somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নালন্দা - হারিয়ে যাওয়া এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নালন্দায় প্রাপ্ত সিল মোহর
ভুমিকাঃ আজকের দিনের অক্সফোর্ড, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারা অনেকের জন্য স্বপ্ন। পৃথিবীর সকল দেশের উচ্চ মেধা সম্পন্ন ছাত্র তাদের উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য ব্রিটেন আমেরিকা ছুটছে। কিন্তু এমন যদি হত যে ব্রিটেন আমারিকার ছাত্র ছাত্রি আমাদের দেশে প্রতিযগিতার মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে, কি খুব অবাক লাগছে? এ আবার হয় নাকি! হয় , কারন বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০০ বছর আগে গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত। সম্রাট অশোকের হাত ধরে ছিল এর শুরু।

মনে মনে কল্পনা করুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ১০০০০ হাজার শিক্ষার্থী মুখরিত ক্যাম্পাস,আর ২০০০ শিক্ষক শেখানে শ্রেষ্ঠ পাঠ দান করছেন। যেখানে অম্রকানন ছায়া শোভিত প্রকাণ্ড সব অট্রালিকা।তার ভেতর লেক আর নীল পদ্ম সরবোর বেষ্টিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় টির নাম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।এটাকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।আজকের দিনের অক্সফোর্ড (ইংল্যান্ড),বোলঙ্গা(ইটালি) যখন কেবল শিক্ষা দান শুরু করে তখন এই বিশ্ববিদ্যাল্যের করুন মৃত্যু হয়। অক্সফোর্ডের ৮০০ বছর আগে হারভাড ইয়েল অরধেক মিলেনিয়াম বছর পূর্বে সারা বিশ্বে এই বিদ্যাপীঠ আলো ছড়িয়েছে ।


হর্ষ রজ্যের সীমা

বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি বেদ, বিতর্ক, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতিষ বিদ্যা, শিল্প কলা, চিকিৎসাশাস্ত্র সহ তৎকালীন সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থার উপযোগী আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিয়মিত পাঠ দান চলত এখানে। শিক্ষকদের পাঠ দান আর ছাত্রদের পাঠ গ্রহণে সর্বদা মুখরিত থাকত এই বিদ্যাপীঠ। নালন্দার সুশিক্ষার খ্যাতির সুবাতাস এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে অনুন্নত প্রতিকুল এবরো থেবরো যোগাযোগ ব্যবস্থাও বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি সুদূর তিব্বত, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য, গ্রীস তুরষ্ক থেকে ছুটে আসা বিদ্যা অনুরাগীদের।

নামকরনঃ
নালন্দা ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত ।প্রাচীন নালন্দা মহাবিহার বিহারের রাজধানী পাটনা শহর থেকে ৫৫ মাইল দক্ষিণ-ছিল খ্রিষ্টীয় ৪২৭ অব্দ থেকে ১১৯৭ অব্দে।


গৌতম বৌদ্ধ
কথিত আছে গৌতম বৌদ্ধ স্বয়ং এই স্থানে বিহার রাজ্যে অবস্থান করতেন। পাশা পাশি জনহিতকর উপদেশ দান করতেন অকাতরে। নালন্দা শব্দের অর্থ দানে অকৃপণ ।
চীনা তীর্থযাত্রী সন্ন্যাসী হিউয়েন সাঙ নালন্দা নামের বিবিধ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তাঁর একটি মত হল, এই নামটি স্থানীয় আম্রকুঞ্জের মধ্যবর্তী পুষ্করিণীতে বসবাসকারী একটি নাগের নাম থেকে উদ্ভুত। কিন্তু যে মতটি তিনি গ্রহণ করেছেন, সেটি হল,শাক্যমুনি বুদ্ধ একদা এখানে অবস্থান করে "অবিরত ভিক্ষাপ্রদান" করতেন; সেই থেকেই এই নামের উদ্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাঃ
ঐতিহাসিকদের মতে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল গুপ্ত সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে। হিউয়েন সাঙ ও প্রজ্ঞাবর্মণ তাঁকে এই মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেছেন। মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত একটি সিলমোহর থেকেও একথা জানা যায়।
কয়েকটি সৌধ মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন। গুপ্ত সম্রাটরাও এখানকার কয়েকটি মঠের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, গুপ্ত সম্রাট শক্রাদিত্যের (অপর নাম কুমারগুপ্ত, রাজত্বকাল ৪১৫-৫৫) রাজত্বকালে নালন্দা মহাবিহারের বিকাশলাভ ঘটে। পরবর্তীকালে বৌদ্ধ সম্রাট হর্ষবর্ধন ও পাল সম্রাটগণও এই মহাবিহারের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিলেন। ১৪ হেক্টর আয়তনের মহাবিহার চত্বরটি ছিল লাল ইঁটে নির্মিত। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীন অবস্থায় চীন, গ্রিস ও পারস্য থেকেও শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসতেন বলে জানা যায়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যযঃ
এটি ছিল সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেকালে প্রায় ২০০ টি গ্রাম থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিচালনা ব্যয় মেটান হত। গ্রাম গুলো হিসাবের সুবিধার্থে স্তুপ স্থাপন করা হয়েছিল।

