ভিক্টোরিয়া পার্কের ভিতর থেকে তোলা ছবি
নিউমার্কেটের সামনে রাতে ভাড়ে করে চা খাচ্ছি
গঙ্গার ধারে রাতে আমরা তিন'জনা
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে
ঠাকুর বাড়ীর ভিতরে
মিলেনিয়াম পার্কের ভিতর আমি আর আমার গিন্নি
ভিক্টোরিয়া পার্কের পুকুরের সামনে আমার সোনামনি
ফেয়ারলি প্লেসের সামনে আমরা চা খাচ্ছি। এখান থেকে দিল্লী যাবার ট্রেনের টিকেট কেটেছিলাম ।
মান্নাদের সেই বিখ্যাত কফি হাউজ। দোতলা থেকে তোলা ছবি
সেই নন্টে-ফন্টে দিয়ে শুরু। তারপর সুনীল, শীর্ষেন্দু, সমরেশ, সত্যজিতের হাত দিয়ে আমার এই মহানগরের প্রতি ভালবাসা। বইয়ের পাতায় পাতায় কতবার যে ঘুরেছি কলকাতার অলি-গলি। শ্যামবাজার,বাগবাজার, বউবাজার,হাতীবাগান, কলেজস্ট্রীট থেকে অনিমেষ-মাধবীলতা। শহরটাতে মিশে আছে কত ভাললাগা-কত ভালবাসা। তাই আমার কাছে কলকাতা যাওয়া বরাবরই আনন্দের। এবারের ভ্রমনটা ছিল আরো বেশী তৃপ্তিকর।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই পাড়ার চায়ের দোকানে মাটির ভাঁড়ে চুমুক দিয়ে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠা।
মেট্রোর দম বন্ধ করা ভিড় ঠেলে ঘুরতে যাওয়া, কিংবা সিটি সেন্টার বা হাতিবাগানের কোনও সিনেমা হল। বিকেলে ভিক্টোরিয়া বা হেদুয়ায় মনের সুখে গল্প করা অথবা বিকেলে গরমে অস্থির হয়ে গঙ্গার ধারে বা মিলেনিয়াম পার্কে আড্ডা মারা। সন্ধ্যায়্ কলেজ স্ট্রীটে বুড়োদার চায়ের দোকানে আড্ডা। বন্ধু পিনাকীর সাথে দক্ষিনাপন মার্কেটে ডু মারা, অপর্না সেনের বাড়ীর সামনে দিয়ে ট্যাক্সিতে করে যাওয়া। স্নেহাংশু জ্যাঠুর বাড়ীতে হেমন্তের একটা সুন্দর সকালে চা খেতেখতে দেশ ভাগ নিয়ে আড্ডা।বিদ্যাসাগর সেতু থেকে হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া থেকে কালীঘাট টেম্পেল, গঙ্গার ধার থেকে জোড়াসাকোড় ঠাকুর বাড়ী বাদ রাখি কোন কিছুই। সেই সাথে রাবড়ি, লেডিকেনি, কাজু বরফি,পান্তোয়াতো ছিলই।
রাজা রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, ডেভিড হেয়ার, সুভাষচন্দ্র বসু, মাদার টেরেসা, সত্যজিত্ রায়, অমর্ত্য সেন, বিদ্যাসাগর মশাই সহ অসংখ্য জ্জানী মানুষের, প্রিয় মানুষের আবাসস্থল ছিল এই কলকাতা। আমার প্রিয় শহর। ভালবাসার শহর। যেই শহরে আমার অনেক ভাললাগার সৃতি লুকিয়ে আছে। আছে নস্টালজিয়া।
বন্ধু পিনাকী গুহ আর স্নেহাংশু জ্যাঠুর আতিথিয়তায় এবারের কলকাতা ভ্রমনটা বেশ স্নরনীয় হয়ে থাকবে অনেকদিন। ফেলুদার শহর, সত্যজিত এর শহর,অঞ্জন এর শহর, সুমন এর শহর, সুনীল এর শহর আমার ভালবাসার শহর কলকাতা। যেদিন কলকাতা থেকে আবার ঢাকায় রওনা দিলাম সেদিন হিন্দোল দার একটা কথা বার বার মনে হচ্ছিল--"আমরা হয়ত একসাথে থাকতে পারতাম সাজিল" । কলকাতা তুমি ভাল থেক। ভাল থেক ফুল, মিষ্টি বকুল ভাল থেক। ভাল থেক গান, ভাটিয়ালী গান ভাল থেক......
অপর্না সেনের ৩৬ চৌরঙ্গী লেনের কথা মনে আছে?
কলকাতার বিখ্যাত দোসা । ২৫ রুপি একটার দাম।
হায়দারাবাদি বিরিয়ানি ।
রাস্তার পাশেই তৈরী হচ্ছে শিক কাবাব
নুডলস .।।।ইয়াম্মি
ঝুলে ঝুলে চলে যাওয়া যাচ্ছা ঢাকুরিয়া থেকে হাওরা।
স্নেহাংশু দাদা ভাইয়ের বাড়ীর সামনে ।
ফেলুদার সেই ট্যাক্সি ক্যাব
দাওয়াত রেস্টুরেন্ট। কলকাতা এলে এখানে খেতে ভুলবেন না।
।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