somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোরআন বিরোধী কিছু হাদিছ

০১ লা মে, ২০২১ দুপুর ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের দেশের মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোরান-হাদিছের নামে যা শিক্ষা দেয়া হয়, তাতে আসলে কোরানের ছিঁটেফোটাও নেই, যা আছে তার পুরোটাই হাদিছস্তুপ। মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রির নাম দাওরা হাদিছ। তাদের মোল্লাদের নাম শায়খুল হাদিছ, দলের নাম আহলে হাদিছ। তাদের পুরো জীবনটাই হাদিছ আর হাদিছ। হাদিছের বাইরে তারা কিছুই বুঝতে রাজি নন। এমনকি আপনি যদি একটা কোরআনের আয়াত বলেন, তার বিরুদ্ধে তারা হাজারটা সহীহ হাদিছ এনে হাজির করে দেবে। উসুলে হাদিছ বলতে যা পড়ানো হয়, তা সত্যের মানদডে কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটা বিবেচনার অবকাশ রাখে। হাজার হাজার হাদিছ রয়েছে, যা সরাসরি কোরআন বিরোধী। কিন্তু হাদিছ রচনাকারীরা তা সহিহ হিসাবে ঘোষনা দেয়ায় কোরানের চাইতেও হাদিছকে বেশী শুদ্ধ হিসাবে গন্য করা হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, তা হলো, খোদ রাসুল (স)-এর জীবদ্দশাতেই তার নামে নানা জাল ও বানোয়াট হাদিছের সৃষ্টি হয়েছিল। রাসুল (স) বলেছিলেন, যা আমি বলিনি বা করিনি তা যদি কেউ আমার নামে প্রচার করে, তার স্থান জাহান্নাম।’ পরবর্তীতে লক্ষ লক্ষ জাল, বানোয়াট এবং বিকৃত হাদিছের উন্মেষ ঘটে। তবে, রাসুল(স) থেকে শিখে যা নিয়মিত চর্চা হতো তার কোন বিকৃতি হয়নি। হাদিছ কেউ না লিখলেও তার বিকৃতি হতো না। কেননা সেগুলো নিয়মিত আমলের মাধ্যমে চর্চা হয়ে এসেছে। যেমন, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, দাফন-কাফন ইত্যাদি।
হাদিছ রচনা করা হয় উমাইয়া আমলে। আব্বাসীয় আমলে তা শেষ হয়। উমাইয়ারা ছিলেন আহলে বাইতের বিরুদ্ধ-শক্তি। কিন্তু ইসলামী বিশ্ব শাসন করেছেন বিধায় তারা তা প্রকাশ্যে ঘোষনা দিতে সাহসী হননি। উমাইয়াদের সমর্থনে নানা হাদিছের জন্ম দেয়া হয়। তাদের নিজেদের স্বার্থে রাসুলকে কখনো যুদ্ধবাজ, কখনো হিংসুক, কখনো অত্যাচারী হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। হাররার যুদ্ধে সাহাবীদের ৬/৭ বছরের শিশু কন্যাদের ধর্ষন করা হয়েছিল। আর এসবকে জায়েজ করার জন্যে রাসুলকে শিশুকামী হিসাবে চিত্রিত করার অপপ্রয়াসও হয়েছে। নানা জনের শুনা কথার নানামূখী হাদিছের দ্বারা রাসুল(স)-এর এমনএক চরিত্র অংকন করা হয়েছে, যা কোরআন বিরুদ্ধ। একটা ম্যসাকার চরিত্র দেয়া হয়েছে, যা সত্য হতেই পারে না।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আমোদের দেশের মাদ্রসাগুলোতে কোরআন বিরুধী এসব হাদিছের চর্চা হয়। কোরআনের বাইরে দ্বীন শিক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের ওলী, তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে বের করে নূরে (আলোতে) নিয়ে যান। আর যারা কুফরি (অবিশ্বাস) করে তাগূত তাদের আঊলিয়া, তারা তাদেরকে নূর (আলোক) হতে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারাই অগ্নি-অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে (২:২৫৭); সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৫৭।
যারা কুরআন বাদ দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের দ্বারা মানুষকে দীন শিক্ষা দেয় তারা তাগূত- জাহান্নামী নয় কি?
‘এরূপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। ... ... সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর (৬:১১২); সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত-১১২। যারা কুরআন বাদ দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের দ্বারা মানুষকে দীন শিক্ষা দেয় তারা নবির শত্রু- শয়তান নয় কি?
আল্লাহর নামে বই লেখার শাস্তিঃ ‘সুতরাং দূর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এ আল্লাহর নিকট হতে। তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-৭৯)।
[উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর নাম দিয়ে ধর্মীয় পুস্তক লিখে বিক্রি করলে শাস্তি। যেমন আল্লাহ বলেন, সিয়াম আমারই জন্য এবং আমি এর পুরস্কার নিজহাতে দিব। এটা কুরআনে নাই। আল্লাহও বলেন নাই। হাদিস লেখকরা আল্লাহর নামে চালিয়ে গোটা মুসলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে।]

