কথা হয় বেদানা বেগমের সঙ্গে। তার মনে অনেক বেদনা। বলছিলেন সেই কথা, ‘বাবা দুঃখের কথা কইয়া আর কি হইবো? আমার মনে দুঃখের এক সাগর আছে। ওই যে শেখ সাহেব যেবার ভোটে খাড়াইছিল তখন আমার প্রথম পোলাডা হয়। হের নাম আলমগীর। হ্যারে ড্রাইভারি শিখাইছি। সরকারি লোকের চাকরি করে। বিয়া দিছি। নাতি-নাতনিও হইছে। আল্লা হেগোরে সুখে রাখছে। আমি চাই হেরা আরও সুখে থাকুক।’
- ছেলে আপনাকে দেখে না?
‘বাবারে, আমার গায়ে-গতরে অনেক মোটাসোটা। মাঝে মাঝে আমার কাছে আসে, দেখা হয়। পোলা আমার কথা জিগাইবার আগে, নিজেই কয় মা, আমার শরীরডা ভালা না। আমি কই আয় তরে ডাক্তারের কাছে লইয়া যাই। আমার কতা শুনলে তার পয়সা খরচা হইবো, হের লাইগ্যা হে তার কথা আগে কয়।’
-ছেলের বাসায় যান না?
‘পোলার বাসায় গেলে বউ মুখ কালা কইরা থাহে। দূরে থাকলেই ভালা থাকোন যায়। এই কাম করতে করতে অসুখ-বিসুখ হইতে হইতে একদিন মইরা যামু। আপনারা গাড়িতে কইরা লাশ নিয়া কবর দিয়েন। এইডাই আমার চাওয়া। সবাই সুখে আছে। শেষ বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে কাটাইতাম। শুধু আমার পোড়া কপাল, স্বামীরে হারাইয়া। হ্যায় থাকলে আমার সব সুখ থাকতো।
খারাপ লাগলো ... আসলেই কত মানুষ আছে এভাবে বা এর থেকে খারাপ ভাবে জীবন নিয়ে বেচে আছে ... কতজন কে এভাবে দেখিয়ে দেয়া যায় ? কয়জন করবে ? কয়দিন ?
প্রশ্ন !
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