কি করেছেন লতিফ সিদ্দিকী? খুন
না ধর্ষণ? নাকি দেশের মানুষের মুখের
ভাত কেড়ে নিয়েছেন?
না,কোনটাই না।তবুও আমরা তার ফাসির
দাবী করছি। আসুন আমরা একবার মনে করি তার বক্তব্য
কি ছিলো----
সে বলেছিলো যে রাসুল(সাঃ) ডাকাতদের
বংশধর আর কুরাইশদের কোন ইনকামের
রাস্তা নেই,তাই তারা হজ্জের সিস্টেম
চালু করে।সে তাবলীগ জামাতেরও
বিরোধিতা করে।এবং বলে যে যখন
দেশে ইজতেমা হয় তখন সারাদেশে জ্যাম লেগে যায়।
এই অল্প কিছু অসাড় ও যুক্তিহীন কথায়
আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত
লেগে গেলো? আচ্ছা লতিফ সিদ্দিকীটা কে?
সে কি দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম
না পীর যে তার কথা আমাদের বিশ্বাস
করতে হবে কিংবা গুরুত্ব দিতে হবে?
লতীফ সিদ্দীকী তার বক্তব্যে আরো কিছু
কথা বলেছেন যেগুলো আমরা ভুলে গেছি।
সেগুলো একটু মনে করিয়ে দিচ্ছি..…..
লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন "আপনারা জয়
ভাই জয় ভাই করেন কেন? কাজ
করে সরকার,এখানে জয় কেউ না"
তার আরো বক্তব্য ছিলো সে নাকি কার
কাছে চাদা চেয়েছিলো যা সে পায়নি।
অর্থাৎ
সে যে দুর্নীতি করেছে কিংবা করতে
চেয়েছে সেটাও প্রকাশ্যে বলেছে।
তার বক্তব্যের ধর্ম অবমাননার
বিষয়টি নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে-শহরে-বন্দর
উত্তাল।কিন্তু সে আওয়ামীলীগের একজন
ভবিষ্যত নেতৃত্বকে অবমূল্যায়ন
করলো,প্রকাশ্যে দুর্নীতির কথা স্বীকার
করলো এইসব নিয়ে কোন কথা নেই!
ওকে সবকিছু বাদ দিয়ে ধর্ম অবমাননার
বিষয়ে ফিরে আসি। এই ধরণের নোংরা কথা লতিফ
সিদ্দিকী আগেও কয়েকবার
বলেছেন,কিন্তু তখন মিডিয়া তা প্রচার
করেনি কিংবা গুরুত্ব দেয়নি।কিন্তু তার
সর্বশেষ দেয়া বক্তব্যটি মিডিয়া ফলাও
করে প্রচার করেছে তাই জনগণের ধর্মানুভূতি অনেক বেশী আঘাতপ্রাপ্ত
হয়ে গেলো,তাইনা?
প্রিয় জনতা,আপনার নিশ্চয়
মনে আছে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র
রায়
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মা
দুর্গার সাথে তুলনা করেছিলেন?
গয়েশ্বর রায় বলেছিলেন
যে মা দুর্গা যেমন অসুরকে বিনাশ করেন
তেমনি আমাদের নেত্রী বেগম
জিয়া মা দুর্গার রূপে এসে শত্রুকে ধ্বংস
করে দেশকে রক্ষা করবেন
কই কেউতো তার ফাসি দাবী করেনি।
কারন মিডিয়া এই খবর ফলাও করে প্রচার
করেনি। কারণটা পরিষ্কার,এই দেশের ৯০% মুসলিম
জনতা এই খবরটি খাবেন না।তাদের চাই
এমন হট-টপিক যা জনগণের মধ্যে তীব্র
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
ওয়েল,প্রিয় জনতা,আপনাদের
মনে আছে জামাত
নেতা নিজামী নিজেকে নবীর
সাথে তুলনা করেছিলেন? তখন আমি অনেক
ছোট ছিলাম কিন্তু স্মৃতিশক্তি বলে যে এই
ঘটনায় বেশ তোলপাড় হয়েছিলো।সম্ভবত এটি ২০০৪ বা ২০০৫ এর ঘটনা।শেষ পর্যন্ত
নিজামীকে এর জন্য ব্যাখ্যাও
দিতে হয়েছিলো।
প্রিয় জনতা,মনে করতে পারেন প্রথম
আলোর সহ-
সাময়িকী "আলপিন"(বর্তমানে রস-আলো) এ
আরিফুর রহমান নামে এক কার্টুনিস্টের
আকা ছবি ছাপা হয়েছিলো যাতে
মুসলিমদের কটাক্ষ করা হয়েছিলো? এর দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো প্রথম-
আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে।
সারাদেশে প্রথম-আলো বর্জনের ডাক
দিয়েছিলো ইসলামিক দলগুলো।শেষ
পর্যন্ত মতিউর সাহেব বায়তুল মোকাররমের
খতীব ওবায়দুল হকের কাছে ক্ষমা চেয়ে বেচে যান।মৃত্যুদন্ড
দুরে থাক,তার কোন জেলও হয়নি.......
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত
ফেসবুকে,ব্লগে চলছে ধর্ম অবমাননার
মহোৎসব।আসিফ মহিউদ্দিন,ওমর ফারুক
লুক্স,শামীমা মিতু,দাড়িপাল্লা ধমাধম,
সাদিয়া সুমি,থাবা বাবা(মৃত) এদের নাম
আশা করে সবাই জানেন।এরা অসংখ্যবার ধর্ম অবমাননা করেছে কিন্তু কেউ তাদের
মৃত্যুদন্ড চায়নি।এক লতিফ
সিদ্দিকী হচ্ছেন বলির পাঠা!!
সর্বশেষ বক্তব্য-- আমি অবশ্যই লতিফ
সিদ্দিকীর শাস্তি চাই,তবে সেটা তার
দুর্নীতির জন্য,ধর্ম অবমাননার জন্য নয়।
তার বক্তব্যের
শাস্তি ইতোমধ্যে সে পেয়েছে।তার
মন্ত্রীত্ব গেলো,দল থেকে বহিষ্কার হলো,সংসদ সদস্য পদও সম্ভবত
যাবে,সারাদেশের মানুষের অপ্রিয়
মানুষের তালিকায় নাম উঠলো,আর কত?
সুতরাং ধর্ম অবমাননার শাস্তি আল্লাহ
তা'আলা তাকে দেবেন,আমাদের দরকার
কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৬