আসুন আজ জেনে নেই কোরান বিরুধী কিছু হাদিছ-
০১. কুরআনে ‘নর হত্যা নিষিদ্ধ, বুখারি- মুসলিমে ‘নিরিহ ১০০ জনকে হত্যা করলেও জান্নাত!
কুরআনে দেখুন, ‘[আদমের এক পুত্র অন্য পুত্রকে হত্যা করে] এ কারণেই বনী ইসরাঈলের প্রতি এ বিধান দিলাম যে, নরহত্যা অথবা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করা হেতু ব্যতীত কেউ কাউকেও হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকে হত্যা করল, আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল (৫:৩২)। ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম (৪:৯৩)। ‘কেউ কোন মু’মিনকে ভুলবশত হত্যা করলে ... তার পরিজনবর্গকে রক্তপণ অর্পণ করা বিধেয়, যদি না তারা ক্ষমা করে (৪:৯২)। ‘কেউ অন্যায়ভাবে নিহিত হলে তার উত্তরাধিকারীকে তো আমি তা প্রতিকারের অধিকার দিয়েছি; কিন্তু হত্যার ব্যাপারে সে যেন বাড়াবাড়ি না করে; সে তো সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছেই (১৭:৩৩)। [উপরোক্ত আয়াতগুলো অনুসারে মানুষ হত্যা প্রায়ই নিষিদ্ধ নয় কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করে এক দরবেশের কাছে গিয়ে তার তওবা আছে কি-না জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, নেই। সে তাকেও হত্যা করল এবং বারবার লোকদের জিজ্ঞাসা করতে লাগল। এক ব্যক্তি বলল, ‘অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞাসা কর। এসময় তার মউত এসে গেল এবং মুত্যুকালে সে আপন সিনাকে ঐ গ্রামের দিকে কিছুটা বাড়ায়ে দিল। অতঃপর রহমতের ফিরিশ্তা ও আযাবের ফিরিশ্তা দল পরস্পরে ঝগড়া করতে লাগল কারা তার রূহ নিয়ে যাবে। এসময় আল্লাহ ঐ গ্রামকে বললেন, ‘তুমি মৃতের নিকট আসো আর নিজ গ্রামকে বললেন, ‘তুমি দূরে সরো।’ অতঃপর ফিরিশ্তাদের বললেন, ‘তোমরা উভয় দিকে দূরুত্ব মেপে দেখ।’ মাপে তাকে এ গ্রামের দিকে এক বিঘত নিকটে পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে মাফ করে দেওয়া হলো (মেশকাত-৫/২২১৯; ২২৩৮)। [একজন হত্যাকারী ১০০ জন নিরিহ নারীকে বিধবা, কয়েকশ ছেলে-মেয়েকে ইয়াতিম, প্রায় দুইশ পিতা-মাতাকে সন্তানহারা ও কয়েক শত ভাই-বোনকে ভাইহারা করল। তওবার আগেই মৃত্যুবরণ করলে যদি ক্ষমা হয়, তবে সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ ও সৎকর্মের কোন প্রয়োজন আছে কি?]

২. কুরআনে ‘মুরতাদের শাস্তি আল্লাহ দিবেন, বুখারি-মুসলিমে `মুরতাদকে হত্যা করলে জান্নাত!
কুরআনে দেখুন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দীন হতে ফিরে যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়। তারাই অগ্নিবাসী (২:২১৭)। ‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে এবং কতক মুখ কাল হবে; যাদের মুখ কাল হবে (তাদেরকে বলা হবে) ‘ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা কুফুরি করে ছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর (৩:১০৬)। ‘হে মু‘মিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দীন হতে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যাঁরা তাকে ভালোবাসবে (৫:৫৪)। ‘তারা আল্লাহর শপথ করে যে, তারা কিছুই বলেনি; কিন্তু তারা তো কুফুরির কথা বলেছে এবং ইসলাম গ্রহণের পর কাফির হয়েছে; ... কিন্তু তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন (৯:৭৪)। ‘কেউ তার ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফুরির জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্য আছে মহাশাস্তি (১৬:১০৬)। [যারা দীন ইসলাম ত্যাগ করেছে তাদেরকে হত্যা করার অধিকার আল্লাহ কাউকে দিয়েছেন কি?]
বুখারিÑমুসলিমে দেখুন, ‘দীন ইসলাম ত্যাগকারী যে মুসলিম জামায়াত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তাকে হত্যা করা হালাল (মেশকাত-৭/৪১৭২, ৪২৫৩, ৪২৬০, ৪২৭০)। ‘যে কেউ তার দীন (ইসলাম) পরিবর্তন করবে (মুরতাদ হবে) তাকে হত্যা কর (মেশকাত-৭/৪২৫১)। ‘যখন কোন বান্দা শিরকের দিকে পালিয়ে যায় তখন তার হত্যা হালাল (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৭/৪২৬৬। [আল্লাহ ধর্ম ত্যাগীদের হত্যার নির্দেশ দেন নি। সুতরাং রাসূল দীন ইসলাম ত্যাগকারীকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারেন কি?]

৩. কাফির / নাস্তিক কারা?
১. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই কাফির (সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৪)। ‘কেবল কাফিররাই আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে (সেূরা-২৯, ‘আনকাবুত, আয়াত-৪৭)। [কাফির মানে নাস্তিক। উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে কাফির / নাস্তিক।]
২. ‘যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে ও তাঁর রাসূলদেরকেও এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতক বিশ্বাস করি ও কতক অবিশ্বাস করি’ আর তারা মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফির (সূরা-৪, নিসা, আয়াতঃ ১৫০-১৫১)। [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে কুরআনের সাথে নিজেদের মনমত কোন বিষয় যোগ করে ধর্ম বানিয়ে নিলেও কাফির!]

৪. কুরআনে ‘মৃত ব্যক্তিকে শুনানো অসম্ভব ‘মুসলিমে ‘সম্ভব!
কুরআনে দেখুন, ‘তুমি তো মৃতকে কথা শুনাতে পারবে না (২৭:৮০; ৩০:৫২)। ‘তুমি শুনাতে পারবে কেবল তাদেরকে, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে (২৭:৮১; ৩০:৫৩)। ‘তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি! তুমি কি তাদের কাউকে দেখতে পাও অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও? (১৯:৯৮)। [জীবিত অবস্থায় কুরআন না শুনলে মৃত ব্যক্তির কাছে কুরআন পড়লে মৃত লাশ কুরআনের আয়াত শোনেন কি?]
মুসলিমে... দেখুন, ‘তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ শিক্ষা দিবে (মেশকাত-৪/১৫২৮)। ‘তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট ‘সূরা ইয়াসিন’ পড়বে (আহমদ, আবূ দাউদ ও ইব্নু মাযাহ);-মেশকাত-৪/১৫৩৪। ‘যে শুধু আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য সূরা ‘ইয়াসিন’ পড়বে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে; সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট তা (সূরাহ ইয়াসিন) পড়বে (বায়হাকী-শোআবে);-মেশকাত-৫/২০৭৪। [মৃত ব্যক্তিকে কুরআন শুনানোর কথা আল্লাহর কিতাবে আছে কি?]

৫. কুরআনে ‘বিপদ আপতিত হলে ইন্নালিল্লাহি ... ... বুখারি-মুসলিমে ‘লা ইলাহা ... !
কুরআনে দেখুন, ‘যারা তাদের উপর বিপদ আপতিত হলে বলে ‘ইন্নালিল্লাহি ... ... (আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী)। এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের রবের নিকট হতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎপথে পরিচালিত (২:১৫৬-১৫৭)। [আল্লাহ মানুষের বিপদের সময় কি বলতে হবে তা কি তিনি তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেন নি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বিপদের সময় বলতেন, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ... ... (মহান সহিঞ্চু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; ... যিনি মহা আরশের রব! আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, যিনি আসমানসমূহ ও যমিনের রব এবং মহাআরশের রব! (মেশকাত-৫/২৩০৫)। [আল্লাহ যা শিক্ষা দিয়েছেন রাসূল তা না বলার কারণ কি?]

৬.কুরআনে ‘মৃত্যু হয় শাস্তি ও শান্তিতে, বুখারি-মুসলিমে‘ফিরিস্তা চপেটাঘাত খায় মূসার হাতে!
কুরআনে দেখুন, ‘যাদের মৃত্যু ঘটায় ফিরিস্তাগণ তারা নিজেদের প্রতি যুলূম করতে থাকা অবস্থায়; অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘আমরা মন্দ কর্ম করতাম না ... ... তোমরা দ্বার দিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ কর, সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।... ... ফিরিস্তাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফিরিস্তারা বলবে ‘সালামুন আলাইকুম’ তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর (১৬:২৮,২৯,৩২)। [ফিরিস্তাগণ কি মানুষের অনুমতি নিয়ে মৃত্যু ঘটায়?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘মৃত্যুর ফিরিস্তা মূসা ইবনে ইমরানের নিকট এসে বললেন, ‘আপনার রবের ডাকে সাড়া দিন। তখন মূসা মৃত্যুর ফিরিস্তার চোখের উপর চপেটাঘাত করলেন। ফলে তার চক্ষু উপড়িয়ে গেল। ... ... ফিরিস্তা আল্লাহর নিকট গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে এমন এক বান্দার নিকট পাঠায়েছেন, যে মরতে চায় না। এমন কি সে আমার চক্ষু উপড়িয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাাহ তার চক্ষু ফিরিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘তুমি আবার আমার সেই বান্দার নিকট যাও এবং বল: তুমি কি বেঁচে থাকতে চাও? যদি তুমি বেঁচে থাকতে চাও, তা হলে একটি ষাঁড়ের পিঠে হাত রাখ এবং তোমার হাত ওর যতগুলি পশম ঢেকে ফেলবে, প্রতিটি পশমের বদলে তোমাকে এক এক বছর আয়ু দান করা হবে। এ শুনে মূসা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা, তারপর কি হবে? ফিরিস্তা বললেন; তারপর তোমাকে মরতে হবে ... (মেশকাত-১০/৫৪৬৮)। [আল্লাহ মূসাকে ঐরপ ক্ষমতা দিয়েছিলেন কি?]

৭. কুরআনে ‘ঈমান ও সৎকর্মে জান্নাত, বুখারি-মুসলিমে‘আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে!
কুরআনে দেখুন, ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মে তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে (২:৮২)। [কুরআনের সকল আইন মানার শর্তে সালাত প্রতিষ্ঠিত এবং ইমামের নিকট যাকাত-সদকা (৯:৭১-৭২, ১০৩-১০৪; ৬৩:১০) দিলেই জান্নাত নিশ্চিত হয়। আল্লাহ কি তাঁর কিতাবে কারা জান্নাতে যাবে তা বলেন নি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আল্লাহর নিরানব্বই- এক কম একশতটি নাম রয়েছে। যে তা মুখস্ত করবে জান্নাতে যাবে (মেশকাত-৫/২১৭৯; ২১৮০)। [কুরআনে কি আল্লাহর নিরানব্বটি নাম আছে? ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে আল্লাহ তাকে জান্নাত দিতে চেয়েছেন কি?]

৮. কুরআনে ‘আল্লাহর নামে দীনের কিতাব লিখবে না, বুখারি-মুসলিরা লিখেছে!
কুরআনে দেখুন, ‘সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এ আল্লাহর নিকট হতে।’ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (২:৭৯, ২৫৭; ৬:১১২)। [আল্লাহর নাম দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের কিতাব লিখতে আল্লাহ বলেছেন কি?]