ঐতিহাসিক সুকুমার দত্তের মতে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে "মূলত দুটি পর্ব বিদ্যমান ছিল। প্রথমত এই বিশ্ববিদ্যালের প্রতিষ্ঠা, বিকাশলাভ ও খ্যাতি অর্জনের পর্ব। এই পর্বের সময়কাল খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দী। এই সময়টি ছিল গুপ্ত যুগের ঐতিহ্য অনুসারে প্রাপ্ত মুক্ত সাংস্কৃতিক চিন্তা ও ঐতিহ্যের পর্ব। এর পর নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে পূর্বভারতের বৌদ্ধধর্মে তান্ত্রিক রীতিনীতির আবির্ভাব ঘটলে এই মহাবিহারও ধীরে ধীরে পতনের পথে ধাবিত হয়।

প্রশাসনিক ভবনঃ
চীনের ট্যাং রাজবংশের রাজত্বকালে চৈনিক পরিব্রাজক জুয়ানঝাং ৭তম শতাব্দিতে নালন্দার বিস্তারিত বর্ণনা লিখে রেখে গেছেন।একটি প্রধান ফটক এবং সুউচ্চ দেয়ালঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসেবে সুপরিচিত ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি ভিন্ন ভিন্ন চত্বর এবং দশটি মন্দির ছিল; ছিল ধ্যান করার কক্ষ এবং শ্রেনীকক্ষ। প্রাঙ্গনে ছিল কতগুলো দীঘি ও উদ্যান।
রাজা কুমার গুপ্ত (৪১৫-৪৫৫) সর্ব প্রথম ছাত্রদের জন্য সেমিনার হল এবং আশ্রম স্থাপন করেন । পাশা পাশি ছিল প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা । এর পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শতাব্দী ধরে ভিন্ন ভিন্ন রাজ পুরুষ এর বিকাশ ও বর্ধনের সাথে জড়িত হন। রাজা বুদ্ধগুপ্ত (৪৫৫-৪৬৭),জটাগথ গুপ্ত (৪৬৭-৫০০),বালাদিত্য(৫০০-৫২৫) এবং বিরাজ (৫২৫) বিভিন্ন একডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ করেন । বালাদিত্যের তৈরি আশ্রম ৩০০ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট ছিল । তার পুত্র বিরাজ ৫ম আশ্রম টি তৈরি করেন । রাজা শিলাদিত্য ষষ্ঠ আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন । খৃস্টীয় ১০ম শতাব্দীতে চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং এমনটাই লিখে গেছেন ।

