ভয় পাচ্ছি "মেহেরজান" এর মত না আবার সেন্সরসিপ বাতিল হয়ে যায়। মাথা নষ্ট ছিল গল্প বলার ধরন। গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৭৫ সাল বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কায়েমের সময়কাল ও সে সময়কার বাংলাদেশ বেতারের হালচাল। যারা আন্তর্জাতিক মানের বাংলা সিনেমা দেখতে চান তাদের জন্যে মাস্ট রিড ফিল্ম। মাথা নষ্ট করা সংলাপ আর ট্রিটমেন্ট ছিল পুরো সিনেমা জুড়ে।
ইদানিং বাংলা সিনেমায় দক্ষিণ ভারতকে কপি করার যে হিড়িক পড়েছে তার বিপরীতে #Bengali_Beauty সত্যিই একটা অন্যরকম পরিচ্ছন্ন গল্প।
Bengali Beauty
ট্রিটমেন্টটা হলিউড ঘরনার ছিল। টয়া ও রাশান নূর দু'জনেই কাঁপিয়ে অভিনয় করেছেন। সবচেয়ে আশার দিক ছিল অধিকাংশ অভিনেতা অভিনেত্রী নতুন মুখ হলেও কাউকেই কাঁচা অভিনয় করতে দেখা যায় নি। গল্প বলার ধরন বাংলা সিনেমায় একদম ইউনিক। মিউজিক্যাল ট্রিটমেন্টটা অনেক ফাটাফাটি ছিল। নাচ ও কোরিওগ্রাফির দেখার মত ছিল।
সিনেমার দূর্বল দিকগুলো হচ্ছে লং শট কম ব্যবহার করা। হয়ত সেট এতটা পিরিয়ডিক করতে পারেনি তাই ক্লোজ শর্টের উপরই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন রাশান নূর। আর চরিত্রায়নে আরো একটু যত্নশীল হতে হবে। কারন টয়া ও রাশান এর চরিত্রগুলো ছাড়া অন্য চরিত্রগুলো একদমই গতি পায় নি বরং পুতুল মনে হচ্ছিলো। যেহেতু ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে তাই কালার ট্রিটমেন্টটা আর একটু পিরিয়ডিক হওয়া উচিত ছিল কিন্তু কলার কারেকশন খুব একটা ভালো ছিল না। তবে গল্পের গতি ও পাত্র-পাত্রীদের অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের সবকিছু ভুলিয়ে দেবে।
পরিশেষে বলতে চাই, প্রচন্ড মাত্রায় রোমান্টিক ঘরানার বিয়োগান্তক সিনেমা এটি যাতে নায়ক নায়িকার জন্য না বরং সিনেমার শেষ দৃশ্যে আপনার চোখ ভিজে উঠবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যে। বঙ্গবন্ধুর এমন নৈর্ব্যক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ উপস্থাপন আমি কোন বাংলা সিনেমায় দেখি নি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২১