৯. কুরআনে ‘আল্লাহু, প্রচলিত হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ’ ডাক অথবা রাহমান ডাক সকল সুন্দর নামই তো তাঁর (১৭:১১০)। ‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেই সকল নামেই ডাকবে; যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে; তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে (৭:১৮০)। [নাম বিকৃত করে আল্লাহ নামের সাথে আকবার নাম যুক্ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা উচিত হবে কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার (মেশকাত-৮/৩৭৫৫, ৩৮০৪)। ‘আল্লাহু আকবার’ পূর্ণ করে আসমান ও জমিনে মধ্যে যা আছে তাকে (রযীন);-মেশকাত-৫/২২১৪। ‘রাসূল সালাতে কেবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে হাত উঠিয়ে বলতেন, ‘আল্লাহু আকবার’ (ইবনু মাযাহ);-মেশকাত-২/৭৫৪, ৭৬৪। ‘বল, ‘আল্লাহু আকবার’ (মুসলিম ও আবূদাঊদ);-মেশকাত-২/৫৯১ ও ২/৫৯৪। ২/৫৯৯, ৭৪৫, ৬০৯; ৩/১১৩২, ১১৯৪ নং হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দ রয়েছে। [আল্লাহ তার কিতাবে ‘আল্লাহু আকাবার’ নামে ডাকতে বলেছেন কি?]

১০. কুরআনে ‘একটি কিতাবের অনুসরণের নির্দেশ, প্রচলিত হাদিসে ‘দুইটির!
কুরআনে দেখুন, ‘তোমার নিকট একটি কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে, তোমার মনে যেন এর সম্পর্কে কোন সঙ্কোচ না থাকে এর দ্বারা সতর্কীকরণের ব্যাপারে এবং মু’মিনদের জন্য উপদেশ। তোমার রবের নিকট হতে তোমাদের নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ কর (৭:১-২; ২:৩৮; ২০:১২৩; ২১:১০; ৯৮:১-৩)। ‘এ কিতাব আমি অবতীর্ণ করেছি যা কল্যাণময়। সুতরাং এর অনুসরণ কর এবং সাবধান হও (৬:১৫৫)। [আল্লাহ মানুষকে পথ-প্রদর্শনের জন্য কয়টি কিতাব পাঠিয়েছেন?]
ইমাম মালেক এর ‘মোয়াত্তা’য় দেখুন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে দুইটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে জিনিস দুইটি আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে গোমরাহ হবে না: আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সূন্নাহ (মেশকাত-১/১৭৭)। [আল্লাহ তাঁর কিতাবের সাথে ইমাম মালেক এর ‘মোয়াত্তার অনুসরণ করতে বলেছেন কি?]

১১. কুরআনে ‘জিব্রীল পৌঁছে দিতেন কুরআন, প্রচলিত হাদিসে ‘হাদিস!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘যে কেউ জিব্রীলের শত্রু এজন্য যে, সে আল্লাহর নির্দেশে তোমার হৃদয়ে এ (কুরআন) পৌঁছে দিয়েছে, যা তার পূর্ববর্তী (কিতাবের) সমর্থক এবং যা মু‘মিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ (২:৯৭)। ‘নিশ্চয়ই এ (কুরআন) জগতসমূহের রব হতে অবতীর্ণ। রুহুল আমিন (জিব্রীল) এ নিয়ে অবতরণ করেছে তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারী হতে পার (২৬:১৯২-১৯৪)। [জিব্রীল কি আল্লাহর নির্দেশে কুরআন রাসূলের হৃদয়ে পৌঁছে দিতেন না?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘একবার জিব্রীল রাসূলের নিকট আসলেন এবং তাঁকে ওযূ ও সালাত শিক্ষা দিলেন এবং যখন তিনি ওযূ সমাপ্ত করলেন এক কোষ পানি নিলেন ও তা আপন পুরুষাঙ্গের উপর ছিটায়ে দিলেন (আহমদ ও দারাকুতনী);-মেশকাত-২/৩৩৮। ‘একবার জিব্রীল আসলেন এবং বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! যখন ওযূ করবেন (পুরুষাঙ্গের উপর) পানি ছিটাবেন (তিরমিযি);-মেশকাত-২/৩৩৯, ৩৫৬। ‘জিব্রীল রাসূলের দুইবার ইমামত করেছেন। ফজর, ... যোহর, ... আসর, ... মাগরিব, ... ইশা, ... ও ফজরের সালাত পড়ালেন এবং বললেন এ তোমার পূর্বেকার নবিগণের (সালাতের) সময় (আবূ দাঊদ ও তিরমিযি);-মেশকাত-২/৫৩৬, ৫৩৭, ৬৮৫, ৭১০, ৮৬৭, ৮৭৬ ... ... এরূপ বহু হাদিস। [এ জিব্রীল কোন জিব্রীল যে রাসূলকে কুরআনের বাইরের বিষয় শিক্ষা দিতেন?]

১২. কুরআনে ‘রাসূলকে ওহী অনুসরণের নির্দেশ, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূলের আদেশ-নিষেধ অনুসরণ কর!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ... ‘আমার প্রতি যা ওহী হয় আমি শুধু তারই অনুসরণ করি (৬:৫০; ৭:২০৩; ৪৬:৯)। বল, ‘নিজ হতে এ (কুরআন) বদলানো আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যা ওহী হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি (১০:১৫)। বল, ‘আমি তো কেবল ওহী দ্বারাই তোমাদের সতর্ক করি (২১:৪৫)। ‘তোমার নিকট একটি কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে, ‘তোমার মনে যেন এর সম্পর্কে কোন সঙ্কোচ না থাকে এর দ্বারা সতর্কীকরণের ব্যাপারে (৭:২)। [রাসূর নিজ ইচ্ছামত নিজের বাণী দ্বারা মানুষকে সতর্ক করতেন কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘আমি তোমাদের কাউকেও যেন এরূপ না দেখি, ... তার নিকট আমার আদেশাবলীর কোন একটি আদেশ পৌঁছবে যাতে আমি কোন বিষয় আদেশ করেছি অথবা নিষেধ করেছি তখন সে বলবে, ‘আমি এসব কিছু জানি না, আল্লাহর কিতাবে যা পাব তারই অনুসরণ করব (আবূ দাঊদ, ইব্নু মাযাহ, তিরমিযি, আহমদ, বায়হাকী, দালাএলুন নুবুওত);-মেশকাত-১/১৫৫। [কার নির্দেশ মানার জন্য আল্লাহ কি রাসূল পাঠিয়েছিলেন?]

