somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ও হে শিবিরের কর্মী ভাই একটু দাঁড়াও তোমার প্রশ্নের জবাব নিয়ে যাও, চল ভাই শাহবাগে যাই(পর্ব-২)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব লেখার পর মনে বড় ভয় কাজ করছিল। কিন্তু সকলের অনুপ্রেরনায় ২য় পর্বে আরও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যাই হোক ঐ লেখা অনেকের কাছেই চক্ষূশূল হয়ে দারিয়েছে তাতে আমার মাথাব্যথা নেই। কারন আমার উদ্দেশ্য সফল। বেশ কয়েকজন তাদের প্রশ্নের জবাব পেয়েছে, যা ঐ লেখার মন্তব্যে বুঝলাম।১ম লেখা মিস করলে Click This Link পড়ে আসুন।/:)
আরো অনেক প্রশ্ন পেলাম যার উত্তর দেওয়াকে নৈতিক দায়িত্ব মনে করলাম। যাই হোক মূল লেখাতে যাইঃ
তোমাদের ভ্রান্ত চিন্তা/ধারনাঃ
ট্রাইবুনালের রায়ের পর আসামীর ফাসির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারেন না। আপিল শুধুমাত্র শাস্তি কমানোর জন্য করা যাবে। তাই কাদের মোল্লার রায়ের বিরোদ্ধে আইন অনুসারে রাষ্ট্র আপিল করলে তা হবে আইনবিরোধী ও একনায়কতান্ত্রীক, যা গনতন্ত্রের চেতনা বিরোধী…
আমাদের উত্তরঃ
আইনের ছাত্র হিসেবে প্রশ্নটি আমার কাছে খুব আজব লেগেছে। আরে ভাই তোরা আইন না জেনেই ছাগলের বাচ্চার মত লাফালাফি করলে আমরা আইন পড়ে কি ঘোড়ার ঘাস কাটব??
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর আপিল বিভাগ (অনুচ্ছেদ-৯৪) । আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হল বাংলাদেশ সংবিধান। সুতরাং অন্যান্য আইন এর উপর প্রাধান্য পাবে বাংলাদেশ সংবিধান(অনুচ্ছেদ-৭)।
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৪ অনুযায়ী, আপিল বিভাগ রিট বা ডিগ্রী জারী করতে পারে।সুতরাং আপিল বিভাগ স্বপ্রনোদিত হয়ে রীট জারী করলে কাদের মোল্লার মামলা পুনরায় বিচার করা যাবে। তাই বলছি তোমাদের আব্বাজানদের বিচার আপিল বিভাগ ইচ্ছা করলেই করতে পারবে, বাচার রাস্তা বন্ধ।X((X((
আরেকটি উপায় আছে, যেহেতু ট্রাইবুনাল আইনে বলা আছে্ যদি কোন আসামী মামলায় খালাস পায় তার বিরোদ্ধে আপিল করা যাবে। কাদের মোল্লার মামলায় ৬টি অভিযোগের ৫টি নিঃসন্দেহে প্রমানিত হয়েছে আর একটি প্রমানিত হয় নাই। তাই যে একটি বিষয়ে কসাই সাবেব খালাস পেয়েছেন সেই বিষয়ে ট্রাইবুনালে আপিল করা যেতে পারে।X((
আমার জানা মতে এই দু’ভাবে তার বিচার পুনরায় করা যেতে পারে। সুতরাং তোমাদের আব্বাজানদের এখনও মুক্তি মেলেনি। বাছাধনেরা সাবধান, আজ জেগেছে এই জনতা।X((X((

তোমাদের ভ্রান্ত চিন্তা/ধারনাঃ
সায়দী সাহেবের মত মানুষকে বিচারের সম্মুখীন করা হলে বাংলাদেশের কেউ নেই যার বিচার দরকার নেই।যিনিই ইসলামের পথে চলেন তাকেই এরকম পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বলছি, উনার বিরোদ্ধে যা চলছে তা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। সায়দী সাহেবের ফাসি হলে বাংলাদেশে ইসলাম টিকে থাকবে না।
আমাদের উত্তরঃ
আল্লাহতালা পৃথিবীতে এমন কাউকে (নবী ও রাসুলগ্ন ব্যতিত) সৃষ্টি করেন নাই যে কোন ভূল বা পাপ করে নাই ।যেহেতু সায়দী নবী বা রাসুল নন সেহেতু তিনি ভুল বা পাপ করবেন এটা স্বাভাবিক। আর যিনি পাপ করবেন তার বিচার হওয়া দরকার। কারন মানুষ বিধায় উনি ভুল করেছেন। আর সেই ভুলটি যদি হয় মানুষ হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ, তাহলে তার বিচার করা অনিবার্য । সুতরাং ইসলামের স্বার্থেই সায়দীর বিচার হওয়া দরকার।:P:P
দিত্বীয়ত, সায়দী ও ইসলামের মধ্যে আমি কোন সম্পর্ক দেখি না। ।যদি রাজাকার সায়দীর মৃত্যুদন্ড হয় তবে ইসলামের কোন ক্ষতি হবে না। বরং উপকার হবে। কারন ইসলাম হত্যাকারীর বিচারের বিধান করেছে। তাই হত্যাকারীর বিচার হওয়া মানে ইসলামের শাষন কায়েম হওয়া। তাই আপনি যদি সত্যিকার ইসলামের শাষন কায়েম করতে চান তাহলে তাদের বিচারে সহযোগীতা করুন।তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন।B-)B-)X((
অন্যান্যঃ
এছাড়াও তাদের যুক্তি তাদের সমাবেশের অনুমতি দিলে তারা শাহবাগের থেকেও বেশী মানুষ মিলিত হবে। :D:D:D:D ভাল কথা। প্রশাষনের অনুমতি নেওয়া ভাল। কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন জাগে, কাদের মোল্লার বিচার বানচাল করতে বা আপনাদের বাবাদের বাচাতে হরতাল দিয়েছিলেন, সেদিন কোন প্রশাষনের অনুমতি নিয়ে বাসে আগুন দিয়েছিলেন?? কোন প্রসাষনের অনুমতি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছিলে???X((X((
ও রে ভাই, তোর বিবেক, বুদ্ধি কি মারা গেছে?? কেন তুই বুঝিস না, যে অপরাধ তারা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। তোর মা-বোন এর ইজ্জত বা তোর বাবা-ভাই-আত্মীয় স্বজনের বিপদে যেভাবে এগিয়ে আসিস। সেইভাবে কেন এগিয়ে আসছিস না তাদের সাহায্য করতে যারা তাদের মা-বাবা-ভাই-বোন-আত্মীয়দের কে হারিয়েছে?? তাই চল তাদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে যাই…B-)
জানি তার উত্তর নেই তোমাদের কাছে। কারন তোমাদের আব্বাজানদের সত্য ও ন্যায় বিচার হলে ফাসি নিশ্চিত। তাই তোমাদের আব্বাজানেরা তোমাদের লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা নিতে চায়।X((X((
আল্লাহ তোমাদের বুঝার জন্য তওফিক দান করুন। সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×