View this link
স্বাধীন বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করে ভারতের বিজেপি নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বুদ্ধিজীবীরা। তারা এ ব্যাপারে সরকারের নীরবতারও সমালোচনা করেছেন।
ভারতের বিজেপির নেতার ভূখণ্ড দাবির প্রতিক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভারতের নেতারা বাংলাদেশ নিয়ে এ জাতীয় উদ্ভট দাবি থেকে যেন বিরত থাকেন। তা না হলে আমরাও অবিভক্ত বাংলার বাকি অংশ যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, ত্রিপুরা এবং আসামের অংশ ফেরত চাইবো।’
ভারতের হিন্দুত্ববাদী সামপ্রদায়িক দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা সুব্রাহ্মনিয়ম স্বামী শুক্রবার আসামের গৌহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কাছে এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেন।
তিনি দেশ ভাগের পর সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান থেকে এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দিতে বাংলাদেশের কাছে দাবি জানান।
শনিবার আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গের ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত। ওইদিনই নতুন বার্তা ডটকম এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে দেশের মানুষ বিস্মিত ও আতঙ্কিত হন।
এ প্রসঙ্গে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ মনে করেন, ভারতীয় উগ্র হিন্দুদের বাংলাদেশ বা মুসলিম বিরোধী কথাবার্তা এ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রধান শফিউল আলম প্রধান মনে করেন, দিল্লির প্রতি আনুগত্যশীল একটি সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্যই বাংলাদেশেকে নিয়ে ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদীরা এরকম দাবি করতে পারছে।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদীদের খায়েস পূরণ হবে না। ভারতীয় জনগণ যদি সুব্রাহ্মনিয়মদের মতো নেতাদের উগ্র দাবিকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষও অবিভক্ত বাংলার দাবিতে সোচ্চার হতে পারে।
View this link
কলকাতার ওপর আমাদের যৌক্তিক দাবি আছে।
পূর্ব বাংলার টাকায় ভারতের নগরী কলকাতা গড়ে উঠেছে জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা আছে।
এজন্য কলকাতার উপর আমাদের (পূর্ব বাংলার) অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘কংগ্রেসের কারণেই ভারত বিভক্ত হয়েছে। আর পূর্ব বাংলার টাকায় কলকাতা পূর্ণ হয়েছে। খুলনা সীমান্ত থেকে সিলেট পর্যন্ত ভারতের দাবি অযৌক্তিক কিন্তু কলকাতার প্রতি আমাদের দাবি যৌক্তিক।’
তিনি বলেন, ‘দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি কিন্তু জাতি হিসেবে বড়। এখন সুযোগ এসেছে জবাব দেয়ার। মোঘল,ব বৃটিশ,পাকিস্তানীদের শাসন আমরা মানিনি। আর দিল্লির শাসন কেন মানব?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সাথে ষড়যন্ত্র করবেন না। এর ফল শুভ হবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


