somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিখ্যাতদের পাঠশালা

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট বেলায় দেখা সত্যজিত রায়ের অমর সৃষ্টি হীরক রাজার দেশের সেই পাগলা রাজার কথা এখনও মনে আছে।
‘জ্ঞানের কোন শেষ নাই, জ্ঞানের চেষ্টা বৃথা তাই। আজ থেকে তাই পাঠশালা বন্ধ।‘

তখন মনে হয়েছিল ইসৃ যদি সত্যি সত্যি সব পাঠশালা বন্ধ হয়ে যেত তবে কত মজাই না হত। রোজ রোজ বিরক্তিকর স্কুলে যাবার কোন ঝামেলাই তাহলে আর থাকত না।

আজ অনেক বছর পর মনে হয হায় কোথায় হারিয়ে গেল শৈশবের সেই সব সোনালী দিনগুলি। যদি সুযোগ থাকত তবে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমার সেই সব সাদামাটা শৈশবের দিনগুলি ফেরত চাইতাম। সেই সব স্কুল পালানো দিনগুলি। সেইসব আনন্দ বেদনার মুহূর্তগুলি এখনও তাড়া করে ফেরে।

স্কুল পালানোর কথা বললেই অনেক বোদ্ধারা চোখ কোঁচকে ফেলবেন। কিন্তু অনেক বিখ্যাতদেরও রয়েছে পড়ায় ফাঁকি দেয়া, স্কুল পালানো এবং স্কুল থেকে বহিস্কারের ইতিহাস।

১. জেমস নেগল ফারসন: একজন আমেরিকান লেখক। উনাকে ফিলিপস অ্যকাডেমি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এক বদমেজাজী প্রশিক্ষককে পুকুরে ছুড়ে ফেলতে তিনি সাহায্য করে ছিলেন।

২. অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: বড় হয়ে হতে চেয়েছিলেন গুন্ডা, কবি, দার্শনীক। শেষ পর্যন্ত এর কোনটাই হতে পারেননি। উনার বড় বড় নরম কান দুটি ক্লাস শিক্ষকের খুব প্রিয় ছিল। তাই ছোটবেলায় স্কুলে থাকতে শিক্ষকের বেতের বাড়ির বদলে উনাকে সব সময় কান মলা খেতে হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষক প্রবেশ করেই ফিল্মি রংবাজ স্টাইলে উনার দুই কানের উপর ঝাপিয়ে পড়তেন।

৩. বেনিতা মুসোলিনি: ৯ বছর বয়সে স্কুলের এক শিক্ষক তাকে স্কেল দিয়ে বাড়ি দিলে তার দিকে কালির দোয়াত ছুড়ে মারেন। সে যাত্রা রক্ষা পেলেও পরবর্তীতে এক ছাত্রের নিতম্বে ছুরি মারার অপরাধে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন।

৪. লিও ট্রটস্কি: একজন রাশিয়ান কমিউনিস্ট নেতা। ১০ বছর বয়সে স্কুলে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জোরে চিৎকার করতে বন্ধুদের উৎসাহ জোগান। ফলস্বরুপ বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার।

৫. উইলিয়াম রেগুলফ হার্স্ট: আমেরিকান পত্রিকা প্রকাশক। স্কুলের পত্যেক শিক্ষককে একটি করে প্রস্রাবের পটি পাঠান। প্রতিটি পটিতে অলংকরন করে দেন সেই শিক্ষকের নাম আর ছবি। ফলে হার্ভাড থেকে হন বহিস্কৃত।

৬. এডগার অ্যালান পো: পর পর কয়েক সপ্তাহ ক্লাস করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে বিদ্যালয় থেকে করা হয় বহিস্কার।

৭. বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন: ছেলেবেলায় শিক্ষকরা উনাকে লেজী ডগ বলে সম্বোধন করতেন। তাদের ধারণা এই কুঁড়ের বাদশা ছেলে বড় হয়ে কোন কাজেই লাগবে না।

৮. লেখক হুমায়ূন আহমেদ: ক্লাস ওয়ানের প্রথম ক্লাসে মারামারি করে এক ছাত্রের সামনের একটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলেন। ফলে হেডমাস্টার সাহেব উনাকে কান ধরে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন। ছাত্রছাত্রীদের উপদেশ দেন-এ মহাগুন্ডা। তোমরা সাবধানে থাকবে। খুব সাবধান। পুলিশের ছেলে গুন্ডা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রথম শ্রেণীতে যতদিন তিনি ছিলেন প্রতিদিনই কোন না কোন কারণে উনাকে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠার পর একদিন ক্লাসের এক সুন্দরী বালিকার কাছে গম্ভীর ভাবে জানতে চান বড় হয়ে সে তাঁকে বিযে করতে রাজী আছে কিনা। ফলে শিক্ষকের কাছে নালিশ এবং যথারীতি কপালে জোটে দুই হতে দুইটা ইট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি।

৯. আহসান হাবীব: প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট। ছেলেবেলায় ভর্তি হন কুমিল্লা জিলা স্কুলে। ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক জানতে চান-হাউ ওল্ড আর ইউ?
তিনি সগর্বে উত্তর দেন-নো আই এ্যাম নট ওল্ড।

শিক্ষক হেসে ফেলে বলেন-বাহ তুইতো ইংরেজীতে দারুণ ভাল রে!


:| সংগৃহীত





৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×