১৩. কুরআনে ‘দীনের নামে সকল কিতাব বর্জনীয়, বুখারি-মুসলিমে ‘আল্লাহ বলেন ও জিবরাঈলের নাম দিয়ে লেখা!
কুরআনে দেখুন, ‘এরূপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে হতে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তারা একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। ... ... সুতরাং তাদের ও তাদের (বুখারি ও তার দোসরদের) মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর (৬:১১২)। আরও দেখুন ৩৯:৪১, ৫৫; ৪২:১০; ৪৫:১৮; ৪৬:২৩ আয়াত। [অর্থবোধক শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি হয় এবং শত শত বা হাজার হাজার বাক্য দ্বারা কিতাব রচনা করা হয়। সুতরাং আল্লাহর নামে কুরআন ব্যতীত দীন হিসেবে যত কথাই বলা হোক না কেন তা বর্জনীয়। হোক সে বুখারি অথবা মুসলিম বা অন্য কেউ?]
বুখারি- মুসলিমে দেখুন, ‘রমযান মাসে প্রত্যেক রাত্রেই জিবরাঈল রাসূলের নিকট আসতেন এবং তিনি তাঁকে কুরআন শুনাতেন। যখন তাঁর সাথে জিবরাঈল সাক্ষাৎ করতেন তাঁর দান বর্ষণকারী বাতাস অপেক্ষাও বেড়ে যেত (মেশকাত-৪/১৯৯৭)। কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম আর তুমি আমাকে দেখতে আস নি। ... আমি তোমার নিকট খানা চেয়েছিলাম আর তুমি আমাকে খাদ্যা দাও নি। ... আমি তোমার নিকট পানি চেয়ে ছিলাম আর তুমি আমাকে পানি পান করাও নি। ... অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, অভুক্তকে খাদ্য দিলে ও পিপাসার্তকে পানি পান করালে আল্লাহর নিকট পাওয়া যেত (মেশকাত-৪/১৪৪২)। আল্লাহ বলেন, এরূপ হাদিস ১/১১১, ১১২; ৪/১৪৪২, ১৪৬৩, ১৫০৯, ১৫১৮, ১৫৪২, ১৬৪৪, ১৬৬৯; ৪/১৮৬৩, ১৯৭৪, ১৯৯৫; ৫/২১৫৭, ২১৫৮, ২১৫৯, ২১৬০, ২১৭৭, ২২০২; ৮/৪২৮৯; ৯/৪৪৫৭, ৪৭৮৭, ৪৭৯২, ৪৭৯৫, ৪৮০৪, ৪৮৪৩, ৪৮৮৩, ৪৯৪৫, ৪৯৯৬, ৫০৮৪, ৫০৯১; ১০/৫৩১৭, ৫৩২০, ৫৩২১, ৫৩২৩, ৫৩৪৪, ৫৩৪৫, ৫৩৪৭, ৫৩৪৮, ৫৩৭১, ৫৩৮৪, ৫৩৮৫, ৫৩৮৬; ১১/৫৯৬৯; ৫৯৮৬, ৬০২৩। [উক্ত হাদিসগুলোতে ‘আল্লাহ বলেন’ বলে লেখা হয়েছে। আল্লাহ বললে তা কুরআনে নেই কেন?]

১৪. কুরআনে ‘ওহী অনুসরণের নির্দেশ, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূলের নির্দেশের অনুসরণের নির্দেশ!
কুরআনে দেখুন, ‘তোমার রবের নিকট হতে তোমার প্রতি যা ওহী হয় তুমি তারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং মুশরিকদের হতে মুখ ফিরিয়ে নাও (৬:১০৬)। ‘তোমার প্রতি যে ওহী হয়েছে তুমি তার অনুসরণ কর ... (১০:১০৯)। ‘তোমার রবের নিকট হতে তোমার প্রতি যা ওহী হয় তার অনুসরণ কর; তোমরা যা কর, আল্লাহ তো সে বিষয়ে সম্যক অবহিত (৩৩:২)। [রাসূল কি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে ওহীর অনুসরণ করেন নি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘তোমরা জেনে রাখ! আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের অনেক বিষয় আদেশ দিয়েছি, উপদেশ দিয়েছি এবং অনেক বিষয় নিষেধও করেছি, আমার এরূপ বিষয়ও নিশ্চয়ই কুরআনের বিষয়ের সমান; বরং তা অপেক্ষাও অধিক হবে (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-১/১৫৭। [রাসূলের নির্দেশ কুরআন থেকে অধিক সত্য হলে কুরআনের প্রয়োজন আছে কি?]

