বরগুনা সদর উপজেলার ০৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে ১৯৪৯ সালে প্রখ্যাত ডাক্তার আবুল হাসেম (হাসু ডাক্তার) ও জরিনা বিবির ঘরে মো: আ: রশিদ ওরফে মাজেদ চেয়্যারম্যান জন্ম গ্রহন করেন। অল্প বয়সে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার নেতৃত্বে পূর্ব কেওড়াবুনিয়া-বরগুনা ভাড়ারি খালের পাড়ে ও পায়ড়া নদী সংলগ্ন ওয়াপদা রাস্তার উপর বাংকার তৈরি করা হয়। চরকগাছিয়া-বরগুনার সাথে সংযোগকারী কাঠের ব্রীজ ধ্বংস করা হয়। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার , অর্থ, নিজের বন্দুক, গোলাবারুদ দিয়ে তিনি সহায়তা করেন। এবং মরহুম এমপি সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালী সাবেক উপজেলা চেয়্যারম্যান আ: রশিদ সাহেব ছাড়াও অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেন। তিনি আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ এর ৯ সেপ্টেম্বর বরগুনার থানা আওয়ামীলীগ এর গোপন বৈঠকে যোগ দিতে তিনি বরগুনায় এলে তারই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজাকার আবদুর রশিদ গাজী ও হাবিব চৌধুরী তাকে হানাদার বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধানের জন্য তার উপর পাক আর্মিরা অমানুবিক অত্যাচার চালায়। নির্যাতন সহ্য করেও তথ্য দিতে অস্বীকার করলে ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অপরাহ্নে তৎকালীন এসডিও’র জেটি বর্তমান সিরাজউদ্দিন মিলনায়তন টাউন হলের উত্তর পাশে পাক-হানাদার বাহিনী তাকে এবং তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা তাহের কে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ এই মুক্তিযোদ্ধার লাশ তার পরিবার পরিজন পায় নি। গন কবরে শহীদ স্মৃতিফলকে ০২ নং ক্রমিকে তার নাম লিপি বদ্ধ করা আছে।’’
সূত্র: বরগুনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত ‘‘বরগুনা জেলা ইতিহাস’’।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ খ্রি: তারিখে মাজেদ চেয়্যারম্যান এর ছেলে মো: মুজিবুর রহমান ফরহাদ আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল এর কাছে এই যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন।
সংগ্রহ ঃ "ণাগরিক অধিকার" বুলেটিন মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত।
visit : http://www.nagorikodhikar.org