(বন্ধুবর বাকী বিল্লাহ, একই ভাবের যাত্রী)
জীবনের কোমল ব্যকরণ ভুলে
আমিও কোনোদিন কোনোদিন চলে আসি তোমাদের দলে।
আমিও দরিদ্র জীবনটাকে মিশিয়ে দিতে চাই তোমাদের সাথে।
আমার মাথার উপর ছাদ,
জীবনের নিশ্চয়তা আর প্রথাবদ্ধ স্ট্যাটাস
খুব বেশিদূর এগোতে দেয় না।
খুব বেশি হলে একটা বিবৃতি, কয়েক ছত্র বাক্য
তীব্র গতিতে ছুঁড়ে দেই।
এই তো! এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
কোনো কোনো দিন আমার মধ্যবিত্ত রক্তে লাগে টান,
আমি সকল দূয়ার ভেঙে তীব্র বেগে ছুটে আসি
আমার সমস্ত বোধ ও চৈতন্যের প্রবল শিহরণে!
তোমাদের উত্তাল মিছিলে সঙ্গী হয়ে পড়ি নিমিষেই।
নিমিষেই যেন হাজার শব্দের ঝংকার তুলে
আমার গলার সমস্ত পেশীকে করি আলোড়িত।
আমার কৃষ্ণপক্ষ আঁধার আর পূর্ণিমার সকল আলো
তীব্র শব্দের ফেনিল সৗরভে করি উৎসারিত।
কখনো ব্যথার গভীরে ডুব দিয়ে আমিও হয়ে যাই তোমাদের একজন
কখনো ব্যক্তিগত বিষাদের পান্ডুলিপি শুঁকে দেখি
শরীরের ঘেমো গন্ধ।
চাঁদ প্রদীপের আলোয় আমার মধ্যবিত্ত রক্ত
কখনো হয়ে ওঠে জোছনাময়
আর শক্ত কড়াপড়া তোমার হাতে
খুঁজে নিতে চাই উজ্জ্বল জোনাক পোকা!
এইরকম; খুব ব্যক্তিগত বিষাদের দিনলিপি আমার!
খুব সহজেই বুকের সবগুলো কোণায়
ঘন্টা বেজে ওঠে মন্দির।
খুব সহজেই নেমে আসে শরীর জুড়ে জল!
সহজ কিস্তিতে আমিও উঠে যাই দ্রুতলয়ে কয়েক ধাপ সিঁড়ি।
আর জীবনের পাশ ঘেষে গড়ে ওঠা অজস্র স্বপ্নের পাশে-
শুধু খুব সহজেই হতে পারি না তোমাদের একজন!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