কারিকুলাম ও ভর্তি প্রক্রিয়াঃ
ভাবতে অবাক লাগে কতটা সুনাম আর শ্রিংখলার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালত হত। ইচ্ছে করলেই এখানে ভর্তি হওয়া যেতনা। সে জন্য সে যুগে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হত। আজকের ইউরোপ আমেরিকায় যেমন আই ই এল টি এস বাধ্যতামুলক , তেমনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা ছিল বাধ্যতা মুলক ।
যেকারনে পুরব এশিয়ার দেশ জাপান, চীন , কোরিয়া থেকে আগত ছাত্ররা সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপে গিয়ে সংস্কৃত শিক্ষা নিয়ে আসত। এখানে জাত ধর্মবিশ্বাস এবং জাতীয়তার কোন বাধা ছিলনা। বিশ্ববিদ্যালয় চিল সবার জন্য উন্মুক্ত। বিদেশী ছাত্রদের ২০% এবং উপমহাদেশের নেটিভ ছাত্রদের ৩০% নাম্বার পেয়ে পাশ মান অর্জন করতে হত।
এখানে বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান অধ্যায়ন করা ছিল বাধ্যতামুলক। পাশা পাশি ১৮ টি মেজর সাবজেক্ট পড়ার সুযোগ ছিল যেমন,বিজ্ঞান, মেডিসিন, এস্ট্রলজি,সাহিত্য, চারু কলা, চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যায়নে। এছাড়া হিন্দু দর্শন এর ছটি বিষয় । বুদ্ধ ধর্মের আরও শাখা যেমন হীনযান পন্থা,থেরবাদ বানিজ্যও শিক্ষার সুযোগ ছিল । এসবের পাশি পাশি যুক্তি তর্ক এবং বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার অংশ ছিল ।
বিষয় গুলো তিব্বতি লেখা হতে পাওয়া যায় ৪ ভাবে...

১ সারবাস্তুবিদ্যা ভবিশ্যকা
২সারবস্তুবিদ্যা সুত্রান্তিকা
৩মধ্যমকা , নাগরজুনের মহাযান দর্শন বিদ্যা
৪চিত্তমাত্রা, অসঙ্গ এবং বসুবন্ধু এর মহাযান দর্শন

লাইব্রেরীঃ
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকে বলা হত ধর্ম গঞ্জ । এটা সে সময় তিনটি আলাদা আলাদা বিল্ডিং নিয়ে বিভক্ত ছিল । সেগুলোর নামও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। যথাক্রমে রত্ন সাগর, রত্ন দধি, রত্ন রঞ্জক । নয়তলা ভবনটিতে আলোর প্রতিসরনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল ।


লাইবেরিতে কয়েকটি শ্রেনি বিন্যাস ছিল যেখানে মহা পণ্ডিত পানিনি রচিত ব্যকরন পড়তে হত।এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ত্রিপিটক কে তিনভাগে ভাগ করা হত , যা বিনয়, সুত্র, এবং আভিধম্মা নামে পরিচিত। এছাড়াও মনিষী জীবনী ও প্রচুর লেখকের রেফ্রেন্স নিয়ে ছিল পড়ার সুবিধা। এসব যত্ন করে স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হত। ছিল কাপড় দিয়ে ঢেকে বেঁধে রাখার ব্যাবস্থা । একজন লাইব্রেরী ইন চার্জ এসব তদারকি করতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হত অত্যন্ত সতর্কতার সাথেধর্মের পাশাপাশি বেদ _উপনিশদ, বিতর্ক, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতিষ বিদ্যা, শিল্প কলা, চিকিৎসাশাস্ত্র সহ তৎকালীন সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থার উপযোগী পুস্তক ছিল । তৎকালীন জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখাতেই চর্চার সুযোগ থাকায় সুদূর কোরিয়া, জাপান, চীন, তিব্বত,ইন্দোনেশিয়া, পারস্য এবং তুরস্ক থেকে জ্ঞানী ও জ্ঞান পিপাসুরা এখানে ভীড় করতেন।

হর্ষধনের পরিচয়ঃ
হর্ষবর্ধন বা হর্ষ (৫৯০–৬৫৭) উত্তর ভারতের এক খ্যাতনামা সম্রাট যিনি ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ (মতান্তরে ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি মহারাজ প্রভাকর বর্ধনের সন্তান ছিলেন।
বড় ভাই থানেসারের রাজা রাজ্যবর্ধন গৌড়ের সম্রাট শশাংকের হাতে নিহত হলে ৬০৬ সালে হর্ষকে রাজা ঘোষণা করা হয়।


