আমার জীবনের প্রথম গভীর ভালবাসা ছিল ক্রিকেট।ক্রিকেট একসময় আমাকে ছ্যাঁকা দিয়েছে।কিন্তু এ ছ্যাঁকা খেয়ে আমি দেবদাস হয়ে যাইনি।ক্রিকেট পার্বতীকে ছেড়ে আমি এখন চন্দ্রমুখী ফুটবলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি!
সুতরাং লেখার শিরোনাম এর কারণে প্রেম ভালবাসা বলতে বাস্তব জীবনের যে “সিরিয়াসলি ক্যাজুয়াল” বিষয়টা বোঝায় তার কাহিনীও আমাকে কিছুটা বলতে হচ্ছে! আসলে আমার ইয়ে গুলিকে ভালবাসা না বলে ভাললাগা বলাই বোধকরি অধিক যুক্তিযুক্ত হবে।
ঢাকা যাওয়ার খুব শখ ছিল। তার মূলেও ছিল ক্রিকেট।একসময় পড়ালেখার প্রয়োজনে ঢাকা গেলাম।পড়ালেখাকে “পাশ” কাটিয়ে আমি ক্রিকেট খেলতে লাগলাম।কীভাবে কীভাবে জানি ফেলটাকেও “পাশ” কাটিয়ে গেলাম!
ক্রিকেটে প্লেয়ার হবার আশা যখন একটু ফিকে হয়ে এসেছে তখন আমি অন্য ভালবাসার দিকে উঁকিঝুঁকি দিতে লাগলাম।কী কাকতালীয়! এখানেও আমি এমন এক মেয়েকে খুঁজে পেলাম যার আচরণ ক্রিকেটের মত! অর্থাৎ ঝিঁ ঝিঁ পোকার মত! (ঝিঁ ঝিঁ পোকা যার ইংরেজী হল ক্রিকেট!)
সেই মেয়ে আমার মনের ভেতরে শব্দ করতে লাগল!দিনরাত আমি এই শব্দ শুনি আর গুনগুন করি!ফলে যা হবার তাই হল। আমি আবার ভাললাগায় আপ্লুত হলাম!(ভালবাসা বললে ভুল হবে)
নিয়তি কী সুন্দর করে ডিজাইন করে রেখেছিল!এই মেয়েও ক্রিকেটের মত একসময় আমাকে ছ্যাঁকা দিবে!এবং সে তাই দিল!
কী কাকতালীয়! আমি এবারও দেবদাস হইনি!আমি চন্দ্রমুখীর সন্ধানে প্রবৃত্ত হলাম। তার কারণ দেবদাস হয়ে যাওয়াকে আমি ঘৃণা করি!
পার্বতী যখন আমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে বিদেশে চলে গেল তখন আমি বাংলাদেশে বসে পূর্ণিমা চাঁদের দিকে চেয়ে নতুন চন্দ্রমুখীর চিন্তা করছি!কিন্তু বাস্তবের চন্দ্রমুখীরা পার্বতীর বিদায়ের পরপরই হাজির হয় না! তারা একটু আড়ালে থাকে!তাদের পেতে সাধনা করা লাগে!
শেষ পর্যন্ত চন্দ্রমুখীকে খুঁজে পেয়েছি কী পাইনি এমন প্রশ্ন আমাকে যদি কেউ করে তবে তার উত্তরে আমি এমন এক রহস্যময় হাসি দেব… যার অর্থ “হ্যাঁ” ও হতে পারে আবার “না” ও হতে পারে!
--------------------