somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মেয়ে ভূত (প্রথম পর্ব)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দরজা বাইরে থেকে লাগানোর সময়
দেখলাম,মাথার উপরে নিল লাইটা
বৃস্টি মত ঝিরিঝিরি সারি বদ্ধ হয়ে
নিচে আলো দিচ্ছে। কোন শব্দ হলো
না দরজা লাগানোর সময়। শব্দ হলে
আবার ভিতরে চলো যেতে হত। শব্দহীন
কাজ করল আমার মগজ আর হাত,একদম
দরজার হাতলে আদর করে। মাঝ রাত
লিফট বন্ধ,সিরি ভাঙ্গতে হবে
নিঃশব্দে। কেউ টের পেলে
ঝামেলা, আমার বাসায় হত না।
বাসার সবাই মোটামুটি জানে মাঝে
মাঝে রাতে বের হই। হিমুর মত কিন্তু
সেটা মাঝ রাতে শুরু হয়,ফিরি যখন সূর্য
স্নিগ্ধ আলো দেয়। যখন এক শ্রেণীর
মানুষ খুব প্রয়জনে বের হয়। মাঝে মাঝে
রিক্সাওয়ালাদের জোরে সোরে
সালাম বা অপ্রয়জনে ধমক দিয়ে চমকে
দেই। আসলে এরা চমকায় না হাসে।
জিবন এদের কাছে প্রতিনিয়ত চমকে
গেছে। ৪তলা থেকে নামতে নামতে
পাশে বিল্ডিংএর লাইট গুলো
দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল আলো আমার
মত সিরি ভাঙ্গছে। আসলে একতলা
নিচে নামতে আরেক তলার লাইট
দেখা যাচ্ছিল। মাঝমরাত দারোয়ান
কে কি বলে ডাকব ভেবে পাচ্ছিলাম
না। কাগজ কথা বলতে পারলে তাকে
দিয়ে ডাকাতাম। মামা;মামা;।
নিস্তব্ধতা। সময় নিলাম,তার শব্দ
শোনার জন্য। আবার ডাকলাম,
মামা;মামা;বাইরে যাবো গেট’টা
একটু খুলে দাও। চোখ মুছতে মুছতে মামা
হাজির, হাতে টর্চ লাইট। কারন রাতে
দু’শ্রেনীর মানুষ বের হয় চোর আর পুলিশ।
আসলে সেটা রাতে টর্চ জ্বালিয়ে
না দেখা যায় দিনে আরো বেশি
দেখা যায় না সরকারি অফিস
গুলোতে। সে কাশলো,আমার
উপস্তিতি তাকে মোটে সুখ দিচ্ছিল
না সেটা তার কাশির শব্দে বোঝা
গেলো।
:কি হইছে?
এমন ভাব করলো মনে হয় কিছু শুনে নাই।
:বাইরে যাবো, গেট খোলো।
ধুর মামা আফনে পত্তেক দিন আমারে
গাইল খাওয়ান। বাড়িয়ালি আমারে
রাগা রাগা রাগি করে,আমি কেন
আপনারে গেট খুইল্লা দেই।
বাড়িয়ালাদের চেয়ে য়ালিরা
ভারাটিয়াদের খুত বের করায় বেশি
এক্সপার্ট।
: প্রত্যেক দিন মানে? আমি’ত শুধু
আমাবশ্যার শেষে আর পূর্নিমার শুরুতে
বের হই। প্রতিদিন হলো কিভাবে?
: চান্দের হিসাব বুঝিনা গেটা খুলতে
পারুম না।
:ধুর মামা দাও না খুলে। আমি মানি
ব্যাগ খুলতে খুলতে। দারোয়ান গেটের
দিকে হাটা শুরু করলো। গেট পুরোটা
না খুলে আমাকে সাব গেট খুলে
দিলো।
: মামা ম্যাচেস আছে?
: আছে, দারানা নিয়া আসতেছি।
আমি গেটের বাইরে অপেক্ষা করছি।
দারোয়ান আসলো, একটা প্যাকেট
নিয়ে। সে গেটের ভিতর থেকেই
আমার হাতে দিলো। মনে হচ্ছে
বাইরে বের হলে ওর বিল্ডিং চুরি হয়ে
যাবে। আমি নোট’টা আর মানি
ব্যাগটা দারোয়ান আসলো, একটা
প্যাকেট নিয়ে। সে গেটের ভিতর
থেকেই আমার হাতে দিলো। মনে
হচ্ছে বাইরে বের হলে ওর বিল্ডিং
চুরি হয়ে যাবে। আমি নোট’টা আর
মানি ব্যাগটা দারোয়ানের হাতে
দিলাম, ভাঙ্গতি টাকা রেখে।
: এটা রাখো সকালে নিবো।
:আচ্ছা
গেট লাগাতে লাগাতে বললো। মনে
হয় দারোয়ান রাগ করেনি। রাতে কেউ
ডেকে টাকা দিলে খারাব লাগার
কথাও না। পকেটে আগুন আছে,দরকার শুধু
সিগারেট। সামনের দুটো আর
পেছোনের দুটো পকেট চেক করলে হয়ত
পাওয়া যাবে। কস্ট শুধু এতো গুলো পকেট
চেক করা। একটা থেকে মানি ব্যাগ
বের হয়েছে বাকি রইলো তিনটা।
দ্বিতীয়টায় হাত দিয়ে মোচরানো
দমরানো একটা পাওয়া গেলো। হাটছি
আর তাকে টেনে সোজা করার
চেস্টা করছি। মুখে লাগিয়ে গতি
বাড়ালাম। আপাতত উদ্দেশ্য মেন রোড।
প্রত্যেক রোডে দুজন করে পাহারাদার
তার মানে আমি পাড়ি দিব ৪টা রোড,
৮জন মানুষের সাথেনকথা বলতে হবে!