হর্ষবর্ধন

তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। হর্ষবর্ধন কবিতা ও নাটক লিখতেন। তিনি নাগানন্দ, প্রিয়দর্শিকা এবং রত্নাবলী নামের তিনটি সংস্কৃত নাটক লেখেন। কনৌজ শহর ছিল হর্ষবর্ধনের রাজধানী । বিখ্যাত বাণভট্ট হর্ষবর্ধনের সভাকবি ছিলেন। তিনি হর্ষচরিতের জীবনীমূলক গ্রন্থ হর্ষচরিত রচনা করেন; এটি ছিল সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রথম ঐতিহাসিক কাব্যগ্রন্থ।
তিনিই প্রথম ভারতীয় রাজা যিনি চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

সম্রাট অশোকঃ
ভারতে মাত্র দুজন কে গ্রেট আখ্যা দেয়া হয় । একজন সম্রাট আকবর, অন্যজন এই সম্রাট অশোক । বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রান। নালন্দায় তিনিও একজন পৃষ্ঠ পোষক ছিলেন ।


অশোক
তিনি এখানে স্তুপ নির্মাণ করেন বলে যানা যায় । কিন্তু ধারনা করা হয় তার জীবদ্দশায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। পুরনাংগ শিক্ষাদান তার দেহ অবসানের পর শুরু হয় ।

পর্যটক হিউয়েন সাঙঃ
(৬০২ - ৬৬৪) : ছিলেন বিখ্যাত চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি চীন এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে ৬৩০খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন লানপো বা লামখান থেকে।


লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা লম্পক নামে ডাকত। তিনি বালখজুমধ, গচি, বামিয়ান এবং কপিশা হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা। তিনি মূলতগৌতম বুদ্ধের নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন।


.নালন্দার পণ্ডিত ( প্রফেসর) :
নালন্দায় অনেক বিখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপনা করছেন । এদের মাঝে নাগারজুন, ধর্মপাল , শীলভদ্র (বাংলাদেশ) , বিরাজবধি, ধরমকিরতি,আরয দেব, সন্ত্র রক্ষিত, কমল শিলা’র নাম উল্লেখ যোগ্য ।

নাগার্জুনঃ
নাগার্জুন (আনুমানিক ১৫০-২৫০ খ্রি:) গৌতম বু্দ্ধের পরবর্তী সর্বাধিক প্রভাবশালী বৌদ্ধ দার্শনিকদের অন্যতম। তাঁর শিষ্য আর্যদেবের সাথে তাঁকে 'মহাযান' বৌদ্ধধর্মের 'মাধ্যমিক' শাখার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কৃতিত্ব দেয়া হয়। তাঁকে 'প্রজ্ঞা পারমিতা সুত্র' সম্পর্কিত দর্শনের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেয়া হয় এবং কোন কোন মতানুসারে এই সম্পর্কিত পুঁথিগুলো নাগ (সাপ/ড্রাগন)দের থেকে উদ্ধার করে, বিশ্বে প্রকাশ করেছেন। ধারনা করা হয় তিনি চিকিৎসা রসায়ন শাস্ত্রের উপর কয়েকটি রচনা করেছেন এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইতিহাস


নাগার্জুনের জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার বেশির ভাগ কাজ হারিয়ে গেছে। বর্তমানে যা কিছু পাওয়া গেছে তা নাগার্জুনের মৃত্যুর শত শত বছর পর চীনা এবং তিব্বতী ভাষায় লিখিত। ধারনা করা হয় নাগার্জুন দক্ষিণ ভারতীয়। জন্মেছিলেন অমরাবতীতে (১৫০ খ্রি: হতে ২৫০ খ্রি:) নাগার্জুন সাতবাহন রাজবংশের এক রাজার উপদেষ্টা ছিলেন
চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীতে কুমারজীব অনুদিত জীবনি অনুসারে নাগার্জুনের জন্ম ব্রাহ্মন পরিবারে। নাগার্জুন পরবর্তিতে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন।

