শব্দের সিঁড়ি গড়া হয়নি কখনো
শব্দরা ভেঙে পড়া সিঁড়ির মতন
হয়তো তুমি আর তোমরা যেমন
এসেছ,আজো এই পূনরুক্তি কেন?
জানি না,তাই ভাবি তোমাদের কাছ
থেকেই চলে যাবো দূরে,নদীয়া মন
সঙ্গীত সাথী হবে;হবে আপনজন
ঘাসের রোদ আর বেহুলার জীবন।
পা বাড়াতেই ঝড়ে পড়ে পাতা
এ অসমাপ্ত দিনলিপি লেখা
মলাটে মোড়ানো খেড়ো খাতা
হাতের তালুতে ম্রিয়মান রেখা
সঙ্গীর মতো আজো আছে
কেননা যেতে পারে না সে দূর
প্রবাসী কোনো রোদের কাছে
হঠাৎ চমকে ওঠে কুয়াশা দুপুর
তারপরও রোদ ঝরে গাছেদের গায়ে
অকারণ এই রোদ হয় পাখিদের সাথী
নিজের সাথে নিজের এই পরাজয়ে
শব্দময় রাত্রির কাছে একা পড়ে থাকি
তুমিও এসেছ,তোমরাও বহুবার
সঙ্গীণ উঁচিয়ে হাতে রেখে হাতে
মনোঃসর ছুঁড়ে এই হৃৎ দরবার
চৌচির করেছ অনাবাদী প্রভাতে
স্মৃতির সাথে পড়শী হয়েছি একা
এখনও মাঝরাতে ঘুম ভাঙে
নির্ঘুম চোখও দেয় কখনও দেখা
আমিও জেগে থাকি রাত্রির সঙ্গে
বলা হয়না কিছুই,যারা বিজয়ী
কালের কন্ঠে শুধু বিজিতের কথা
কে তবে কার ছিল প্রেম প্রণয়ী
শরীরের ভাষা খোঁজে আদিম প্রথা
সকলেই আসে,প্রতিদিন প্রতিক্ষণে
মূলতঃ সিঁড়ি খুঁজে খুঁজে ফেরা
বৃথাই কলবর খোঁজা মৃত জীবনে
শেষ ধাপে খুঁজে পাবে অপার শুণ্যতা
শব্দের সিঁড়ি গড়া হয়না কখনো
শব্দগুলো ভেঙে পড়া সিঁড়ির মতো
সকলেই চলে যাচ্ছো শব্দ ছেড়ে দূরে
একাকী শব্দ বুনছি কালের কন্ঠস্বরে...