একদিন এই পৃথিবীর সকলের কাছে ছুটি নেবো আমি,
এই সমাজ, এই সংসার, এই সাজানো মুখোশ,
ব্যক্তিত্ব বয়ে চলা দায়িত্ববোধ,
সকলের কাছেই শুধু একটা দিনের ছুটি চাই আমি,
শুধুমাত্র একটা দিন....
এই একটা দিনের জন্য
আমি সকলের চোখে পরিয়ে দিতে চাই,
কালো কুচকুচে কাঁপড়ে বাঁধা ঠুলি,
বন্ধ করে দিতে চাই,
সকল সমাজ রক্ষক ও জগতের রীতি-নীতি
বেঁধে দেওয়া বুদ্ধিজীবিদের বুলি।
আমি চাই একটা দিনের জন্য
অন্ধ হয়ে যাক জগতের সব লোক...
অথবা প্রগাঢ় কোনো নেশায়
মদির হয়ে থাকুক তাদের কুটিল চোখ......
শুধু একটা দিনের ছুটি চাই আমি -
শুধু একটা দিন- সকাল হতে সন্ধ্যা-
সেদিন রাস্তায় না চলুক কোনো যানবাহন,
আকাশথেও না উড়ুক কোনো আকাশযান,
জল স্থল বন্দরে বা অন্তরীক্ষেই
সব খানেই সেদিন ছুটি ঘোষিত হোক।
সকলের চোখ ঘুমে ঢুলুঢুলু অথবা
রঙ্গিন স্বপনে বিভোর থাকুক তারা।
যে রুক্ষ কঠিন মানবটির প্রানেও
কোনোদিন জাগেনি ভালোবাসা
সেও সেদিন গলে যাক মোমের মতন,
জলবৎ তরলং হয়ে বেঁজে উঠুক তার প্রাণে
ভালোবাসার জল তরঙ্গের মিঠে ও কোমল সূর।
যে হাহাকারচারী কখনও পায়নি ভালোবাসা,
কখনও কেউ বাসেনি যাকে ভালো,
সেদিন তার অন্তরও ভরে উঠুক কানায় কানায়।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বাঁজাক ফের সন্মোহনের বাঁশি,
ছুটে আসুক তার অন্তঃপুরবাসিনী আজন্ম বন্দিনী প্রেমিকা
কৃষ্ণ নামুক আকাশ চিরে আবার এই ধরাধামে,
রাঁধা নাচুক বর্ষামঙ্গল অথবা মেঘমল্লার তানে।
পৃথিবীতে সেদিন সবার ছুটি,
সবার মনেই সেদিন প্রেম আর ভালোবাসা,
কোনো দুঃখ নেই, কোনো কষ্ট নেই,
নেই কোনো আক্ষেপ বা জটিলতা,
সবারই সেদিন স্বপ্নে হারা চোখ,
নেই কোনো চোখ রাঙ্গানিয়া সমাজ রক্ষক।
সবার কাছেই এই একটা দিনের ছুটিই চাই আমি,
শুধু একটা মাত্র দিন ।
প্রাণ ভরে টেনে নেবো বিশুদ্ধ খোলা বাতাস,
চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস মিলিয়ে দেবো আকাশে।
বুকের পাঁজরে ঢেকে রাখা কষ্টগুলোকে মুক্তি দিয়ে দেবো,
তারপর এক ছুটে চলে যাবো -
তোমার কাছে.....
শুধু মাত্র একটা দিনের জন্যই শুধু
নিজের মত একটুখানি বাঁচতে চাই আমি .......
অনেকদিন পর এই আমার স্টাইল কবিতা লিখলাম আমি। আগে মনে যা আসতো তাই দিয়ে দিয়েই এন্টার চেপে কবিতার মত সাজিয়ে দিতাম । এখনও অবশ্যতাই করি। তবে আগের মত পাবলিশ করে দেই না যা হলো তাই। সেই নাপিত ডক্টরের মত ভেবে ভেবে আর ছাপাই হয় না। তবে নিজের মনে বলা কথাগুলো মাঝে মাঝেই এন্টার চেপে কবিতা বানাই আমি। তারপর লুকিয়ে রাখি। তারই একটা দিয়ে দিলাম আজ। একরামুল শামীমভাইয়া বলেছিলো পরিচিতি নাকি মানুষের ইনোসেন্সী বা আবেগ কেড়ে নেয়। মানুষ হয়ে ওঠে ক্যালকুলেটিভ। তাই নাকি আমি আগের মত যা মনে আসে তাই ছাপিয়ে দেই না। ভাইয়া ঠিকই বলেছিলো। গুরু মানুষ। দেখি আজ কবিতার গুরু সোনাবীজভাইয়া কি বলে? )
সাথে মরুভূমির জলদস্যুভাইয়াকেও অনেক অনেক থ্যাংকস। ছবি বড় করে সামুতে দেবার টেকনিকটাও ঝালাই করে নেওয়া হলো।
একটি ছুটির দরখাস্ত...
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৪