জলান্জলী দেব,তবুও দেখে নেব কত বড় বাহাদুর যুবক তিনি। এধরনের একটা গোপন বাসনা,গোপন জিদ আমাকে পেরেশান করে তুললো।

একদিন তাকে প্রশ্ন করলাম, সে কেন আমাদের সাথে অর্থাৎ মেয়েদের সাথে মিশতে চায় না ? কিসের এত অহংকার ? না কি শারীরিক কোনো সমস্যা আছে ? প্রশ্নটা শুনে বরাবরের মত মুখটা না খুলে হাসলো। হাসিটাও বেশি সময় স্হায়ী হলনা। আমি তার মুখের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি দেখে বললো, একজন মুসলমানের জন্য তার ধর্ম এলাও করেনা কোনো বেগানা যুবতীর হাত ধরা, অযথা কথা বলা, তার সাথে হাসি-তামাশা করা। এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিধায় সে এই নির্দেশটা মেনে চলে মাত্র। সে জানালো, তার মাঝে কোনো অহংকার নেই, আল্লাহর রহমতে শারীরিক সমস্যাও নেই।

তার কথা শুনে মনে মনে বললাম, বাচা আমি দেখে নেব তোমার নিশ্চয় কোনো সমস্যা আছে। সমস্যা আড়াল করতে গিয়ে সাধু সেজে ধর্ম-কর্মের নাম করছো। তোমাদের ধর্মেরই কত ছেলেকে দেখি মেয়েদের হাত ধরে হাটছে,ঢলাঢলি করছে। আর তুমি বলছো ধর্মে, নিষিদ্ধ।

তাকে কিভাবে বধ করা যায় তা নিয়ে আমার অপর দুই বান্ধবীর সাথে আলাপ করি। তারা আমাকে পরামর্শ দিলো যে আমরা তিনজনে মিলে তাকে কিডন্যাপ করবো। আমাদের এক বান্ধবীর বাবা মা দুজনেই কাজ করেন। তার বাসা প্রায়ই খালি পড়ে থাকে। আমরা যুবককে তুলে নিয়ে যাব তাদের বাসায়। সেখানে তার উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবো। তাদের পরামর্শ মনোপুত হলো। কেননা এটা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। বাকি সবগুলো ফর্মুলা চালিয়ে তার মাঝে সামান্যতম প্রতিক্রিয়া লক্ষ হয়নি। তাই এখন তাকে অপহরণ করে শেষ চেষ্টাটা চালাতে হবে।

পরামর্শ অনুযায়ী তিন বান্ধবী মিলে ঠিকই একদিন তাকে আমরা অপহরণ করলাম।চোখ বেঁধে তাকে নিয়ে গেলাম ঐ বান্ধবীর বাসায়,যার বাসা খালি পড়ে থাকে। তাকে একটা চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে রাখলাম। চোখের বাঁধন খুলে দেয়া হলো। তিন বান্ধবী প্রায় পুরো উলংগ হয়ে তার সামনে নানা অংগ ভংগি করতে লাগলাম। আমি বললাম, আজ আমরা তোমাকে পরীক্ষা করবো তোমার কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি না । আমাদের উলংগ অংগ ভংগি আর বিদ্রুপাত্বক কথা শুনে সে চোখ বন্ধ করে আছে নিজ থেকে। চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে তার অষ্ট বেয়ে। বললাম, ভয় পেয়োনা। আমরা তোমার এমন কোনো ক্ষতি করবোনা। শুধু পরীক্ষা করে দেখবো তুমি পুরুষ কি না।

আমার কথায় সে চোখ মেলে থাকালো । (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×