একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আবদুল কুদ্দুসের আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে ঢাকায় দায়ের করা মানহানি মামলায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক জামিন পেয়েছেন। গতকাল ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক এমদাদুল হক জামিন মঞ্জুর করেন। গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে এবং ১২ মার্চ বিরোধীদলীয় নেত্রীর গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবদিন ফারুক প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এরপর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়। ২৪ মার্চ তিনি হাইকোর্টে জামিন চাইলে ৮ সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন এবং সেখানে জামিন বিবেচনার নির্দেশনা দেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় চট্টগ্রামের একটি আদালতে। মোঃ আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সংক্ষুব্ধ দাবি করে মামলাটি করেন। তখন আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে পরবর্তীতে দুই মাসের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গতকাল জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ।
ওদিকে জামিন লাভের পর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেছেন তার সঙ্গে আসা বিপুলসংখ্যক সমর্থক ও আইনজীবী। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আশা করি একদিন না একদিন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের আশীর্বাদপুষ্ট মহাজোট সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ। দেশের মানুষ পানি, গ্যাস, বিদ্যুত্ সঙ্কট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত। সেদিকে সরকারের কোনো নজর নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে সরকার জনগণের দৃষ্টি পিলখানা হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী অপকর্ম থেকে সরিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শামসুদ্দীন আহমেদ মির্জা, কবির চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, নগর বিএনপি নেতা ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট এসকিউএম নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা এমএ হাশেম রাজু, এমএ হামিদ প্রমুখ।
সূত্র-দৈনিক আমার দেশ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