১৫. কুরআনে ‘মানুষের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ্ দিয়েছেন, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূল দিয়েছেন!
কুরআনে দেখুন, ‘লোকে তোমাকে নূতন চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময়-নির্দেশক ... (২:১৮৯)। ‘লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে তারা কি ব্যয় করবে। বল, ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন এবং মুসাফিরদের জন্য... (২:২১৫)। ‘লোকে তোমাকে রজঃস্র্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী-মিলন করবে না ... (২:২২২)। ‘লোকে তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে.... (৩৩:৬৩)। অন্যান্য বিষয় (২:২১৭; ২:২১৯; ১৭:৮৫; ১৮:৮৩; ২০:১০৫ আয়াত)। [আল্লাহ্ রাসূলকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, রাসূল তা মানুষের নিকট প্রচার করেছেন কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘এক বেদুইন এসে বলল, ‘আমি চাঁদ দেখেছি। ... রাসূল লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দিলেন তারা যেন সিয়াম সাধনা করে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনু মাযাহ ও দারেমী);-মেশকাত-৪/১৮৮১। ‘এক ব্যক্তি কিছু অর্থ ব্যয় সম্বন্ধে রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘তা ব্যয় করবে নিজের জন্য, ... তোমার সন্তানের জন্য, ... তোমার পরিবারের জন্য, ... তোমার খাদেমের জন্য ... এবং এর পর তোমার যেখানে ইচ্ছা ব্যয় করবে (ইবনু মাযাহ ও নাসাঈ);-মেশকাত-৪/১৮৪৪। ‘যখন কোন ব্যক্তি রজঃস্রাব অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংগম করবে সে যেন অর্ধ দিনার দান করে (তিরমিযি);-মেশকাত-২/৫০৮। ‘অনেক বেদুইন জিজ্ঞাসা করত, ‘কিয়ামত কখন ঘটবে? তখন তিনি তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের দিকে তাকিয়ে বলতেন, এ বালকটি যদি জীবিত থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই তোমাদের মধ্যে কিয়ামত নেমে আসবে (বুখারি-মুসলিম)-মেশকাত-১০/৫২৭৮। [হাদিস অনুসারে রাসূল আল্লাহর একটি নির্দেশও প্রচার করেন নি। আসলে কি তাই?]

১৬. কুরআনে ‘কুরআন সব মানুষের গ্রন্থ, বুখারি-মুসলিমে ‘শুধুমাত্র মুসলিমদের!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল (৭:১৫৮; ৩৪:২৮)। ‘বল! হে মানুষ! তোমাদের রবের নিকট হতে তোমাদের নিকট সত্য এসেছে (১০:১০৮; ৩১:৩৩)। ‘এ (কুরআন) তো বিশ^জগতের জন্য উপদেশ (৬৮:৫২)। ‘নিশ্চয়ই এ (কুরআন) সকলের জন্য উপদেশবাণী (৭৪:৫৪)। [কুরআন সকলের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক গ্রন্থ নয় কি?]
বুখারি- মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল নিষেধ করেছেন শত্রুভুমিতে কুরআন নিয়ে সফর করতে। .. .. তিনি আরও বলেছেন, ‘কুরআন নিয়ে ভ্রমণ করো না। কেননা, তা শত্রুর হাতে পড়া সম্পর্কে আমি নিরাপদ মনে করি না (মেশকাত-৫/২০৯৩)। [কুরআন সকলের জন্য উন্মুক্ত গ্রন্থ হলে রাসূল এমন কথা বলতে পারেন কি?]

১৭. কুরআনে ‘কুরআন শিক্ষা গ্রহণের জন্য সহজ, প্রচলিত হাদিসে ‘কঠিন!
কুরআনে দেখুন, ‘কুরআন আমি সহজ করে দিয়েছি শিক্ষা (উপদেশ) গ্রহণের জন্য; অতএব শিক্ষা (উপদেশ) গ্রহণকারী কেউ আছে কি? (৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০)। ‘আমি তো তোমার ভাষায় এ (কুরআন) কে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে (৪৪;৫৮)। ‘আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছি, যাতে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে (৩৯:২৭; ১৭:৮৯; ১৮:৫৪ )। [আল্লাহ্ কি বলেছেন, উপদেশ গ্রহণের জন্য কুরআন শিক্ষা কঠিন?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘নবি করিম বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনের মধ্যে আপন রায় মোতাবেক কিছু বলল, সে শুদ্ধ বললেও অন্যায় করল। ইবনে মাসউদ বলেন, ‘যদি সত্যিকারের এলেম হাসিল করতে চাও তবে কুরআনের অর্থের মধ্যে চিন্তা ও গবেষণা কর। কারণ এর মধ্যে আদি-অন্তের সমগ্র এলম বিদ্যমান আছে। তবে শর্ত হলো যাবতীয় শর্ত ও আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখা। তফসির করার জন্য ১৫টি বিষয় পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন। বিষয়গুলো হলো- ১. আভিধানিক অর্থ জানা : যে ব্যক্তি আল্লাহ্র ওপর ও কিয়ামতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করল তার জন্য আভিধানিক অর্থ জানা ব্যতীত কুরআনের ব্যাখ্যা করা কিছুতেই জায়েয নয়। ২. এল্মে নাহু : আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ। ... ... ..., ১৪. ঐসকল হাদিস জানা যা কুরআনের সংক্ষিপ্ত অর্থ সমূহের ব্যাখ্যাস্বরূপ। ১৫. আল্লাহ্ প্রদত্ত এলেম হাসিল হওয়া। উপরে বর্ণিত ১৫টি বিদ্যা তাফসীরকারকদের জন্য হাতিয়ার স্বরূপ। ঐসব বিদ্যায় অনভিজ্ঞ ব্যক্তি তাফসীর করলে তা মনগড়া তাফসীরের পর্যায়ভুক্ত হবে, যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। সূত্র : তাবলীগী নেছাব, সংশোধিত সংস্করণ : ১১ নভেম্বর ১৯৯৪ ইং, পরিবেশক- তাবলীগী ফাউন্ডেশন, ৫০ বাংলা বজার, ঢাকা এর ‘ফাজায়েলে কোরআন’ এর ২৫-২৯ পৃষ্ঠা থেকে।