কিছু সূত্র মতে নাগার্জুন তার জীবনের শেষ দিকে শ্রীপর্বতের পাহাড়ে বসবাস করতেন, যার নিকটবর্তি শহর পরবর্তিতে নাগার্জুনকোন্ডা (নাগার্জুনের পাহাড়) নামে পরিচিত হয়। নাগার্জুনকোন্ডা বর্তমান ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নালগোন্ডা/গুন্টুর জেলার কাছাকাছি অবস্থিত। তিনি মধ্য পন্থার মুল বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন, পাশা পাশি ছিলেন একজন দার্শনিক ও দক্ষ আয়ুরভেদিক চিকিৎসক ।

দিগ নাগাঃ
তামিল নাড়ুর কাঞ্চিপুরম এ জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি মহাকবি কালিদাশের সমসামিয়ক ছিলেন । দার্শনিক বাসুবন্ধুর ছাত্র ছিলেন । রাজা কুমার গুপ্তের সময় ৪৫০ খ্রিস্তাব্দে জন্ম নেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় নয়না দর্শন কে বিভক্ত করেন বুদ্ধের মত অনুসারে এবং একটি নতুন শাখা অধিভুক্ত করেন। যা ব্রাহ্মণ বিদ্যার সাথে দিক থেকে সমান্তরাল ছিল ।

বুৎপত্তি গত ভাবে তার চিন্তা দর্শন পরবর্তীতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাড় করায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে তার সংস্কৃত কাজ আজ আর পাওয়া যায় না, হারিয়ে গেছে। যদিও কিছু কিছু তিব্বতি ভাষায় পাওয়া যায় । তার মুল অবদান বৌদ্ধ ধর্মের দর্শনের ভিত্তি প্রস্তর প্রতিষ্ঠা করা । তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
১ প্রমান সমুচ্চয়য় (সঠিক জ্ঞান মানে সম্পূর্ণতা )
২ হেতু চক্র ( পুজিবাদের মুল চাকা)

ধর্মপালঃ
বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম মহান দারশনিক। তিনি জন্মেছিলেন দিন্নাগার জন্মস্থান কাঞ্চিপুরমে । খ্রিষ্টীয় ৭ম শতকে একজন মন্ত্রী পুত্র ছিলেন রাজা পল্লবের রাজত্ব কালে । অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলেন এই মনিষী । তিনি সারা ভারতবর্ষে ভ্রমন করেন । ততকালিন প্রধান হিন্দু দার্শনিক ও পণ্ডিত ব্যাক্তিদের সাথে যুক্তি তর্কে ধরাশায়ি করেন । দক্ষিন ভারতের একমাত্র পণ্ডিত যিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন ।

শীলভদ্রঃ
এক সময় এত সুবিশাল একটি বিশ্ব বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছিলেন বাংলাদেশের সন্তান শীল ভদ্র।শীলভদ্র ৫২৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন। ধর্মপালের শিস্য ছিলেন ।যিনি ছিলেন হিউয়েন সাঙ এর গুরু। প্রায় ২২ বছর হিউয়েন সাঙ তাঁর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি একশ ষোল বছর বেঁচেছিলেন । শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের চার শত বৎসর পূর্বে পৃথিবীর আদিতম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দার সর্বাধ্যক্ষ বা আজকের দিনের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন মহাস্থবীর শীল ভদ্র। যিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানার কৈলান গ্রামের ব্রাহ্মণ রাজ পরিবারের সন্তান ছিলেন। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে গড়ে উঠেছিল বৌদ্ধ সভ্যতা। কোটবাড়ীর শালবন বিহার অন্যতম সাক্ষী।

