আজ আমরা বড্ড বেশি পোশাকী,
স্তরে স্তরে পোশাক শরীরে, ঝুকে ঝুকে চলছি ।
হাত মোজা পা মোজা হ্যাট কিংবা কালো চশমার আড়ালে
নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনা, ভয় পাই ।
প্রেয়সীর ঠোঁটে বারবনিতার গাঢ় প্রসাধনী
পোশাক ছাড়তে পারিনা গভীর আলিঙ্গনে ।
নদীগুলো সাগেরেতে না মিশে বিপরীত ধারা বয়ে ফিরে ফিরে আসে;
শিকারীর গুলিতে কখনো শকুন কিংবা মানুষের লাশ ভাসে ।
ঘুণে ধরা আমাদের হাড়গুলো খুলে পড়ে টুপ টাপ করে ।
আমরা ব্যন্ডেজ নামক নতুন আরেকটা পোশাক চাপিয়ে দেই তাতে।
বাহিরে ফিটফাট সাদা ভেতরে কালো পুঁজ
কুড়ে কুড়ে খায় আমাদের হৃদয়।
ফুসফুসটা দ্রোহে ফেটে পড়ে,
হাড় চামড়া আর পোশাক থেকে বেরিয়ে
নিতে চায় ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস ।
ঠিক আমরাও যেমন চাই,
চার দেয়াল ঘেরা প্রাচীর থেকে মুক্তি পেতে,
নিতে চাই জীবনের স্বাদ !!
যারা কুবতে বুঝেন না তাদের জন্য বাংলায় তরজমাঃ
এ লেকায় লেকখ শীতকালের ঠান্ডার কথা বলেছেন । সে এক ভয়াবহ ঠান্ডা । পোশাকের উপরে পোশাক পড়েও তিনি কোন ভাবে ঠান্ডা নিবারন করতে না পেরে দাদার আমলের একটা সন্দুকের ভেতর কম্বল নিয়ে ঢুকে পড়েন । বাহির থেকে কে বা কাহারা সন্দুকের দরজা বন্ধ করে দেয় (ডালা আটকায়ে দেয়) । সে কি মুক্তি পেয়েছিল ? পেয়েছিল বিশুদ্ধ বাতাস । সে এক বিরাট ইতিহাস ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