১৮. কুরআনে ‘হাদিস ২ প্রকার, মেশকাত শরীফে ‘হাদিস ২৮ প্রকার!
হাদিস শব্দের অর্থ কথা, বাণী, বৃত্তান্ত, প্রসংগ বা, উপদেশ। আল্লাহর কিতাবে দুই প্রকার হাদিসের উল্লেখ আছে। যথা- ১. আহ্সানাল হাদিস ও ২. লাহ্ওয়াল হাদিস।
কুরআনে দেখুন
১. আহ্সানাল হাদিসঃ ‘আল্লাহর অবতীর্ণ করেছেন আহ্সানাল হাদিস১ (উত্তম বাণী) সম্বলিত কিতাব যা সুসমঞ্জস এবং যা পুন: পুন: আবৃত্তি করা হয়। তাতে, যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এ-ই (আহ্সানাল হাদিসই) আল্লাহর পথনির্দেশ (৩৯:২৩)। [কুরআনের প্রতিটি আয়াতই আল্লাহ্র হাদিস। ৬,২৩৬ টি আয়াত বা হাদিস একত্রিভাবে কুরআনকে আল্লাহ্ বলেছেন ‘আহসানাল হাদিস সম্বলিত কিতাব’।] ‘এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করছি যথাযথ ভাবে। সুতরাং আল্লাহ্ এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে? (৪৫:৬)। ‘সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যাবাদীদের জন্য। সুতরাং তারা এর (কুরআনের) পরিবর্তে আর কোন হাদিসে বিশ্বাস স্থাপন করবে? (৭৭:৪৯-৫০)। [দীন হিসেবে আল্লাহর হাদিসের সাথে অন্য হাদিসের অনুসরণ করা যাবে কি?]
২. লাহ্ওয়াল হাদিসঃ ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য লাহ্ওয়াল হাদিস২ (অসার বাণী) ক্রয় করে নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি (৩১:৬)। [‘আহ্সানাল হাদিসের’ অনুসরণ না করলেই শাস্তি। তাহলে ‘লাহ্ওয়াল হাদিসের’ প্রয়োজন আছে কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘রাসূলুল্লাহ্ তাঁর নবি- জিবনে যা বলেছেন, করেছেন বা অন্যের কোন কথা বা কার্যের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তাকে সূন্নাহ বলে। এর অপর নাম হাদিস;-মেশকাত-১/জ্ঞাতব্য বিষয় থেকে। ‘রাসূলুল্লাহ্ (স:)-এর সমস্ত বাণি ও কর্মকে বলা হয় হাদিস- শিক্ষাবর্ষ- ২০১৪, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণি থেকে।
‘হাদিস অর্থ কথা বা বাণি। ... হাদিসের মূল বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে হাদিসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ক. কাওলি, খ. ফি’লি এবং গ. তাকরিরি।
ক. কাওলিঃ মহানবি (স.)-এর মুখনিঃসৃত বাণীকে ‘কাওলি হাদিস বলে।
খ. ফি’লিঃ যে হাদিসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে ফি’লি হাদিস বলে।
গ. তাকরিরিঃ মহানবি (স.)-এর সামনে কোনো কথা বলেছেন কিংবা কোন কাজ করেছেন। তিনি তা নিজে করেন নি এবং তাতে বাধাও দেন নি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তা সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন। এরূপ অবস্থা বা বিষয়ের বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসকে তাকরিরি হাদিস বলা হয়। সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার। যথা- ক. মারফু, খ. মাওকুফ ও গ. মাকতু।
মেশকাতে উপরোক্ত ৬ (ছয়) প্রকার হাদিস ছাড়াও আরও হাদিসের প্রকার ভেদ দেখুন-১. মোত্তাছিল, ২. মোনকাতে, ৩. মোরছাল, ৪. মোআল্লাক, ৫. মোদাল্লাছ, ৬. মোজ্তারেব, ৭. মোদ্রাজ, ৮. মোছ্নাদ, ৯. মাহ্ফুজ ও শাজ¦, ১০. মারূফ ও মোন্কার, ১১. মোআল্লাল, ১২. মোতাবে’ ও শাহেদ, ১৩. ছহীহ, ১৪. হাছান, ১৫. জঈফ, ১৬. মাওজু, ১৭. মাত্রূক, ১৮. মোব্হাম, ১৯. গরীব, ২০. আজীজ, ২১. মাশ্হূর, ২২. মোতাওয়াতের হাদিস। [সু-প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত ২৮ প্রকারের হাদিসগুলোর মধ্যে রহমানের (দয়াময়ের) হাদিস (২৬:৫), মূসার হাদিস (২০:৯; ৭৯:১৫), ইব্রাহীমের মেহমানদের হাদিস (৫১:২৪), সৈন্য বাহিনীর হাদিস (৮৫:১৭) ও কিয়ামতের হাদিসের (৮৮:১) উল্লেখ নেই। [আল্লাহর ২ প্রকারের হাদিস বাদ দিয়ে মানব রচিত ২৮ প্রকারের হাদিসের অনুসরণ করলে আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা হয় কি?]

১৯. কুরআনে ‘সূন্নত আল্লাহর, বুখারি-মুসলিমে ‘সূন্নত রাসূলের!
কুরআনে দেখুন, ‘আমার রাসূলগণের মধ্যে তোমার পূর্বে যাদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের ক্ষেত্রেও ছিল এরূপ সূন্নত এবং তুমি আমার (আল্লাহর) সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (১৭:৭৭)। পূর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ-ই ছিল আল্লাহর সূন্নত। আল্লাহর সূন্নত সুনির্ধারিত (৩৩:৩৮)। ‘তুমি কখনও আল্লাহর সূন্নতে কোন পরিবর্তন পাবে না (৩৩:৬২; ৩৫:৪৩)। ‘তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহ্র সূন্নত পূর্ব হতেই চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয় (৪০:৮৫)। ‘এ-ই আল্লাহর সূন্নত- প্রাচীন কাল হতে চলে আসছে, তুমি আল্লাহর সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (৪৮:২৩)। [সূন্নত অর্থ আইন, বিধান, রীতি বা প্রথা ইত্যাদি। আল্লাহর কিতাবে রাসূলের সূন্নত নামে কোন সূন্নত আছে কি?]
বুখারি-মুসলিমে ... দেখুন, ‘লোকেরা আমার সূন্নত পরিবর্তন করে অন্য তরীকা গ্রহণ করবে (মেশকাত-১০/৫১৪৯)। ‘যে আমার সূন্নত হতে বিমুখ হবে সে আমার তরীকার নয় (মেশকাত-১/১৩৮)। ‘আমার পর তোমরা অনেক মতভেদ দেখবে, ‘তখন তোমরা আমার সূন্নতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নতকে আঁকড়িয়ে ধরবে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনে মাযাহ ও আহমদ);-মেশকাত-১/১৫৮। ‘যে ব্যক্তি আমার সূন্নতসমূহের এমন কোন সূন্নতকে জিন্দা করেছে যা আমার পর পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল তার জন্য সে সকল লোকের সওয়াবের পরিমাণ সওয়াব রয়েছে যারা এর সাথে আমল করবে (তিরমিযি ও ইবনে মাযাহ);-মেশকাত-১/১৬১, ১৬২। ‘যে আমার সূন্নতকে ভালোবাসে সে আমাকে ভালোবাসে আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে (তিরমিযি);-মেশকাত-১/১৬৬। [আল্লাহর সূন্নতের সাথে রাসূলের সূন্নত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নত স্বীকার করলে, সূন্নতের ক্ষেত্রে আল্লাহ্, রাসূল ও খোলাফায়ে রাশেদীন সমান হয়ে যায় অর্থাৎ শিরক হয়।