বিরাজবধিঃ
বিরাজবধি অন্যতম খ্যাতনামা বুদ্ধিস্ট দার্শনিক যিনি দিন্নাগা ও ধরমপালের সম সামিয়ক চিলেন। দক্ষিন ভারতের ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন খ্রিস্টীয় ৬৬০ এ রাজা পল্লবের রাজত্বে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন । তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত পণ্ডিত ধরমকিরতির কাছে শিক্ষা লাভ করেন । পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ ও ধর্ম প্রচার করেন ।
সেখান থেকে তিনি সুমাত্রা দ্বীপ( প্রাচীন শ্রী বিজয়) যান। পরবর্তীতে চীন দেশর সিটি অফ চাঙগণ এ যান ও জিয়ানফু মন্দিরে অবস্থান করেন । সে সময় তার অনেক সংস্কৃত কাজ চীনা ভাষায় অনুদিত হয় । তাকে বৌদ্ধ ধর্মের শিনগণ মতবাদের প্রবক্তা বলা হয়। তার শিস্যদের মধ্যে অমঘভারজা বিখ্যাত । যিনি রাজনৈতিক ভাবে ছিলেনা ক্ষমতা ধর, এছাড়া তার শিস্যদের মাঝে কোরিয়ার ভিক্ষু হেইচকু’র নাম জানা যায় ।

ধরমকিরতিঃ
খৃস্টীয় ৭ম শতকে জন্ম গ্রহন করেন । ভারতীয় দর্শন শাস্ত্রের অন্ত্যতম জনক । বৌদ্ধ ধরমের প্রাথমিক তত্বগুলর প্রবক্তা। নালন্দাতে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন ।

গুনপ্রভাঃ খ্রিষ্টীয় নবম শতকে জন্ম গ্রহন করেন । বাসুবন্ধুর শিস্য ছিলেন । বিনয়সুত্রের উপর তার পাণ্ডিত্য ছিল ।

শাক্য প্রভাঃ শান্ত্রক্ষিতের ১৭ জন শিস্যের মধ্যে একজন ছিলেন । ভারতীয় এবং তিব্বতীয় বৌদ্ধ মতবাদে শতাব্দী ব্যাপী তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।


বুদ্ধ পালিত
বুদ্ধ পালিতঃ তার জীবনকাল ৪৭০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত ।নাগরজুনের মধ্যমকা ভাবনার একজন বিশাল প্রবক্তা ছিলেন । তিব্বতে (Prasangika-Madhyamaka)'র প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত । তিনি তার মধ্যমিকা দর্শনের জন্য তিব্বিতে বিশেষ মর্যাদা ও উপাধি লাভ করেন ।

ভব বিবেকঃ খ্রিষ্টীয় ৫০০ থেকে ৫৭৮ পর্যন্ত তার জীবনকাল ছিল বলে জানা গেছে । তিনি তিব্বতে বিখ্যাত হন Middle Way Autonomy school (Svatantrika-Madhyamak প্রতিষ্ঠা করে। এছাড়া একজন সমালোচক ছিলেন । তিনি অন্যদের মধ্যমকা ধারনার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন । বুদ্ধ পালিতের একজন সমালোচক ছিলেন ।

হরিভদ্রঃ ৭০০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ ।পর্যন্ত জীবিত ছিলেন । শান্ত রক্ষিতের ১৭ জনের মধ্য শেষ শিশ্য । ২১ জন ভারতীয় প্রবক্তার মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত ও ব্যবহৃত মৈত্র এবং মহাযান তত্ব গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার সম্যক ধারনা দিয়েছেন .

চন্দ্র কীর্তি ঃ ৬০০ থেকে ৬৫০ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন । বহু মধ্যমকা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিব্বত অনেক সম্মানিত, সর্বোচ্চ বৌদ্ধ দার্শনিক যিনি বাস্তবতার নিরিখে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাখ্যা হিসাবে দিয়েছেন ।

বিমুক্তিসেন ঃ
ষষ্ঠ শতকে বর্তমান ছিলেন । প্রায় বিশ হাজার মুল্যবান আলোকজ্জ্বল বানী লিখে গেছেন। যা থেকে বৌদ্ধ গবেষক ও পণ্ডিত গণ উপকৃত হয়েছেন।

শান্তিদেবঃ মহাযান অনুশীলন কিভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী , গঠন প্রণালী , বধিস্বত্তের উন্নয়ন এবং ছযটি বিশুদ্ধতা অনুশীলন নিয়ে তাঁর লেখা প্রচুর এবং ব্যাপকভাবে চর্চিত হয়


