জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন নানা বাদ-প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।ভি.সি পক্ষ ও বিপক্ষ এই দু'পক্ষের অবস্থান দ্বিধাহীণভাবেই মুখোমৃখি।যথারীতি সরকারদলীয় রাজনৈতিক কর্মী ও প্রশাসনের লোকজন মিলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নির্মম নীপিড়ন,হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নীপিড়কদের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনুরোধ করি আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখে নিতে,যাতে ভবিষ্যতে চিনে নিতে কষ্ট না হয়। সেদিন আর দূরে নয়,যখন মানুষ তার হিস্যাটুকু বুঝে নিতে আপনাদের থোরাই করবে।
সমাজে যেকোনো নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদটা ছাত্রসমাজই করে,এটা বহুবার প্রমাণিত এবং ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণে লড়াকু শিক্ষার্থীরা এর প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে।প্রশ্ন হচ্ছে আর কতকাল?!একের পর এক ছাত্র লাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে,সে যেই হোক,যে দলেরই হোক কিঙবা কোনো দলেরই না হোক। মোদ্দা কথা এভাবে প্রাণ হন্তারক কি করে একটি রাষ্ট্রে কোনো সমস্যা ছাড়াই টিকে থাকতে পারে ইচ্ছেমতো।
ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে,সাধারণ বা অসাধারণ শিক্ষার্থী বলে কিছু নাই।সবাই ইতিবাচক পরিবর্তণ প্রত্যাশী,তবে এর মধ্যে কেউ কেউ সাহসী হয়ে ওঠে এবং প্রতিবাদ সরাসরি করতে পারে। তার সাথে সমর্থণ দেয় হাজারো শিক্ষার্থী। এটাই সত্য।আর তাই যারা ওই ছেঁদো কথা বলে পার পেতে চা্য়,"গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর আন্দোলন!" তারা যে পুরিষে মুখ লুকিয়ে কাকের মতো অন্ধ তা পরিষ্কার।আবার কেউ কেউ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে চায়। তাদের কে বলি,নিরবিচ্ছিন্নভাবে এত হামলা নির্যাতণের পরও যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলন চালাতে হলে সৎসাহস লাগে,স্বার্থান্বেষী হলে তা সম্ভব নয়। যেমন ক্ষমতায় থাকলে আমাদের মেইন স্ট্রীম দলগুলোর তথাকথিত কর্মীরা হালুম-হুলুম করে বেশ আর বাইরে থাকলে ম্যাঁও করার লোক যোগাতে সময় লাগে। সুতরাং প্রতিবাদের তীব্রতার কাছে লাঠিসোটা নিয়ে দাঁড়ানোর দিন শেষ,এখন আপন আয়নায় মুখটা দেখুন ভাইসব.....চিনতে পারেন?