

হিন্দুরা গরু কুরবানীর বিরোধিতা করবে এটা খুব সাধারণ বিষয় বলে আমি মনে করি। কারণ তাদের ধর্মে গরুকে দেবতা মেনে পুজা করে। গরু জবাই তাদের ধর্মে নিষিদ্ধ। তাদের সামনে গরু জবাই করলে তারা ক্ষিপ্ত হবেই।
হিন্দুরা পুণ্যের কাজ মনে করে পাঠাবলি দেয়। কিন্তু মুসলমানদের ধর্মে পাঠাবলির ন্যায় পশু জবাই বা হত্যা করার বিধান নেই। সেহেতু তাদের সামনে কেউ পশুকে এভাবে এক কোপে মস্তক আলাদা করলে মুসলমানদের কাছে খারাপ লাগে। কিন্তু কোন মুসলমান কি কখনও এর বিরোধিতা করে বাধা দিয়েছে? তাদের ধর্মীয় কাজ হিসেবে তারা পাঠাবলি দেয়। মুসলামানরা বাধা দেয়ার এখানে কোন যৌক্তিকতা নেই।
ঠিক তেমনিভাবে মুসলমানরা তাদের ধর্মমতে গরু জবাই বৈধ বলে গরু জবাই করলে সংগত কারণেই হিন্দুদের মনে ব্যথা লাগবে, কষ্ট লাগবে। কিন্তু এভাবে বিরোধিতা, হুমকি-ধুমকি, হত্যা-ধর্ষণসহ ঘৃণ্য কাজ কেন করবে হিন্দুরা, এটা একজন মুসলমানের বুঝে আসার কথা না।
যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করেন। তারা কিভাবে কুরবানী নিয়ে এহেন অপপ্রচার করেন? আপনি কি বোঝাতে চান- নিজেকেই কোশ্চেন করুন। আপনার কোশ্চেনের উত্তর আপনার কাছেই আছে।
হিন্দু ভাইদের বলব- আপনারা নিশ্চয়ই ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস জানেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এদেশের একজন মুসলিম সন্তানের চাইতে আপনি ইতিহাস বেশি জানার কথা। কারণ তুলনামূলকভাবে হিন্দুদের আধিপত্য এ অঞ্চলে বেশি ছিল।
যাহোক, এদেশের হাজার বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস হলে হিন্দু-মুসলিম সমস্যা, ঐতিহাসিক বিভাজন। আজ আমি-আপনি কেন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে বসবাস করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাই শুধু আমাদের ইতিহাস নয়। আমাদের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ একটি ইতিহাস।
হিন্দু-মুসলিমদের ভ্রাতৃত্ব এদেশের তুলনায় ভারতে ক্ষীণ। অতএব হিন্দু ভাইয়েরা, আপনাদেরকে কেউ যেন উস্কে দিচ্ছে। আর আমি মনে করি নাস্তিকরা এক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করছে। নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতে বিচার করুন। এই দু’ধর্মীয় সম্পৃতি নষ্ট করার জন্য সকলেই সচেতন হওয়া দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