ভাল লাগছে না কথা বলতে। আমার
রোডে পাহারাদার আমাকে চিনে।
ওকে নিয়ে হাটতে লাগলাম। আবার
বিশ টাকা আর অর্ধেক সিগারেটের
ভাগ দিতে হবে। যদিও এর আগে অনেক
বার এরকম মানুষের সাথে সিগারেট
ভাগ করে খাওয়ার জন্য বন্ধুদের বকা
শুনেছি। আমি মনে করি সিগারেট ই
এমাত্র জিনিস যা গরিব বড়লোক সবাই
খায়। ৩য় নাম্বার রোড সেই কথা
আবার”সাবধান বলে জোরেনটান ন কে
টেনে সবার কানে পৌছানোর
চেস্টা করছে আমার পাশের জন। আর
সাথে থাকা লাঠি দিয়ে রাস্তায়
আঘাত করছে। মনে হচ্ছে,রাস্তা ওর শত্রু।
শব্দটা আমাকে জালাচ্ছে। বেশিদূর
সহ্য করতে হলো না মেন রোডে চলে
এসে পড়েছি। লোকটা আমাকে প্রশ্ন
করলো-
: স্যার রাতে বেলা হাইট্টা কি
মজাপান?
এরকম প্রশ্ন শুনে কি উত্তর দিবো ভেবে
পাচ্ছিলাম নাহ!তার জন্য মুখ দিয়ে
এরকম উত্তর বের হলো।
: তোমার বৌ কে মেরে যেরকম মজা
পাউ সেরকম।
থ খেয়ে দারিয়ে রইলো। আমি হাটছি
মেন রোড দিয়ে মাঝে দু’একটা গাড়ি
যাচ্ছে। আবছা আলো
লাম্পপোস্টের,খারাব লাগছে না।
দররকার শুধু সিগারেট। মাঝ রাতে
সিগারেট পাওয়া যাবে বলে হলো
না। আরেকটু এগিয়ে তবু
খুজছি,নিকোটিন অক্সিজেনে মত
আমার শরির খুজছে। অনুমান থেকে
আরেকটু সামনে হাসপাতালে পাশে
একটা ট্রাক স্টান্ড আছে। দোকান আছে
তার মানে সিগারেট ও আছে।
সিগারেট নেই এমন দোকান পাওয়া
কস্ট। ভাঙ্গতি টাকা গুলো নিয়ে
বেনসন নিয়ে হাসপাতালা ক্রস করছি।
কোন গন্ধ নেই শহরের বেসরকারি
হাসপাতাল গুলোতে। সররকারি হলে
বাইরে থেকে টের পাওয়া যেত।
হাসপাতাল পার হবার পর একটা
এম্বুলেন্স পাশি কাটিয়ে চলে
গেলো। চোখের সামনে লাশ বাহি
গাড়ি লেখাটাও মিলেয়ে গেলো।
মনে হয় হাসপাতাল থেকে বের
হয়েছে। হাটছি মাঝরাতে সিহরন
আছেনভয় নেই, কারন পকেটে টাকা
নেই। টাকা মানে ভয়,টাকার জন্য ভয়।
এসব ভাবছি হটাৎকরে কে যেনো আমার
সামনে দিয়ে দৌউরে রাস্তা পার
হলো। রাস্তার ও পারে কাউকে
দেখতে পাচ্ছিলাম না। না ভয় পাইনি,
আমি তেমন ভয় পাই না। মন খারাব
থাকলে গ্রামে শ্মশানে গিয়ে বসে
থাকতাম। নিরবতা কে গিলে গিলে
খেয়ে মন ভালো করতাম। হয়ত আলো কম
থাকায় দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু
পরক্ষনে আমার যুক্তিটা মিথ্যে হলো।
যখন আমার সামনে কাউকে দারিয়ে
পরতে দেখলাম আমার মুখো মুখি!
(চলবে….
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×