নালন্দার অবদানঃ
পাল যুগে বাংলা ও মগধে একাধিক মঠ স্থাপিত হয়। তিব্বতীয় সূত্র অনুযায়ী এই সময়ের পাঁচটি প্রধান মহাবিহার হল: বিক্রমশীলা (সেযুগের প্রধান মহাবিহার), নালন্দা (সেযুগে বিগতগরিমা হলেও উজ্জ্বল), সোমপুর,ওদন্তপুরা ও জগদ্দল। যেগুল নালন্দার সহযোগিতায় পরবর্তীতে এসোসিয়েট কলেজ বা পুরনাংগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত হয়। যেমন বিক্রমশিলা । আমাদের সুপরিচিত পণ্ডিত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অতিশ দিপঙ্কর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ।


অতিশ দিপঙ্কর
আজকের অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটিও গ্রুপ অফ কলেজ, যারা অক্সফোর্ড নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতেই শিক্ষা দান করে। এই পাঁচটি মহাবিহার পরস্পর সংযুক্ত ছিল, "প্রতিটিই রাষ্ট্রীয় তদারকিতে পরিচালিত হত", এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল "এক প্রকার সহযোগিতার ব্যবস্থা... মনে করা হয়, পাল যুগে পূর্বভারতে একাধিক বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র একটি পরস্পর-সংযুক্ত গোষ্ঠীব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হত।" এই কারণেই বিশিষ্ট পণ্ডিতেরা সহজেই একটি থেকে অপরটিতে গিয়ে শিক্ষাদান করতে পারতেন।
পাল যুগে নালন্দাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। মনে করা হয়, অন্যান্য পাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সাথে নালন্দা থেকে পণ্ডিতদের নিজেদের মধ্য শিক্ষা বিনিময় ও সমন্বয় করতে হত। এর কারণ, তারা সকলে একই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করতেন।

তিব্বতীয় বৌদ্ধ দর্শন বলে আজ যা পরিচিত তার বড় অংশ এসেছে নালন্দা থেকে। বৌদ্ধ দর্শনের অন্যান্য রূপ যেমন, মহাযান যা ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়া এবং জাপানে অনুসরণ করা হয়, নালন্দাতেই শুরু হয়েছিল। এখান থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান ভিয়েতনাম , চীন , কোরিয়া , জাপান সহ পুরব এশিয়ার দেশ গুলোতে ছডিয়ে পরে।


বখতিয়ার
শেষ কথাঃ

বার বার আক্রমণ আর বিভিন্ন জাতির রোষানলে পড়ে নালন্দা। শেষ ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি বখতিয়ার খিলজির আক্রমনে নালন্দা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় ।খিলজী শুধু নালন্দাকে পুড়িয়ে ছাই করেন নি, একই সাথে পুড়িয়ে ছাই করেদন একটি জাতির সভ্যতা, ইতিহাস।
বিলুপ্ত হয় সামাজিক-সাংষ্কৃতিক অবস্থা ও প্রাচীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি ।এভাবেই ৮০০ বছর ধরে গড়ে ওঠা একটি বিদ্যাপীঠ বিলুপ্ত হয় ।পরবর্তীতে উপমহাদেশের জনগণ পরিণত হয় কুপমুন্ডুক মূর্খ জাতিতে।

২০০৬ সালে ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান ও অন্যান্য কয়েকটি রাষ্ট্র যৌথভাবে এই সুপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প গ্রহণ করে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম স্থির হয়েছে নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।




Appendix :
****Destruction and Demise
According to records of history, Nalanda University was destroyed three times by invaders, but only rebuilt twice. The first time was by the Huns under Mihirakula during the reign of Skandagupta (455-467 AD).
The second destruction came with an assault by the Gaudas in the early 7th century. This time, the Hindu king Harshavardhana (606-648 AD) restored the Buddhist university.

The final it was violently destroyed in an Afghan attack led by Bakhtiyar Khilji in 1193.In 1193, the Nalanda University was sacked by Bakhtiyar Khilji,

-----------------------------------------------------------------------------
যোগাযোগ :
https://www.facebook.com/sajid.e1.London
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
৩০টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×