২০. কুরআনে ‘রাসূলের সংগীদের সমযোগ্যতা অর্জন, প্রচলিত হাদিসে‘রাসূলের সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে ধর!
কুরআনে দেখুন, ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্মদেশে নহর প্রবাহিত, সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে (৯:১০০)। [জান্নাতে যেতে হলে রাসূলের সংগী মুহাজির ও আনসারদের মত গুণাবলী অর্জন প্রয়োজন নয় কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ায়ে যাওয়ার কালে আমার সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে আটকায়ে ধরবে তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব রয়েছে (তিরমিযি, বায়হাকী);-মেশকাত-১/১৬৭। [সূন্নত আল্লাহর (৩৩:৩৮, ৬২; ৩৫:৪৩; ৪০:৮৫; ৪৮:২৩)। রাসূলের সূন্নতই নাই। সুতরাং হাদিসটি মিথ্যা নয় কি?]

২১. কুরআনে ‘নর-নারী একে অপরের অংশ, বুখারি-মুসলিমে ‘অধিকাংশ নারী জাহান্নামি!
কুরআনে দেখুন, ‘অতঃপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে কর্মে নিষ্ঠ কোন নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ (৩:১৯৫)। ‘মু’মিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে তাকে আমি নিশ্চয়ই পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব (১৬:৯৭)। ‘পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যে যারা মু’মিন হয়ে সৎকর্ম করে তারা দাখিল হবে জান্নাতে, সেথায় তাদের দেওয়া হবে বে-হিসাব পরিমাণ রিয্ক (৪০:৪০)। ‘নারীর উপর পুরুষের মর্যাদা আছে (২:২২৮; ৪:৩৪)। [আল্লাহ কি নারী-পুরুষের কর্মের সঠিক মূল্যায়ণ করবেন না?]
বুখারি- মুসলিমে দেখুন, ‘অতঃপর আমি জাহান্নামের দ্বারে দাঁড়াই, তখন (দেখিলাম) তাতে প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশ নারী সম্প্রদায় (মেশকাত-৯/৫০০৪)। ‘আমি জাহান্নামে তাকায়ে দেখলাম তার অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী সম্প্রদায় (মেশকাত-৯/৫০০৫)। ‘একদা রাসূল আমাদের উপদেশ দিয়ে বললেন, ‘হে নারী সমাজ! তোমরা সদকা কর যদিও তোমাদের গহনা পত্রের হয়। কেননা, কিয়ামতের দিন তোমরাই জাহান্নামের অধিক অধিবাসী হবে (তিরমিযি);-মেশকাত-৪/১৭১৬। [আল্লাহর তাঁর কিতাবে অধিক সংখ্যক নারীকে জাহান্নামে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন কি?]

২২. কুরআনে ‘রাসূলকে অনুসরণ, প্রচলিত হাদিসে ‘সাহাবীদের!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন (৩:৩১)। ‘কেউ রাসূলের অনুসরণ করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল (৪:৮০)। [রাসূল একমাত্র ওহীর (৬:৫০; ৭:২০৩; ১০:১৫; ২১:৪৫ ও ৪৬:৯) অনুসরণ করেছেন। রাসূলের মৃত্যুর পরে কুরআন ব্যতিত অন্য কাউকে অনুসরণের নির্দেশ আল্লাহ্ আমাদেরকে দিয়েছেন কি?]
রযীনে দেখুন, ‘তিনি (আল্লাহ্) ওহীর মাধ্যমে মুহাম্মাদকে জানিয়ে দিলেন, ‘আল্লাহর নিকট রাসূলের সাহাবীদের মর্যদা হলো― আসমানের তারকারাজির ন্যায়। ... রাসূল আরো বলেছেন, ‘আমার সাহাবীগণ হলেন তারকারাজির সদৃশ। অতএব, তোমরা তাদের যে কাউকেও অনুকরণ করবে হেদায়েত পাবে (মেশকাত-১১/৫৭৬৪)। [আল্লাহ্ মুহাম্মাদের নিকট ওহী করেছেন, তাহলে ‘সাহাবীদের অনুসরণের নির্দেশ কুরআনে নেই কেন?]

২৩. কুরআনে ‘সুলায়মান কে পরীক্ষা, বুখারি-মুসলিমে ‘১০০ জন স্ত্রীর নিকট গমন!
কুরআনে দেখুন, ‘আমি তো সুলায়মানকে পরীক্ষা করলাম এবং তার আসনের উপর রাখলাম একটি ধড়; অতