somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মেয়ে ভূত (দ্বিতীয় পর্ব)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবছা কাউকে দেখলাম মাত্র কয়েক সেকেন্ডের
জন্য। আবার অন্ধকারে মিলেয়ে গেলো। আমার
শরীর কিছুক্ষনের জন্য থমকে গিয়েছিলো। এদিকে মন
আবার ভয় না পাওয়ার যুক্তি দার করাচ্ছে,হয়ত
মনের ভুল নয় হ্যালোসিয়েশন দেখেছি। দ্রুত পা
ফেলছি। আরেকটা সিগারেট ধরালাম। রাস্তার
এখানটায় বেশ অন্ধকার যত শীগ্রই পার করা
যায় ভাবছিলাম। কিছুদূর এগুতো আমার পিছনে
কাউকে কল্পনা করছি,মনে হচ্ছে কেউ আমার পিছু
নিয়েছে। এভাবে কল্পনা করে নিজে নিজে ভয়
পাওয়ার কোন মানে হয় না তাই পিছনে ফিরে
তাকালাম, কেউ নেই। শহড়ের রাস্তায় ভূত দেখা
বা কল্পনা করা দুটো’ই বোকামি। ভূত থাকে
যেখানে ভূতে বিশ্বাসীরা থাকে। শহড়ে মানুষ
মানুষ কে খুব কম বিশ্বাস করে আর ভূতে বিশ্বাস!
ভাবছি আর হাটছি। আবার আবছা ছায়াটা কে
সামনে দেখলাম। এবার আমার দারাতে হয়নি,পা
আমাকে থামিয়ে দিয়েছে। চোখ বন্ধ করলাম
তাকিয়ে তাকিয়ে ভূত দেখার কোন মানে হয়না।
চোখ বন্ধ করার আরেকটা কারন হলো যদি আমার
কল্পনা হয় তাহলে তাকে চোখ বন্ধ করে ও দেখবো।
কিম্ত সে রকমটা হলো না, পা নড়ছিলো না মন
বলছে-দৌর-দৌর। আবছা ছায়া দেখে ভয় পেয়ে দৌর
দেয়ার কোন কারন দেখছিলাম না। সিগারেট যে
কখন হাত থেকে পড়ে গেছে খেয়াল করিনি, যখন হাত
মুখের কাছে নিলাম ধোয়া নেয়ার জন্য, তখন টের
পেলাম আঙ্গুলের ফাকে কিছু নেই। অক্সিজেন’ত
বন্ধ এবার নিকোটিন ও বন্ধ হলো। ভয় কে সামনে করে
দাড়িয়ে আছি না দেখে, না চোখ খুলবো না চোখ
খুললেই সেই অবয়কটা আবার দেখতে হবে। চেতনা
হারাবো সকালে বাসায় ফোন যাবে আমি
রাস্তায় পড়ে আছি। ব্যাপারটা সিগারেট
পর্যন্ত থাকবে না তাহলে,খেয়ে পড়েছিলাম সেটা
ভাববে। চোখ বন্ধ রাখার পণ ও ভাঙ্গতে হবে বলে
মন হচ্ছিল কানে হালকা শো-শো শব্দ শুনলাম।
কারো নিশ্বাসের শব্দ। অশরীরের নিশ্বাসপ্রশ্বাস!
এবার আমি সিউর যে কল্পনা না। আস্তে আস্তে
শব্দটা আমার কাছে চলে আসলো,হাত পা,বুক সব
থেমে গেছে। এতো কাছে চলে আসলো যে বাতাস
গুলো আমার মুখে লাগছিলো। ডান কাধে কারো
হাত অনুভব করলাম এবার আমার শরীরিরে
বিৎদুত চমকালো। ডান পাশটা কাপছে আমার,বোধ
ফিরে পেয়েছি। চোখ খুলবো ভাবার আগেই একা একা
চোখ খুলে গেলো। পা,দুটো সাদা পা দেখতে পেলাম।
খালি পা,রাস্তার উপরে শুন্যের উপড়ে না।
যতটুকু জানি ভূতেরা শুন্যের উপর ভেসে থাকে।
সামান্য সাহস পেলাম উপরে তাকাবার, পা
মেয়েদের বলে মনে হচ্ছিলো । হাত আমার কাধ থেকে
সরে গেলো। আমি চোখ তুললাম সরাসরি তার মুখে
আমার দৃস্টি স্থৃর হলো চোখগুলো মটেও হরর মুভি গুলোর
মত না। এবার ভয়টা আরো কেটে গেলো। মুখটার
রংটাও ঠিক আছে, চোখে চোখ রাখলাম নিরবতা
আমাকে ঘিরে ধরলো। না তেমন ভংকর না। ভূত
হলে এত সময়ে আমার ঘার মটকানো হয়ে যেত। সময়
যাচ্ছে সাহস বাড়ছে, সব’ত মানুষের মত! কাধ
গলা বুক সব মেয়েদের মত। তখনি হি হি হি শব্দ করে
উঠলো, যতটুকু সাহস জুগিয়ে ছিলাম সব হারালাম।
থেমে গেলো। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না দৌর
দেওয়া এখন আরো অসম্ভব পা আবার রাস্তার
সাথে লক হয়ে গেছে। আমাকে কি কেউ ভূত সেজে
ভয় দেখাচ্ছে? না তা হবে না মেয়েদের খেয়ে আর
কাজ নেই, বোকা বনে গেলাম। আগ্রহ বেড়ে গেলো,
মনে অজান্তে প্রশ্ন করে ফেললাম-
: আপনি কি মরা ভুত না ন্যাচারাল ভুত?
নিরবতা। আমার গলা কাপছিলো, উত্তর পেলাম
না। প্রশ্নটা হাস্যকর তাই হয়ত উত্তর দেয়নি।
: আচ্ছা,আচ্ছা না মানে আপনি কি মরে ভুত
হয়েছেন না প্রাকৃতিক?
আবার হি হি করে উঠলো শব্দটা ভংকর হলেও চোখ
তা বলছে না। আলো কম বোঝা যাচ্ছিলো না তেমন
একটা মুখের অভিব্যাক্তি। ভূতটা আমাকে ভয়
দেখানোর অভিনয় করছে বুঝতে পারলাম, হি হি হি
শব্দটা তা বলে দিচ্ছিলো। আবার মেয়েটির চোখে
খেয়াল করলাম চোখটার নিচে শেলায়ের দাগ তবে
তেমন ভৌতিক লাগছিলো না। মুখের গড়ন সব কিছু
মিলিয়ে ভূত বলে মনে হচ্ছে না। একটা মেয়ে ভূত
ভাবা আমার ঠিক হচ্ছে না।
: দেখুন আপনি কে জানি না ভয় পেয়েছি কিন্তু
ওতোটা না। ঘাড় মটকালে মটকাতে পারেন।
এভাবে ভয়ে দারিয়ে থাকার মানে হয় না।
আজরাইলের হাতে মরার চেয়ে আপনার হাতে
মরা অনেক ভালো। আপনার অন্তত্য দুটা চোখ
তার' ত অনেক গুলো।
এবার সে হাসলো সুন্দর হাসি। ভুবন জুরানো হাসি
হয়ত এরকম হাসি আগে কোনো মুভিতে ও শুনিনি।
নিজেকে সাহসি প্রমান করতে গিয়ে কমেডিয়ান হয়ে
গেলাম।
: খেয়েছেন?
: হুম তুমি?
: গতকাল।
: কার ঘাড় মটকিয়ে?
: না মায়ের হাতে খেয়েছি।
(চলবে...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×