সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে, গভীররাতের জাগায় লাগে......
প্রায় প্রায়ই মর্মে এমন সব রঙ লাগে আমার।
যাই হোক বসন্তের এই মাতাল সমীরণের মন উচাটন দিনে এত এত হরতাল, স্কুল বন্ধ, গৃহবন্ধি অবস্থা, নো শপিং, নো ঘুরাঘুরি কার আর ভালো লাগে?
এখন গ্লাস পাই কোথায়?
আমার সপ্তবর্ণা গরবিণী ময়ুরী!!!!
আমার রাজকুমারী চিত্রামালা।
নৃত্য গীত পটিয়সী অপ্সরী, কিন্নরীদের বোন।
উর্বশী অথবা মেনকা
ফুলের সাজে বনদেবী।
আমার পল্লীবালার ঘাঘরী-চোলি, ওড়নায় রঙ ঢেলে তাতে ছড়িয়ে দিলাম ঝিকিমিকি গ্লিটারস।
আমার কুংফু পান্ডা।
আমার মত যারা হরতালে বাসায় বসে বসে বোর হয় তাদের জন্য বা আমার প্রিয় ভাইয়া আপুনিদের পিচ্চু পাচ্চি বাবুগুলি যারা এখনও আন্টিমনির মত এইসব আজগুবী কাজগুলি করার সুযোগ পায়নি আমি তাদেরকে শিখিয়ে দিতে পারি কেমন করতে হয় আমার মত অং বং গ্লাস পেইন্ট।
গ্লাস পেইন্ট রেসিপি-
উপকরণঃ
১. গ্লাস পেইন্ট বক্স- এটার সাথেই রঙের আলগা ক্যাপসহ ছোট ছোট বোতলগুলো আর একটা আউটলাইনার থাকে। গুলশানের বই বিচিত্রা, গাউসিয়া রঙ বিতান বা নিউ মার্কেটের মর্ডানে পাওয়া যায়।
২. গ্লাস- যেমন ইচ্ছে তেমন সাইজ। গ্লাসের দোকানে গিয়ে কাঁটিয়ে আনতে হবে। এই ঝামেলা না চাইলে পানি খাবার গ্লাস, ভাত খাবার প্লেট, তরকারীর বাটি অবশ্যই সেসব ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। চিনামাটিতে বা সিরামিকেও করা যায় তবে সে আবার অন্য ঝামেলা। যাইহোক দরজা জানালার কাঁচ বা আলমারীর গ্লাসও ইউজ করা যেতে পারে।
৩. ছবি - যে কোনো পছন্দসই ছবি।
৪. গ্লিটারস বা নানা রকম পুঁতি চুমকি, জরি।- ডেকোরেশনের জন্য।
প্রণালীঃ
যে কোনো পছন্দসই ছবিটা গ্লাসের নীচে রেখে এঁকে নিতে হবে আউটলাইন দিয়ে। ২৪ ঘন্টা শুকানোর জন্য ওয়েট করতে হবে। আমি অবশ্য দুইঘন্টাও করিনা।
এখন ফ্রেমকরে টেবিলে সাজিয়েও রাখা যায়
বা দেওয়ালে ঝুলিয়েও দেওয়া যায়।
অবশ্য আমার এই ছবিটা বুকিং হয়ে গেছে রিমঝিমনির কাছে। তবে বাকীগুলো আমি সব অনিন্দিতামনিকে দিয়ে দিলাম।
আর কুংফু পান্ডাটা ইখতামিন ভাইয়াকে।
আঁধার নিশার বক্ষে যেমন তারা জাগে,
পাষান গুহার কক্ষে নিঝর ধারা জাগে...
মেঘের বুকে মেঘের যেমন মন্দ্র জাগে
বিশ্বনাচের কেন্দ্রে যেমন ছন্দ জাগে
তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও
কাঁদন-বাঁধন ভাগিয়ে দিয়ে॥
.......................................
রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে.......
রাঙিয়ে দিয়ে যাক রঙগুলো সব সবার মনে.............
একই শিরোনামে আরও একটি অনেক আগের পোস্ট
http://www.somewhereinblog.net/blog/Ochinpakhi/28979720

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


