আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ খুব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কারণ গুলশানে হামলা দেশের রাজনীতিতে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে। যে যাই বলুক না কেন গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র এবং রাজনীতির জন্য হুমকী¯^রূপ। আজ একথা বাস্তব জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ধোঁয়া তুলে ইতোমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারীরা সফলতার শীর্ষে। আমাদের দেশকে জঙ্গিবাদের কালিমা লেপনে কারা তুষ্ট তাদের মুখোস ইতোমধ্যে উন্মোচিত হয়েছে।
জঙ্গিরা হামলা করে মানুষ হত্যা করে তার দায় নিতে হচ্ছে মুসলমানদেরকে। জঙ্গিরা তো জঙ্গিই, সন্ত্রাসীরা তো সন্ত্রাসীই তাদের আবার ধর্ম কীসের। আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারতে প্রতিনিয়ত হিন্দুরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। কৈ বিশ্ব মিডিয়া এবং রাজনীতিকরা তো হিন্দুদের সন্ত্রাসী বলে না।
ধর্মের নামে যারা মানুষের মস্তিষ্ককে ডাইভার্ট করছে তাদেরকে স্বমূলে উৎখাত না করে একচেটিয়াভাবে ইসলামকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলাসমূহে কোন মসজিদ-মাদরাসার ছাত্র বা আলেম ছিল না। ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্য ছাত্ররা। অথচ এই হামলাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়া ফন্দি আঁটতে শুরু করেছে। মসজিদ-মাদরাসার ছাত্র-আলেমদের হয়রানিতে রাখা, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি সবই ঐ পশ্চিমাদের এজেন্ডা।
এ দেশে আরো অনেক হত্যাকান্ড ঘটেছে। গুলশান আর শোলাকিয়া হামলার পর আমরা ভুলতে বসেছি নারায়ণগঞ্জের খুনের কথা, শাপলা ট্র্যাজেডিসহ আরো হত্যাকান্ডসমূহ! আপসোস, এ জাতির হুঁস হবে কবে। এ দেশের মিডিয়াগুলো কি আসলে স্বাধীনতা আর দেশপ্রেমের চেতনা লালন করে নাকি অন্য কিছু? আসুন আমরা সচেতন হই।
যুথকণ্ঠে বলিষ্ঠ আওয়াজে বলি-
আমি মুসলমান।
ইসলামে সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই।
ইসলামে জঙ্গীবাদের ঠাঁই নাই।
যারা জঙ্গি হামলা আর সন্ত্রাসী করে তারা ইসলামের বারোটা বাজাচ্ছে।
এই কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব নয় কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