গুলশান-২ এ দেখলাম; এক সাফারি পরা ভদ্রলোক রিক্সা করে সম্ভবত তার বাসার পিচ্চি কাজের মেয়েটাকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছে
সাফারি ভদ্রলোক সুন্দর ভাবে রিক্সায় বসে আছে... আর তার কাজের মেয়েটি, হাসিখুশি মুখ করে তার পায়ের কাছে বসে আছে
এদেরকে পাশাপাশি বসাতে হয় না... এটাই বোধয় নিয়ম
ও আচ্ছা... আমি-আপনি অতো খারাপ না... ওকে ওকে
আমাকে বলেন তো আপনার বাসার কাজের ছেলেটা বা মেয়েটার জন্মদিন কবে?
জানেন?
আমি নিজেও অবশ্য আমার বাসার কাজের ছেলে-মেয়েদের জন্মদিন জানি না
তবে এটা জানি যে; তার সামনে যখন আমার নিজের মেয়ের জন্মদিনের কেক কাটি, বা কেক খাওয়া শেষ হয়ে গেলে তার দিকে তাকিয়ে বলি, ‘হা করে তাকিয়ে আছিস কেন? বাটিগুলো নিতে পারতেসিস না?’
ঠিক তখনন, তার অবশ্যই অবশ্যইইই নিজের বাপের কথা মনে পড়ে যায়
... মনে পড়ে যায়, বাড়িতে থাকলে তার বাবাও হয়তো হাতে করে অন্তত একটা বাটারবন নিয়ে এসে বলতো, ‘বাপজান কই .. কাছে আয় দেখি’
হ্যা... সেও কোন দিন চায়নি, আমাদের বাসায় তার জন্মদিন আমরা পালন করি... সেটা সে আশাও করে না
... "কিন্তু এতটুকু তো আমরা করতেই পারি যেনও, সে খুশি মনে আমার মেয়ের জন্মদিনের কেক কাটার সময় হাততালি দিতে পারে"
আর এটা করতে, বেশি কিছু লাগে না কিন্তু
সুপারম্যান, আমি শুধু আমার নিজ মেয়ের কাছেই কেন হয়ে থাকতে চাইব?
অন্যের মেয়ে কি দোষ করল?
জীবনে কতো অভিনয় করি... কতো আল্লাদি করি...
একটু না হয় নিজের মেয়ের জন্য, অভিনয় করে হলেও একটু দোয়া আদায় করে নেই
সবসময় হাত তুলেই দোয়া হয় না... মাঝে মাঝে, অন্যের হাততালির মধ্যে থেকেও দোয়া বের হয়ে আসে
তেমনই ... বাংলা সিনেমার মতো; বদ দোয়াও, কেউ হাত তুলে দেয় না
একজনের নিঃশ্বাসই, মাঝে মাঝে বদ দোয়ায় পরিনত হয়ে যায়
...জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে