somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাঝপথে রক্তাত্ত ভালবাসা (ছোট গল্প)

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তার সাথে আমার পরিচয় এক বন্ধুকে দিয়ে ,সে তাদের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরি ।সুন্দরি হলে যা হয় আর কি !দেমাগ দেখানু ,হেসে কথা বলা ।সব মিলিয়ে তার আকর্ষণীয় বেক্তিত্যে প্রথম দখাতেই প্রেমে পরেযাই । বন্ধুর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন দেই।পরিচয় দিয়ে কথা বলি , সে নিজেও আগ্রহ দেখিয়ে কথা বলে । এভাবে কাটল আরো আট দিন ,এর মধ্যে তার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয় ,বাবার একমাত্র মেয়ে এবং মামাদের একমাত্র ভাগ্নি বলে তাকে বিয়েতে যেতেই হয় । বিয়ে বাড়ীতে শত ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও আমার সাথে কথা নিয়মিত কথা বলে যায় । এর ফাঁকে তাকে জিজ্ঞেস করি ,তার কোন পছন্দ আছে কিনা । সে জানায় যে তার কোন পছন্দ নেই ,আবার এটাও জানায় তাকে ক্যাম্পাসে অনেকেই প্রপোস করেছে কিন্তু সে কোন রিলেশনে যেতে রাজি হয়নাই ।কারন তার একটা প্রতিষ্ঠিত ছেলে দরকার ।সেক্ষেত্রে আমার যাতে শেষ সেমিস্টার সে কারনে সে আমার সাথে কথা চালিয়ে যেতে রাজি হয় । এর মধ্যে আমি চিন্তা করি তার মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে যদি তাকে অন্যকেউ পছন্দ করে কিছু একটা ঝামেলা পাকায় সে জন্য তাকে বারবার বাসায় চলে আসার জন্য তাগিত দেই । এর মধ্যে শবেবরাত চলে আসে । রাতে নামায শেষ করে তারসাথে সারারাত কথা বলি ।এবং দুইদিন পর দেখাকরার কথাও হয় । আগে থেকেই আমার মনে একটা সন্দেহ কাজ করত ,এইরকম সুন্দরি একটা মেয়ে আগে কারোসাথে প্রেম করেনাই ,এটাতো অসম্ভব আজীব একটা ব্যাপার ।এই সময়ে তা খুব কমই দেখা যায় । ঐ দিন আমার পাশের বাড়ির একটা মেয়ে দেখি কাদতেছে , মেয়েটা ক্লাশ এইটে পরে । জিজ্ঞেস করলাম কেন কাঁদ ? মেয়েটা যা বলল তা শুনেতো আমার আক্কেল গুরুম । তার নাকি ব্রেকআপ হয়েগেছে । তাইলে কিভাবে আমি বুঝব যে অনার্সে পড়া একটা মেয়ে কোরো সাথে প্রেম করেনাই । সে যাই হোক , দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক হল , সকাল দশটায় তাদের ক্যাম্পাসে । সারারাততো টেনশনে ঘুম আসেনা , কি জানি কি হয় । পরদিন সকালে গেলাম তাদের ক্যাম্পাসে ,দেখাও হল তার সাথে ।একা একাই এসেছে সে । বেশি সাজগোজ করেনি ,এমনিতেই অনেক সুন্দর লাগতেছিল । কথা বলতে বলতে তাদের কেম্পাসের ছাদে যাই ,তখন শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ।বৃষ্টি তার অনেক ভাললাগে তাই অগ্যতা তার সাথে বৃষ্টিতে ভিজি । মনে তখন চরম একটা ফিলিংস কাজ করতেছিল ।বৃষ্টি কমলে যাই একটা কফি শফে ।একথা সেকথা বলতে বলতে যে কখন দুপুর হয়ে যায় বুঝতেই পারিনি । তাকে বিদায় দিয়ে বাসায় আসি , মনে তখন খুশির বন্যা । এর মধ্যে দুইবার মোবাইলে কথা হয় ।সন্ধায় তাকে ফোন দিয়ে দিনের অনুভূতির কথা জানতে চাইলাম , বিপত্তিটা ঘটল তখন । তার কথা শুনেতো আকাশ থেকে পরার মত অবস্থা । বলেকিনা বাবা মা যার কাছে বিয়ে দিবে তাকেই বিয়ে করব ,সে তুমি হও আর যেই হোক ,আমি কোন রিলেশনে যেতে পারবনা । আমার এখনো বিয়ে করার সময় হয়নি তাকে সেটা বুঝিয়ে বলে ফোনটা রেখে দিলাম । পরের দিন শুরু হল নতুন নাটক ,ফোন দিয়ে বলে যে , আমিতো অন্য একজনকে পছন্দ করি তাই আপনার সাথে কোন রিলেশনে যাবনা ,তবে বাবা মা যদি আপনার সাথে বিয়ে ঠিক করে তাহলে আমার পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই ,আমি রাজি ।তখন থেকেই বুঝে গেলাম মেয়ের বিয়ের অনেক শখ তাও আমার টাকাওয়ালা কারো কাছে ।তাই বুঝতে পারতেছিনা এখানে কোন ভালবাসা আছে নাকি পুরোটাই মরীচিকা ।এইটা নিয়ে দুলাইন অনুকাব্য
চলে গেলে যা তুই
কে রেখেছে তোকে,
একবারও ডাকব না
জল আসবেনা চোখে ।
জীবন জীবনের গতিতে চলে ,তার জন্য আমার জীবন শুধু শুধু কেন থেমে থাকবে ।হয়তো চলার পথে অন্যকেউ আমার জীবনে এসেযাবে ,আবার এমনটাও হতে পারে ,সে সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবনে ফিরে আসবে । কিন্তু জীবনে যাই হোক সামনে এগিয়ে যেতে হবে ,নইলে পরে থাকতে হবে অন্ধকারে শুধুই অন্ধকারে ।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×