somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার হৃদয় মন্দীরে

০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামনে পরীক্ষা। দমবন্ধ অবস্থা! হাসি, আনন্দ, সুখ মনে হয় এ দুমাসে ভোজবাজীর মত উবে গেছে ইন্নাহর জীবন থেকে। পড়ার টেবিল ছেড়ে উঠলেই মায়ের চোখ রাঙানী, ভাইয়ার ধমক। উফফ জীবনটা একদম ঝালাপালা হয়ে গেলো!

আজ মা, ভাইয়া, বাবা কেউই বাসায় নেই সেই সুযোগে ফাঁকিবাজীর মহা সুযোগ! কেবলি আরাম করে গতকালই ছোটখালার পাঠানো এক বক্স চকলেট আর টিভির রিমোর্টটা হাতে নিয়ে ড্রইংরুমের সোফার পা মুড়ে গ্যাট হয়ে বসেছে ইন্নাহ। উফফ কতদিন যে টিভির আসে পাশে আসতে পারেনা সে বাসার মানুষগুলোর জ্বালায়। আচ্ছা সে কি একটা মানুষ নাকি রোবোট? সারাদিন কি মানুষ পড়তে পারে এইভাবে?

গজগজ করতে করতে কেবলি রিমোর্টটা টিপে যেই না টিভিটা অন করেছে অমনি ডাইনিং স্পেসে রাখা ফোনটা ঝনঝন করে বেজে উঠলো,
উফফ যতসব যন্ত্রনা! কোথাও এক ফোঁটা শান্তিও নেই। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে ধুপধাপ করে উঠে রিসিভার কানে দিতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো অপরিচিত এক ছেলেকন্ঠ............
-হ্যালো। ইন্নাহ!
একটু হকচকিয়ে গেলো ইন্নাহ। কে রে এইটা ? চেনা চেনা লাগছে কিন্তু চিনতে পারছেনা সে।
-হ্যাঁ মানে আমি ইন্নাহ। কিন্তু আমি ঠিক চিনতে পারছিনা আপনাকে।
-ভুলে গেছো? একটু যেন অভিমানের সূর ছেলেটার গলায়।
- না মানে ভুলিনি। কিন্তু.....
- হা হা হা জানতাম তুমি ভুলে যাবে। ভুলে যাবারই কথা। কিন্তু আমি তোমাকে ভুলিনি । জানো কতবার তোমার দেওয়া সেই সেল নম্বরে ফোন দিয়েছি। ফোনটা অন্য কেউ রিসিভ করছে।
-ওহ হো! আপনি আরিফ? এম আই আর সিতে পরিচয় হয়েছিলো আপনার সাথে। আর ফোনেও কথা হয়েছিলো সেদিন। হ্যাঁ মনে পড়েছে। উৎফুল্ল শোনায় ইন্নাহর কন্ঠস্বর!
- হ্যাঁ । এইতো মনে পড়েছে।
- কেমন আছো?
-ভালো । কিন্তু আপনি এইভাবে আমাকে মনে রাখবেন স্বপ্নেও ভাবিনি।
-হুম । কেনো তুমি কেনো মনে রাখলেনা?
-না মানে মানে ........। মনে মনে ভাবছিলো ইন্নাহ কতলোকের সাথেই তো কথা হয় তোমাকে স্পেশালী মনে রাখতে হবে কেনো হে?

