২০০১ সাল লেখাপড়া বন্ধ। খেলাধুলায় প্রতিদিন চলে যেত। খুব খুশী পড়ালেখা নাই কী মজা। হেসে খেলে, দুষ্টুমিতে কেটে যেত দিন। খতনা বা মুসলমানি করা হয় তখন বয়স হবে ১৩ কি ১৪!? যাইহোক বড় ভাই সম্ভবত ২০০২ কি ২০০৩ সালে মাদ্রাসায় ভর্তি করে কিন্তু ৪ দিন, মনে হয় ক্লাস করেছি তারপর আর যাওয়া হয়নি। ছোট ছোট শিশু বাচ্চাদের সাথে আলিফ, বা, তা বা আরবি হরফ পড়তে হতো। সমস্যা হলো আমি ওদের সাথে তালমিলেয়ে পড়তে পারতাম না তাই খুব বিরক্ত লাগতো। আসল কথা হলো ওদের চেয়ে আমি বয়সে বড় ছিলাম। তারপর এই মাদ্রাসার পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৩ আবার সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হই। থাকার কথা অষ্টম শ্রেণীতে। এখনেও ২য় সাময়িক পরীক্ষা পর্যন্ত পড়েছি। খুব কষ্ট হতো পড়ালেখা করতে কারণ গ্যাপ ছিল পড়াশোনা ভুলে গেছি। তার মধ্যে কারো হেল্প নাই। মেজ ভাই বিয়ে করে। এরপর লেখাপড়া বন্ধ। বয়ঃসন্ধি কাল ছিলো নারীদের ভাবতাম মা কল্পনা করতাম এখনও করি বাদ দিতে পারছি না কোনোভাবে। সেই সয়ম একটি মেয়েকে সুন্দর লাগলো। হঠাৎ হঠাৎ দেখা হতো। দেখা হলো ভালো লাগতো। কিন্তু কিছু বলার সাহস হতো না। কোনো বন্ধুকে কোনো দিন বলতেও পারি নাই আজও। এভাবে বিভিন্ন সয়ম বহুরূপি তরুণী পছন্দ বা সু্ন্দর লেগেছে! কাউকে বলার সাহস আর হয় নাই আদৌ।
আনেক ধরনের কাজ করেছি। কিন্তু কোনো কাজে আর সফল হইনি। কারণ অসুন্থ হয়ে যেতাম। সেজন্য আর নারী চিন্তায় মগ্ন থাকতাম বিষণ্ণতায় ডুবে থাকতাম। তবে পত্রিকা পড়তাম মাঝে মাঝে সাহিত্য সাময়িকী, কালি ও কলম, যায়যায় দিন, ভাই এর পাঠ্য বই পড়তাম। সেজন্য এখন একটু লিখতে পড়তে পারি আর কি। বিটিভি দেখতাম আর সফলতার গল্প শুনে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। কিন্তু কোনোভাবে আর সফল হতে পারলাম না। বিটিভিতে বংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান হতো তা দেখে দেখে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে যাগতো। কোথায় কিভাবে ভর্তি হতে হয় জানা ছিলো না। কত মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছি জানতে পারছিলাম না। ২০০৭ সাল এরে শেষের দিকে কথা এক ভাই এর সাথে কম্পিউটার শিখতে গিয়ে পরিচয় হয়। সে-এই একটা প্রস্পেস্টাস নিয়ে আসে। সেটা দেখে কাছের টিউটরিয়াল সেন্টর খোঁজা শুরু করলাম। অবশেষে খুঁজেও পেলাম। ভর্তি হলাম। পড়ালেখা শুরু করলাম ভালোই যাচ্ছিল...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



