গতকাল শনিবার সকাল এগারটা থেকে শুরু হয় মানবভোজের। জেলা শহর মাইজদীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, জজ কোর্ট প্রাঙ্গন, আইনজীবি সমিতির মিলনায়তন ও বিআরডিবির হলরুমসহ আটটি ভ্যেনুতেই। প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে খাবারের প্যান্ডেলে ঢোকার জন্য ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কিতো আছেই। তারপরও কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৫টা) চলছে খাওয়া।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নোয়াখালী আওয়ামীলীগ বিশেখ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী উদ্যোগ নেন দেড় লাখ লোক খাওয়ানোর। যথারীতি আনা হয় দেড়শ গরুও। একরামুল করিম চৌধুরীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের অবস্থাসম্পন্ন নেতবৃন্দ এগিয়ে আসে এই আয়োজনে। নাম দেয়া হয় ‘মানবভোজ’। গরুর পাশাপাশি ও ৩৫০টি খাঁসি জবাই করা হয়। আয়োজন সম্পন্ন করতে নিয়োগ করা হয় ১২শ শ্রমিক। খাবার প্রকৃয়া তাদরকিতে ছিলো আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
্আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই ভোজে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সকাল এগারটা থেকে খাওয়া শুরু হয়। নেতৃবৃন্দ জানান, খাবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাওয়ানো হবে।
এদিকে নোয়াখালীতে মানবভোজ নামের এই সর্ববৃহত আয়োজনটি যেমন ছিলো আলোচিত তেমনি সাধারণ মানুষের দূর্ভোগও সৃষ্টি করে। মানবভোজে আগত লোকজনের সুবিধার্থে শহরে শহরের যানবাহন চলাচলে পুলিশী নিয়ন্ত্রন থাকায় ফেনী-নোয়াখালী রুটের বাস যাত্রিসহ শহরের অনেক বাসিন্দা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনেক যাত্রিকে এ সময় পুলিশ প্রশাসনের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় দুপুর বারটায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই মোঃ সিরাজ জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের স্বাভাবিক চলাচলের সুবিধার্থে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দ্দেশে লোকাল রুটের বাস গুলো চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
#
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




