শব্দের পোস্টমর্টেম-১৪০ (ভদ্র)
সম্বোধনে প্রিয়, সাধু ও মিত্রভাবাপন্ন। আবার পুংলিঙ্গে শিব (ভদ্রকাব্য মানে শিবের কাব্য) খঞ্জন, বৃষভ, করি জাতিবিশেষ, যে গোপনে পাপ করে ও বাইরে সদাকারে তা প্রচ্ছন্ন রেখে পরদ্রব্যগ্রহণ করে, কদম্ব, স্নুহী বৃক্ষ, চন্দন, দেবদারু, সুমেরু, জিনবিশেষ।
অন্যদিকে সংস্কৃতে ক্লীবলিঙ্গে ভদ্র মানে মঙ্গল, শুভ, বিপ্রবাক্য, শুভকর বিষয়, হিত, ভদ্রমুথা, কাঞ্চন।
আবার জ্যোতিষশাস্ত্রে ভদ্র হচ্ছে সপ্তম করণ।
কিন্তু বাংলায় ভদ্র মানে এসব কিছু নয়। বাংলায় ভদ্র মানে সদ্বংশজাত ব্যক্তি।
ভদ্র শব্দটির অর্থ সব সময় একই জায়গায় স্থির থাকে নি। শ্রেষ্ঠ, উত্তম, ভাল, মঙ্গল অর্থে ভদ্র শব্দটি এক সময় ব্যবহৃত হতো। এককালে গ্রামের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বা গ্রামবাসীর নির্বাচিত ব্যক্তিই 'ভদ্র' ছিলেন। বর্তমানে ভদ্র মানে সভ্য, সংস্কৃতিমনা, রুচিশীল।
বৈদিক যুগে নিরুক্ত বা শব্দশাস্ত্রে ভদ্র শব্দটি দিয়ে গৃহ, প্রজা, পশু, বিত্ত ইত্যাদি নির্দেশিত হতো। মধ্যযুগেও নানা অর্থে ভদ্র শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
বর্তমানে মহাদেব, বলরাম, রামের অনুচর, দিগগজ, খঞ্জন পাখি, শ্রীকৃষষ্ণর লীলাকানন, ষাঁড়, সাধু, সৌভাগ্য, শুভ, ক্ষৌর (ভদ্র কর, ছাড় এ মলিন বসন - চৈতন্যচরিতামৃত), দেউল, সাধু, ইতর, প্রধান অর্থে শব্দটির প্রয়োগ আর নেই।
আবার ভদ্র মানে কল্যাণ। মানবজীবনে সাধারণত কল্যাণ চারটি - ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ।
পঞ্চভদ্র বলতে বোঝায় পাঁচটি শুভচিহ্নকে। যে অশ্বের মুখ, পিঠ, বুক ও দুইপার্শ্ব - এ পাঁচ জায়গায় নে শুভ লক্ষণসূচক আবর্ত আছে তা পঞ্চভদ্র নামে অভিহিত। কথিত হয়। এরূপ অশ্ব দেখে যাত্রা করলে নাকি মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ১১টি উপাদানকে ভদ্র বলা হয়। যেমন স্বর্ণ, লোহা, নীলপদ্ম, চন্দন, কদম, স্নুহী গাছ, মুস্তক, নাগরমুখা, ইন্দ্রযব, দেবদারু ও সরল দেবদারু।
ভদ্রের স্ত্রীলিঙ্গ ভদ্রা। ভদ্রা শব্দটি দিয়ে সুশীলা বা মার্জিত রুচির নারী বোঝালেও শব্দটি এক সময় অভিমন্যুর জননী সুভদ্রা, সূর্য্যকন্যা, উত্তর কুরুবর্ষে প্রবাহিত গঙ্গাস্রোত, আকাশগঙ্গা, মিষ্টি, অবশিষ্ট তিন দণ্ড, দ্বিতীয়া সপ্তমী ও দ্বাদশী তিথি অর্থে ব্যবহৃত হতো।
আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ১৪টি উপাদান ভদ্রা নামে পরিচিত। যেমন অনন্তা, জীবন্তী, কাকডুমুর, শমী, কটফল, গাম্ভারী, নালী, অপরাজিতা, হরিদ্রা, সুতা, রাস্না, বচ, শ্বেত দুর্বা ও দন্তী।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ
ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার
১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?
গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
আর্তনাদ
গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)
ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন