somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নের অকাল মৃত্যু

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুন্দর মিষ্টি বিকেল।চারিদিকে উত্তাপহীন লালচে রোদ।পুকুরঘাটে পানিতে পা লাগিয়ে নিশ্চুপ বসে আছে "অন্তু"।তার পা দোলানিতে সুন্দর ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে পুকুরের পানিতে।ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে পাড়ে।আনমনে অন্তু তাকিয়ে আছে নীল আকাশের দিকে।সারাদিনের চাঞ্চল্য শেষে ডানা মেলে আকাশের কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বকের সারি আর বুনো শালিকের দল।উড়ে যাচ্ছে অন্য কোন গাঁয়ে।যেখানে নিঃসংকোচে বাসা বেঁধেছে তারা।একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে।জোনাকিরা আলো ছড়াবে ঝোপ ঝাড়ে।চারিদিকে আপন মনে ডেকে যাবে ঝিঁ ঝিঁ পোকা।চারিদিকে চেচামেচি করবে পেঁচার মত কিছু নিশাচর পাখি।মনে হয় রাতের রাজত্ব তাদের একার।এরপর একসময় সকাল হবে।চারিদিকে সকালের শুভবার্তা জানাবে পাখির কিচিরমিচির আর মোরগের ডাক।সময় পেরিয়ে একসময় ঘড়িতে বাজবে সকাল নয়টা।আর তখনই শুরু হবে স্বপ্ন পূরনের প্রহর।মনে মনে আরো কত কিছু যে ভেবে চলেছে অন্তু।তার ভাবনার পৃথিবী জুড়ে যার একচ্ছত্র আধিপত্য সে আর কেউ নয়,সে তার দুই নয়নের মনি,হৃদয়ের স্পন্দন,কল্পনার রাজকুমার,তার স্বপ্ন,তার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা,তার চলার পথের সাথী,তার স্বপ্নের যুবরাজ "দ্বীপু"।
কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারী,"বিশ্ব ভালবাসা দিবস"।তাইতো এত ভাবনা অন্তুর।ওকে কিভাবে সেলিব্রেইট করবে,সারাদিন কোথায় ঘুড়বে,কি খাবে,কোন ফুল দিয়ে নিজের ভালবাসা জানাবে,কি কথা বলবে ওর সাথে মনে মনে এসবই ভাবছিল অন্তু।অন্তুদের বাসা নওগাঁ সদরে আর দ্বীপুদের বদলগাছীতে।অন্তু নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা ২য় বর্ষের ছাত্রী আর দ্বীপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শেষ বর্ষের ছাত্র।পরিবারের অন্যান্যরাও জানে তাদের সম্পর্কের কথা।দ্বীপুর ফাইনাল পরীক্ষার পরেই বিয়ে হবে ওদের।
চারিদিকে সন্ধ্যা নামছে।রাখাল গরু নিয়ে ঘড়ে ফিরছে।সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সবায় এখন ঘড়মূখী।অন্তুও ঘড়ে ফিরে আসে।রাতে বিছানায় শুয়ে বালিশধরেও ভাবে দ্বীপুর কথা।সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়েছে।সকালে উঠেই গোসল করে ভাল পোশাক পড়ে নিল অন্তু।আজ তার স্বপ্ন পুরূষ আসবে।বারান্দায় বসে দ্বীপু আগমনের অপেক্ষা করছে অন্তু।হঠাৎ তার চোখে পড়ল,গাছের সারির মাঝখান দিয়ে চলে আসা রাস্তা ধরে তাদের বাসার দিকে আসছে দুই যুবক।একটু কাছে আসতেই সে দেখল দ্বীপু আসছে।সাথে দ্বীপুর বন্ধু অপুও রয়েছে।সোজা দৌড়ে ঘড়ে চলে এলো অন্তু।দ্বীপুকে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে গেল সে।সামনে আসতে পারছিল না।ইতোমধ্যে হাত মুখ ধুয়ে ঘড়ে বসে আছে ওরা।
অপু দ্বীপুকে খোঁচা মেরে বলল,কি রে তোর লজ্জাবতী যে লজ্জায় মরি মরি অবস্থা।এতদিনে এই প্রেম করলি?
দ্বীপুর সোজা উত্তর,না রে তুই আছিস তাই একটু লজ্জা পাচ্ছে।
অপু বলে,বাহ রে আমি কি দূরের কেউ নাকি?ওরা বুঝতে পারছিল দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে সব শুনছে অন্তু।
তাই ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে অপু বলল,আমিতো দেবর,আমাকে আবার লজ্জা কিসের?
পর্দা সরিয়ে হাতে নাস্তা নিয়ে ঘড়ে ঢুকলো অন্তু।পরনে হালকা আকাশী রং এর শাড়ী।খোপায় বেলি ফুলের মালা।কপালে ছোট নীল টিপ।অপরূপা লাগছিল ওকে।
অপু ঠাট্টা করে বলল,কিরে পরী ধরেছিস দেখছি।
শুনেই মিষ্টি করে হেঁসে দিল অন্তু।ওর হাঁসি দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওর হাঁসিটায় নকল করতে চেয়েছিল মোনালিসা।
অপু বলল, ভাবী আমার মত হতভাগা এই দুনিয়াতে আর একটাও নেই।
অন্তু জিজ্ঞেস করল,কেন?
অপু বলল কারন আপনার কোন ছোট বোন নেই।
লজ্জা মাখা হাঁসি হাঁসল অন্তু।
অপু বলল,তবে দ্বীপু আপনাকে ভাল না বাসলে নিশ্চিত আমি চান্স নিয়ে নিতাম।দ্বীপু রাজি থাকলে এখনও নিতে পারি।
দ্বীপু বলল,আমি মরে গেলে একবার চেষ্টা করিস।বেঁচে থাকতে আর পাচ্ছিস না।
ওর মরার কথা শুনেই থমকে গেল অন্তু।সে তো হারাতে পারবেনা দ্বীপুকে।দ্বীপু ওর হৃদয়ের স্পন্দন,দ্বীপু না থাকলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে সেই স্পন্দন।দ্বীপু ছাড়া যে পুরো দুনিয়াটায় অন্ধকার।এমনটি ভেবে হঠাৎ করেই দ্বীপুর বুকের মধ্যে চলে আসে অন্তু।ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে।
দ্বীপু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে ওকে বুঝিয়ে বলে,তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবনা।তুমি আর আমি যে জীবন মরনের সঙ্গী।সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে দুজনের হায়াত সমান করে নেব,যেন একই সাথে মরন হয় আমাদের।তোমাকে ছাড়া আমিও যে বন্দি পাখির মত ছটফট করে মারা যাব।
দ্বীপুর কথায় সম্বিত ফিরে পায় অন্তু।চোখ মুছতে মুছতে অভিমানের সুরে জিজ্ঞেস করে,সত্যি বলছ তো?
দ্বীপু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে সায় দেয়।
নাস্তা সেরে অপু বলে,তোরা তাহলে ঘুড়তে বের হ, আমার একটু কাজ আছে, আমি একটু আপার বাসায় যাব।
অপুকে বিদায় জানিয়ে ওরা ঘুড়তে বের হয়।সারাদিন রিক্সায় করে ঘোড়ে ওরা।সবুজ মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে অনেক দূরে চলে যায় ওরা।সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফিরে আসে।পথে অন্তুর ইচ্ছায় বাইপাসের মোড়ের সজীব ফুড কর্নারে নাস্তা করে ওরা।
বাসায় ফিরেই দ্বীপু বলে আমাকে বাড়ি যেতে হবে।আব্বা আম্মার সাথে একদিন থেকেই চলে যাব আমি।পরশু অবরোধ।কাল না গেলে আর সহজে যেতে পারবনা।সামনে পরীক্ষা।পরীক্ষার কথা শুনে আর জিদ করেনা অন্তু।দ্বীপু চলে যায়।ওকে এগিয়ে দিতে পুকুর পাড় পর্যন্ত আসে অন্তু।অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ওর গমন পথের দিকে।যতদূর চোখ যায় আর যতক্ষন ওকে দেখা যাচ্ছিল ততক্ষন সেদিকে তাকিয়ে থাকে অন্তু।এক সময় অদৃশ্য হয়ে যায় দ্বীপু।ঘরে ফিরে শুধু ওর কথায় ভাবে অন্তু।যাওয়ার ওকে বারবার চিঠি লিখার কথা বলেছে অন্তু।মোবাইলের মেসেজে নাকি মনের অনুভুতি পাওয়া যায় না।তাই এই যান্ত্রিক প্রেমপত্র অন্তুর পছন্দ না।চিঠিতে মনের সমস্ত অনুভুতি ঢেলে দিয়ে ভালবাসার কথা বলা যায়।পড়েও হৃদয় ভরে যায়।দ্বীপুর চিঠি পেলে ও যেন প্রান ফিরে পায়।পরদিন ঢাকা চলে যায় দ্বীপু।
দেশের অবস্থা ভালো না।রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানুষ অতিষ্ট।কিছুদিন আগে এক জোট সরকার থেকে বিদায় নিয়েছে।যাবার আগে সাংবিধানিকভাবে উচ্চ পদগুলোতে নিজেদের পছন্দের লোক বসিয়ে গেছে।তাদের অবর্তমানে বিকল্প ব্যবস্থাও করে রেখে গিয়েছে।কারন তাদের ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা।তারা সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।দায়িত্ব প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পরবর্তীজনও যেন তাদের কথায় বলে সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছে।আর মানুষের চোখে ভাল সাজবার জন্য,জনগনের সমর্থন লাভের জন্য বারবার সাংবিধানিক উপায়ের কথা বলছে।এর সবই করছে তারা পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য।অপরদিকে কিছু অপরিচিত,কিছু বিলুপ্তপ্রায় ও কিছু নবগঠিত দল নিয়ে তৈরি অপর জোটও ক্ষমতায় আসার জন্য ব্যকুল।পূর্ববর্তী সরকারের আমলে নিযুক্ত উচ্চ পদস্থদের সরাতে তারা ঘোষনা করছে বিভিন্ন রকম আন্দোলনের।তাদের অপসারন ব্যতীত নির্বাচনে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি।প্রতিদিন তারা গনতন্ত্রের নামে ঘোষনা করছে বিভিন্ন অগনতান্ত্রিক আন্দোলনের।হরতাল,অবরোধ দিয়ে নষ্ট করছে দেশের সম্পদ।দেশ যাচ্ছে অনিশ্চয়তার দিকে।
বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল ঢাকা এসেছে দ্বীপু।বিভিন্ন কাজের ঝামেলায় চিঠি লিখা হয়ে ওঠেনি।তাই আজ লিখতে বসেছে।মনের মনিকোঠায় সাজানো কথাগুলো দিয়ে চিঠি লিখছে অন্তুকে__
প্রিয়তমা,
তোমার জন্য এই হৃদয় গহীনে সাত সমুদ্র ভালবাসা জমা,
তুমি আছ বলে আকাশ এমন নীল,
তুমি আছ বলে গাছে গাছে ফুলের সমারোহ,
তুমি আছ বলে পাখিরা গান করছে,
তুমি আছ বলে নদী বয়ে চলেছে,
তুমি আছ বলে আকাশে রংধনু জাগে,
তোমায় উৎসর্গ করছি_জগতের সমস্ত ফুটন্ত গোলাপ।
তোমাকে সাজাতে নিয়ে আসব একশ আটটা নীল পদ্ম,
ক্ষীরসাগর থেকে গজমতির হার এনে তোমায় পরাবো।
তোমাকে রাঙাবো ভালবাসার রঙে,
তোমায় নিয়ে পাড়ি জমাবো জগতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে,
ধরনীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে তুমি হবে মুগ্ধ,
আর আমি হব তৃপ্ত..........
প্রিয়তমা,এইতো আর কয়েকটা দিন।তোমার হৃদয় দুয়ারে কড়া নাড়তে আসব আমি তোমার কাছে।তোমার মনের দুয়ারে টাকটাক করে বলব আমার বৌ রানী হবার জন্য প্রস্তুত আছতো?পরীক্ষা শেষ করেই চলে আসব আমি।আরও অনেক কিছু লিখেছে চিঠিতে।
পরদিন কয়েকজন বন্ধুর সাথে ক্যাম্পাস যাচ্ছে দ্বীপু।সাথে চিঠিটাও নিয়েছে, যাওয়ার পথে পোষ্ট করবে বলে।সুন্দর স্ট্যাইপ কালো প্যান্টের সাথে অফ হোয়াইট শার্টে দারুন লাগছিল দ্বীপুকে।শার্টের বুক পকেটেই রেখেছিল চিঠিটা।গুলিস্তান মোড় পার হয়ে ঐ অগনতান্ত্রিক আন্দোলনে লিপ্ত জোটের অফিসের কাছে আসতেই ঘাতকের একটা বুলেট এসে লাগল দ্বীপুর বুকের বামপাশে।যেখানে রয়েছে অন্তুপূর্ন একটা হৃদয় আর সেই অন্তুকে লিখা তার ভালবাসার চিঠিটা।কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিকট একটা শব্দ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দ্বীপু।সেখানে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেল,পাখিরা গান বন্ধ করে দিল।মুহূর্তের জন্য থমকে গেল গোটা এলাকা।দ্বীপুর বুকের তাজা রক্তে লাল হয়ে গেছে গায়ের শার্ট।লাল হয়ে গেছে চিঠিটাও।
এই অশান্ত পৃথিবীটাকে বিদায় জানাবার আগে অপুকে একটা অনুরোধ করেছে দ্বীপু।
দোস্ত আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন যার কথা বলে,সেই অন্তুকে এই চিঠিটা পৌঁছে দিস।ওকে নিয়ে ঘর বাঁধার যে স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম তা আর পূরন হলনারে।বলতে বলতে নীরব হয়ে গেল দ্বীপু।
লাশের কফিন নিয়ে সবায় আসলো দ্বীপুদের বাড়িতে।
ওদেরকে দেখেই দৌড়ে আসে দ্বীপুর মা।জিজ্ঞেস করে তোমরা কার লাশ নিয়ে এসেছো?দ্বীপু আসেনি?ওর পরীক্ষা কেমন হয়েছে?
অপু বলল খালাম্মা দ্বীপু আর আসবেনা।ও আর আমাদের মাঝে নেই।আমরা ওর লাশই নিয়ে এসেছি।শুধু একটা আর্তনাদ।আল্লাহ্ রে.......
মাঝে মাঝে সম্বিত ফিরে পেয়েই শুধু বলেন,দ্বীপু এসেছিস বাবা?তোর পরীক্ষা কেমন হয়েছে সোনা?তোকে নিয়ে যে আমার অনেক স্বপ্ন।একদিন তুই অনেক বড় অফিসার হবি,তোর সুন্দর একটা বউ হবে।এই দ্বীপু কথা বলছিসনা কেন?বউ এর কথা শুনে লজ্জা পেয়েছিস বুঝি?দ্বীপু,এই দ্বীপু কথা বল বাবা।তারপর আবার নীরব।শুধু দুচোখ বেয়ে পানি ঝড়তে থাকে।নির্বাক,নিস্তব্ধ হয়ে গেছেন দ্বীপুর বাবা ও আদরের একমাত্র ছোট বোনটিও।দ্বীপুকে দৃষ্টি সীমার বাইরে রেখে অন্তুদের বাসায় যায় অপু।দূর থেকে অপুকে দেখে ছুটে আসে অন্তু।জানতে চায় আপনি একা কেন?দ্বীপু আসেনি?বাসায় চলেন।বাসায় এসে রক্তে ভেজা লাল চিঠিটা অন্তুকে দেয় অপু।তারপর সব খুলে বলে।চিৎকার করে ওঠে অন্তু না আমি বিশ্বাস করিনা।মিথ্যে বলছেন আপনি,আপনি মিথ্যে বলছেন।এরপর মিথ্যুক,প্রতারক বলে গালি দিতে দিতে চিঠিটা ছিঁড়ে কুচিকুচি করে বাতাসে উড়িয়ে দেয় অন্তু।হঠাৎ নীরব হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।সেইযে ঘরে ঢুকল আর কখনও সোনালী আলোর মুখ দেখাতে কেউ তাকে বাইরে আনতে পারেনি।
সমাজের কাছে,জাতীর কাছে শুধুই প্রশ্ন আর কত দ্বীপুকে ঝড়ে পড়তে হবে অকালে?আর কত দ্বীপুর রক্ত চায় ওরা?আর কত মায়ের বুক খালি করতে চায়?আর কত বাবাকে করতে চায় অসহায়?আর কত অন্তুর স্বপ্নের অকাল মৃত্যু ঘটাতে চায় ওরা?এটাই কি ওদের রাজনীতি?এভাবেই কি ওরা হতে চায় জনগনের প্রতিনিধি?
অন্তুর এসব প্রশ্নের উত্তর আজ কে দেবে?সদ্য ক্ষমতা ছাড়া সংবিধানবাদি জোট?নাকি গনতন্ত্রের নামে অগনতান্ত্রিক আন্দোলনে লিপ্ত ঐ মহাজোট?

রচনাকাল :মার্চ ২০০৭
প্রেক্ষাপট :তৎকালীন জরুরী অবস্থা ও রাজনৈতিক আন্দোলন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×