somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্মদিনের উপহার (পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প)

০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে দিন জন্মদিন ছিল না তবু ওকে দেখতে ইচ্ছে করছিল

তাই মিথ্যে বলেছিলাম।সে যথাসময়ে আমার বাসায় এলো। এসেই

বিস্মিত হলো।

: আর বাকীরা কই?

: আমি বললাম বাকীরা মানে?

: তোমার বন্ধু বান্ধব কেউ আসবে না?

: আমি কৌতুকমাখা গলায় বললাম না।

: কেন?

: কারণ আজ আমার জন্মদিন নয়! তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল!

: এই কথা! তা এমনি বললেই হত । আমি চলে আসতাম। আমি কত

কষ্ট করে নিউমার্কেট থেকে তোমার জন্য গিফ্ট কিনলাম...

: কিছু মনে কর না..আমি ভেবেছি এমনি বললে তুমি আসবে না...

: তোমার জন্মদিন তাহলে কবে?

: ১৩ ই জুন

: আরও সাতমাস!

: হু এতদিন ধৈর্য ধরে থাকা সম্ভব না.. তাই জন্মদিনের কথা বললাম

: সাতমাস আগে জন্মদিনের কথা বললে?

: ভালই ত’ হল । সবাই জন্মদিনে একটি উপহার পায়। আমি পেলাম

দুটি... তাও আবার জন্মদিন না হয়েও..

: দুটি মানে?

: একটি তোমার হাতে আর একটি তো তুমি...

: কোন বদমতলব আছে না কী? অবশ্য তোমার যা বীরত্ব! তোমারে

দেখলে ফড়িং ও পালায় না..হা হা

: তুমি আমাকে আমার চেয়ে বেশী চেন... তুমি খুবই বুদ্বিমতী...

: হয়েছে থাক আর তেলাতে হবে না.... সিরিয়াস কোন বিষয়ে কথা বলবে

নিশ্চয়ই...দাঁড়াও আগে গিফটের প্যাকেটটা খুলি...

: না না ওটা এখন খুলব না... জন্মদিনের উপহার জন্মদিনেই দেখব...

: তার মানে সাতমাস পরে?

: জ্বি হাঁ...

এরপর আমরা অনেক বিষয়ে কথা বললাম। ক’দিনেরই বা আমাদের

সম্পর্ক... তবু মনে হয় যুগ যুগ ধরে দুজন দুজনকে চিনি..তবে শুরু থেকে

আমরা দুজন দুজনকে নানারকম সারপ্রাইজ দিতাম। আমি ওকে কোন

সারপ্রাইজ দিলে ও অবশ্যই আমাকে পাল্টা সারপ্রাইজ দিত।

ভুয়া জন্মদিনের ছয় মাস পরের একদিনের কথা..

সে আমাকে ফোন করে বলল যে আগামী মাসেই আমাদের বিয়ে।

আমি বললাম তোমার বাসা থেকে বলেছে?

: না। আমিই ঠিক করলাম আগামী মাসে আমরা বিয়ে করব!

: আগামী মাস তো জুন মাস! কত তারিখ?

: কোন সমস্যা না হলে ১৩ ই জুন!

: জন্মদিনে বিয়ে? তোমার বাসায় বলেছ?

: হাঁ বলেছি। কারো আপত্তি নেই..

: আচ্ছা তাহলে আমার জন্মদিনে কেন? তোমার জন্মদিনেও তো করতে

পারতে..

: কারণ আছে মশাই...যথাসময়ে জানতে পারবেন!



এরপর মোটামুটি জাঁকজমকের মধ্যেই আমাদের বিয়ে হল। বাসর ঘরে

ঢুকতেই সে বলল তোমার ভুয়া জন্মদিনের উপহার টা কোথায় রেখেছ?

আমি ওয়ার্ড্রব থেকে সযতনে র‌্যাপিং পেপারে মোড়ানো উপহারটি বের

করলাম।

: আজ তোমার সত্যি সত্যি জন্মদিন। আজ না এটি তোমার দেখার কথা!

: আজও আমি দুটি উপহার পেলাম। তুমি ইচ্ছে করেই এমনটি করেছ!

তাই না!


: সে লাজুক হাসি দিয়ে বলল সারপ্রাইজ!

আমি ধীরে ধীরে র‌্যাপিং মোড়ানো উপহারটি খুললাম---

এ কী! নববধূর সাজে সজ্জিত তার অসাধারণ একটি ছবি!

: তুমি না নিউমার্কেট থেকে গিফ্ট কিনেছিলে?

: হ্যাঁ! ছবিটি নিউমার্কেটে তোলা এবং সেখান থেকেই বাঁধাই করে

এনেছি..

: তাহলে তুমি আগেই জানতে আমার অরিজিনাল জন্মদিন কবে?

: এ আর কঠিন কী? তোমার বন্ধু জোসেফের কাছে থেকে জেনে

নিয়েছিলাম তোমাকে না জানিয়ে..উনাকেও মানা করেছি তোমাকে না

বলতে..তুমি যখন ফোন করে বললে যে সেদিন তোমার জন্মদিন তখনই

আমার মাথায় আইড়িয়াটি আসে । আমি ধারণা করেছি তুমি উপহারটি

সেদিন খুলবে না তাই আজকের এই সত্যিকারের জন্মদিনে বিয়ের

আয়োজন!

আমি কী বলব! আমি থ!! ভুয়া জন্মদিনের দুটি উপহার যার কোনটিই

সেদিন দেখা হয়নি। আজ সত্যিকার জন্মদিনেও দুটি উপহার! পরমূহুর্তেই

আমার মনে হল উপহার আসলে কয়টি?

একটি না দুটি??
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:২৯
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×