সেই শুরু। ইন্নার আসন্ন পরীক্ষার আশংকায় দমবন্ধ হয়ে ওঠা জীবনে, হৃদয়ের এক ছোট্ট গোপন ঘুলঘুলি দিয়ে বয়ে আসা খোলা হাওয়া! সে খোলা হাওয়াটার নাম আরিফ। সব্বাই ঘুমালে ভাইয়ার রুম থেকে সেলফোনটা চুরি করে আনা। চুপি চুপি অনলাইন হয়ে হুট হাট মেইল করা । যখন তখন মনে মনে ওর সাথে কথা বলা। কল্পনার জ্বাল বুনে চলা।

ও মাই গড!!! পরীক্ষা যাচ্ছে রসাতলে কোনো খবরই নেই তার । মা খুশী, ভাইয়াও, বাবা বেশীভাগ সময় বাইরে বাইরেই তবুও বাড়ি ফিরে ইন্নাহর সম্পর্কে রিপোর্ট পেয়ে মহা খুশী। মেয়েটা বেশ মন দিয়েই পড়ছে তাইলে আজকাল।
কিন্তু শুধু ইন্নাহই জানে কেমন পড়া পড়ছে সে। আজকাল বই এর পাতার কঠিন দূর্বোধ্য সব লেখাগুলো বদলে গিয়ে হয়ে উঠেছে এক একটা ভালোবাসার কাব্য। ইতিহাস বই এর অতীত কাহিনীগুলো তো সব ইন্নাহর ব্যাক টু দা ফিউচারের স্বপ্নের ইতিহাস লিখে যাচ্ছে। একটু একটু ভয় আর অনুশোচনাও হচ্ছে ওর। রেজাল্ট খারাপ হলে বাড়ি থেকে নির্ঘাৎ বের করে দেবে সবাই মিলে। মা তো বলেই দিয়েছেন সোজা নাকি সকালে উঠে যাকেই সামনে পাবেন তার সাথেই ধরে বিয়ে দিয়ে দেবেন তাকে। এত অপমান যেই পড়ালেখার জন্য সেই পড়ালেখা উঠেছে শিকেয়। কেনো যে এত ভালো লাগে আরিফকে ওর ! যেন সে এক হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন। ইদানীং ছায়ানটে শেখা রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলির মানে খুঁজে পায় সে মনে মনে। অথচ এই ছায়ানটে ভর্তি নিয়ে, গান শেখা নিয়ে মায়ের সাথে কম গন্ডগোল হয়নি তার! মায়ের খুব শখ মেয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখবে, গাইবে আর ইন্নাহর তাতে ছিলো যতরকম আপত্তি। কিন্তু এখন যখন তখন সেই শেখা গান গুলিই যেন আরিফ হয়ে যায়। এত ভালো লাগা! এত ভালোবাসা কেউ বাবা, মা ভাই বোন আর কাছের বন্ধুগুলো ছাড়া কাউকে বাসতে পারে এমনটা ইন্নাহর জানাই ছিলোনা কখনও। অবাক লাগে ইন্নাহর! অথচ ওরা দুজন কেউ কাউকেই এখনও দেখেনি। কিন্তু দুটি হৃদয় যেন গাঁথা হয়ে গেছে বিনি সুতোর মালায়। বিভোর সময় কাঁটে।

ভাবতেও হাসি পায়। একেই মনে হয় মানুষ বলে অন্ধ প্রেম। কি কান্ডটাই না করেছে ওরা সেসব দিনে। আরিফ তখন সবে মাত্র পড়ালেখা শেষ করে বাবার ব্যাবসায় ঢুকেছে আর ইন্নাহর চলছে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। যে কেউ শুনলে হয়তো বলবে ইঁচড়ে পাকা। কিন্তু ইন্নাহ জানে কি এক আকুলিবিকুলি ভালোবাসাই না সে ধারন করেছিলো সেদিন আরিফের জন্য তার হৃদ-পিন্জিরে।

সেদিন রাত প্রায় দুটো। যথারীতি নিত্য দিনের মত ওরা দুজন ফোনে বুঁদ হয়ে আছে বিশ্ব সংসার ফেলে। আরিফ বললো, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ইন্নাহ।। কিন্তু কি করে তা সম্ভব। ইন্নাহর মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেলো। আরিফের কোনো কথায়ই ওর ফেলতে ইচ্ছে করেনা। পারলে পুরো পৃথিবীটাই ও এনে দিতে পারে তার জন্য। আর সামান্য দেখতে চাওয়া ! এ তো সেসব চাওয়ার কাছে তুচ্ছ! ইন্নাহ জানতে চাইলো এই মুহুর্তে তার ইচ্ছা পূরণের উপায় কি? আরিফ বলে, আমাকে তোমার ছবি পাঠাও। ইমেইল করে বা মেসেন্জারে পাঠাতে পারো।

কম্পিউটারটা ভাইয়ার স্টাডিতে। এই রাত দুপুরে সেখানে যাওয়া অনেক বড় রিস্ক! তাতে কি? ইন্না তখন আরিফের ইচ্ছে পূরণের জন্য পারে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে। দুষ্টুমী করে ছবি পাঠালো ১১জন বান্ধবীর মাঝে ওকে খুঁজে নিতে হবে এমনি এক ছবি। ইন্নাহ তো জানেই সুচিত্রা সেন মার্কা তার আঁখির ভাষা এড়িয়ে যাওয়া আরিফ কেনো কোনো দুনিয়ার মানুষেরই বুঝি সাধ্যি নেই। আরিফ ঠিকি তাকে চিনে ফেলবে সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটা হিসেবেই। হলোও তাই আরিফ খুব সহজেই বুঝে নিলো ঠিকঠিক কে তার ইন্নাহ। আরিফ পাঠালো তার ছবি। মাত্র দুজন বন্ধু। বেঁছে নাও কোনটা আরিফ।

আরিফের ছবি দেখে তো ইন্নাহও কম অবাক নয়!!! এত সুন্দর একটা ছেলে! ও আসলে কখনও স্বপ্নেও ভাবেনি এত সুন্দর একজন স্বপ্নপুরুষের দেখা পেয়ে যাবে সে এত সহজেই। যাইহোক কম্পিউটার বন্ধ করে ঘুমাতে গেলো ইন্নাহ। মনে হয় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আরিফকেই স্বপ্নে দেখেছিলো সেদিন।

অনেক প্রতীক্ষার পর এলো সেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পরীক্ষা শেষ। আজ ওদের দেখা করবার কথা । সকাল থেকেই অন্যরকম এক চাঁপা উত্তেজনা কাজ করছে ওর মাঝে। কোন জামাটা পরবে, কোন দুলটা, কোন জুতোটা! মাকে অনেক ভুজুং ভাজুং দিয়েছে। প্রিয় বান্ধবী নাজিয়ার বাসায় যাবার কথা বলে মাকে ম্যানেজ করেছে কোনো রকম। ড্রাইভার নাজিয়াদের বাড়ি পৌছে দিয়ে আসবার পরই ও বের হবে রিকশা করে, এমনটাই প্ল্যান।

বারিধারা ডিও এইচ এস এর ৪ নং রাস্তার ৩৭২ নং বাসাটার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইন্না। আরিফের বর্ণনামত ওর কালো রঙের গাড়িটা ভুস করে এসে দাঁড়ালো ওর সামনে। জানলার কালো গ্লাসটাও নেমে এলো ধীরে ধীরে । ড্রাইভিং সিটে আরিফ। হাসছে। ইন্নাহ স্তম্ভিত!পাশের দরজাটা খুলে দিয়ে আরিফ বললো,
-কি হলো ? উঠে এসো ইন্নাহ।
ইন্নাহর পা দুটো যেন জমে পাথর হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে মাটিতে শেকড় গজিয়েছে ওর। ওর অবাক নেত্রে তাকিয়ে থাকা দেখে আরিফ প্রশ্ন করে,
- ইজ এনিথিং রঙ ইন্নাহ?
পুরোটা ঘোরের মধ্যেই গাড়িতে উঠে বসে ইন্নাহ।
আরিফ আবারও জিগাসা করে।
- তুমি কি নার্ভাস? খারাপ লাগছে তোমার? তাহলে চলো তোমাকে তোমার বাসাতেই নামিয়ে দিয়ে আসি।
ইন্নাহ মাথা নাড়ে। না, ঠিক আছে। সি ইজ অলরাইট। ভেতরে ভেতরে খুব কান্না পাচ্ছে ওর। নিজের নির্বুদ্ধিতার উপর রাগ লাগছে। কাকে দোষারোপ করবে বুঝতে পারছেনা সে।

এমন সময় হাতের মুঠোয় ধরে রাখা ফোনটা বেজে ওঠে। নাজিয়ার ফোন।
- কিরে ! সব কিছু ঠিক আছে?
-না। অতিকষ্টে কান্না চেপে বলে ইন্নাহ।
-কেনো? কি হয়েছে?
-পরে বলবো। বাসায় গিয়ে।
পাশে ড্রাইভিং সিটে আরিফকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে ইন্নাহ! একটু গম্ভীর দেখাচ্ছে ওকে ।

বাসায় ফিরে দৌড়ে প্রথমেই স্টাডিতে ঢোকে ইন্নাহ। কম্পিউটার খুলে প্রথমেই দেখে সেই ছবি। আরিফ যা তাকে দিয়েছিলো একদিন । ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে ইন্নাহ। মাত্র দুজন বন্ধুর মাঝে খুঁজে নিতে বলেছিলো আরিফ তাকে। ইন্নাহ যার দিকে জীবনেও তাকিয়েও দেখেনিএকবার সেই ছেলেটিই আরিফ। একটাবারের জন্যও যার দিকে দৃষ্টি পড়েনি ওর।


আজ দুসপ্তাহ হলো একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইন্নাহ। ফোন, ইমেইল, অনলাইন সব বন্ধ। কিন্তু যখনই ভাবছে তার এহেন আচরণে না জানি কত কষ্ট পাচ্ছে আরিফ ! আর তখনি ভেতরটা ভেঙ্গে চুরে যাচ্ছে। বুকের ভেতর এক অজানা হাহাকার। আহা বোচরী। তার কি দোষ? সেতো মিথ্যে বলেনি একটাবারও। কোনো সত্যিই গোপন করেনি সে। যা ভুল করার সেই করেছে। তাই বলে কি ভালোবাসাটাও ভুল? নিজেকেই হাজারো প্রশ্ন করে চলেছে ইন্নাহ। চারিধারটা হঠাৎ শূন্য মনে হচ্ছে। পায়ের তলায় যেন মাটি নেই। হঠাৎ করে রঙ্গীন উজ্জল পৃথিবীটা বিবর্ণ হয়ে গেছে ওর চোখের সামনেই।


রাত প্রায় তিনটা একফোঁটা ঘুম নেই ওর চোখে। পুরোটা বালিশ ভিজে গেছে চোখের জলে। হাত বাড়িয়ে বালিশের তলা থেকে ফোনটা টেনে বের করে ইন্নাহ। কি মনে করে যেন ফোনটা অন করে। সাথে সাথেই আরিফের ফোন। ফোনটা রিসিভ করে ইন্নাহ কিন্তু চুপ থাকে। বেশ কিছুক্ষন ওপাশেও নীরব।
-ইন্নাহ। আরিফ মুখ খোলে,
- কেমন আছো?
-নীরবতা
-ভালো আছো তুমি?
- আবারও নীরবতা।
-কথা বলো ইন্নাহ।
ইন্নাহ নিরুত্তর।
-আমি জানি তুমি ভুল করেছিলে। আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি। তুমি অনেক সুন্দর ইন্নাহ। তোমার পাশে আমি বেমানান। বড়ই বেমানান।
ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে বুঝি ওর।
ইন্নার গাল ভেসে যাচ্ছে চোখের জলে। কিছুই বলতে পারছেনা সে।
- ইন্নাহ শোনো। তুমি ভয় পেয়োনা। একটুও ভয় পেয়োনা তুমি। কষ্টও পেয়োনা। আমাকে ভালোবাসতে পারছোনা বলে একটুও দুঃখ রেখোনা মনে। তুমি কষ্ট পেলে আমারও অনেক কষ্ট হবে ইন্নাহ।
ভালো থেকো। অনেক ভালো থেকো তুমি। ফোন অনলাইন কিছুই বন্ধ রাখবার দরকার নেই। আমি সত্যিই তোমার ভালো চাই। তুমি কি জানো তুমি যে একটা লক্ষী মেয়ে? তুমি ভালো থাকো সেটাই চাই আমি। আমাকে ভয় পেয়োনা। আমি দেখতে পঁচা হতে পারি কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার কোনো রকম ক্ষতি চাইনা আমি। কথা দিলাম কখনও ফোন, ইমেইল এসব দিয়ে বা কোনোভাবেই ডিস্টার্ব করবোনা তোমাকে আমি আর কোনোদিন। ভালো থেকো তুমি লক্ষী ইন্নাহ।

