somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছ্যাঁকা কাহিনীসমগ্র!(ঈষৎ সংক্ষেপিত!) :) :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জীবনের প্রথম গভীর ভালবাসা ছিল ক্রিকেট।ক্রিকেট একসময় আমাকে ছ্যাঁকা দিয়েছে।কিন্তু এ ছ্যাঁকা খেয়ে আমি দেবদাস হয়ে যাইনি।ক্রিকেট পার্বতীকে ছেড়ে আমি এখন চন্দ্রমুখী ফুটবলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি!

সুতরাং লেখার শিরোনাম এর কারণে প্রেম ভালবাসা বলতে বাস্তব জীবনের যে “সিরিয়াসলি ক্যাজুয়াল” বিষয়টা বোঝায় তার কাহিনীও আমাকে কিছুটা বলতে হচ্ছে! আসলে আমার ইয়ে গুলিকে ভালবাসা না বলে ভাললাগা বলাই বোধকরি অধিক যুক্তিযুক্ত হবে।

ঢাকা যাওয়ার খুব শখ ছিল। তার মূলেও ছিল ক্রিকেট।একসময় পড়ালেখার প্রয়োজনে ঢাকা গেলাম।পড়ালেখাকে “পাশ” কাটিয়ে আমি ক্রিকেট খেলতে লাগলাম।কীভাবে কীভাবে জানি ফেলটাকেও “পাশ” কাটিয়ে গেলাম!

ক্রিকেটে প্লেয়ার হবার আশা যখন একটু ফিকে হয়ে এসেছে তখন আমি অন্য ভালবাসার দিকে উঁকিঝুঁকি দিতে লাগলাম।কী কাকতালীয়! এখানেও আমি এমন এক মেয়েকে খুঁজে পেলাম যার আচরণ ক্রিকেটের মত! অর্থাৎ ঝিঁ ঝিঁ পোকার মত! (ঝিঁ ঝিঁ পোকা যার ইংরেজী হল ক্রিকেট!)

সেই মেয়ে আমার মনের ভেতরে শব্দ করতে লাগল!দিনরাত আমি এই শব্দ শুনি আর গুনগুন করি!ফলে যা হবার তাই হল। আমি আবার ভাললাগায় আপ্লুত হলাম!(ভালবাসা বললে ভুল হবে)

নিয়তি কী সুন্দর করে ডিজাইন করে রেখেছিল!এই মেয়েও ক্রিকেটের মত একসময় আমাকে ছ্যাঁকা দিবে!এবং সে তাই দিল!

কী কাকতালীয়! আমি এবারও দেবদাস হইনি!আমি চন্দ্রমুখীর সন্ধানে প্রবৃত্ত হলাম। তার কারণ দেবদাস হয়ে যাওয়াকে আমি ঘৃণা করি!

পার্বতী যখন আমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে বিদেশে চলে গেল তখন আমি বাংলাদেশে বসে পূর্ণিমা চাঁদের দিকে চেয়ে নতুন চন্দ্রমুখীর চিন্তা করছি!কিন্তু বাস্তবের চন্দ্রমুখীরা পার্বতীর বিদায়ের পরপরই হাজির হয় না! তারা একটু আড়ালে থাকে!তাদের পেতে সাধনা করা লাগে!

শেষ পর্যন্ত চন্দ্রমুখীকে খুঁজে পেয়েছি কী পাইনি এমন প্রশ্ন আমাকে যদি কেউ করে তবে তার উত্তরে আমি এমন এক রহস্যময় হাসি দেব… যার অর্থ “হ্যাঁ” ও হতে পারে আবার “না” ও হতে পারে!
--------------------


৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×