ইন্নাহের রিতীমত শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। অবিশ্রাম কাঁদছে সে। আরিফের কথাগুলো কানের ভেতর দিয়ে ওর বুক পাঁজরের সব কটি অলিন্দের অলিগলির দরজা বন্ধ করে দিয়ে বসে আছে যেন। প্রচন্ড ফোঁপানীতে কথা বলার শক্তি হারিয়েছে সে।

- কাঁদবেনা বোকা মেয়ে। কান্না থামাও। আমি বলছি কিচ্ছু হবেনা। দুটো দিন সময় দাও ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালো থেকো ইন্নাহ। অনেক সুখী হও। রাখছি।

কিছুই বলতে পারেনা ইন্নাহ।

- তুমি কি কিছুই বলতে চাওনা ইন্নাহ। অন্তত বাই বলো।

তবুও কিছুই বলা হয়না ইন্নাহর।

- ওকে গুডবাই ইন্নাহমনি। তোমার অনেক ভালো চাই। অনেক ভালোবাসি তোমাকে।

ফোন কেঁটে দেয় চিরতরে আরিফ। সিমটা খুলে ফেলে দিতে গিয়ে কেবলি ব্যাক কাভারটা খুলতেই ইন্নাহর ফোন।

প্রচন্ড কান্না করছে মেয়েটা। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
আরিফের বুকটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। জীবনে এই প্রথম আরিফের দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে।



এ গল্পটা ইন্নাহর জীবনের গল্প। ইন্নাহ নামটাও মিথ্যে নয়। এইতো সেদিন এক বিয়ে বাড়িতে ইন্নাহ বলছিলো ওর জীবনের গল্পটা। মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম আমি বড় বড় চোখের সুচিত্রা সেন মার্কা ইন্নাহর মুখে ওর কিশোরীবেলার নিখাঁদ ভালোবাসার গল্প।
আজ পাঁচ বছর ওদের বিয়ে হয়েছে। দুই দুইটা দুষ্টু ছেলেবাবুর মা এখন ইন্নাহ। শুনেছি যাকে প্রচন্ড ভালোবাসে মানুষ। ধ্যান ধারনা ভালোবাসা হয় যাকে ঘিরে তার মতনই নাকি দেখতে হয় বাচ্চারা। ইন্নাহর দুইটা বেবির একটাও মায়ের মত হয়নি। দুজনই হয়েছে আরিফের কার্বন কপি। আর তাতেই বুঝা যায়, ভালোবেসে নিভৃত যতনে কার নামটি লিখেছিলো ইন্নাহ তার হৃদয় মন্দীরে।

ভ্যালেন্টাইন ডে তে আমার এই লেখাটি ছিলো প্রিয় বন্ধু কাম সহকর্মী ইন্নাহর জন্য আমার বিশেষ উপহার। আর লেখাটি আমার কলিজার টুকরা স্বপ্নজয় ভাইয়ার এ বছরের ভালোবাসা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৯
১৭৩টি মন্তব্য ১৭৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×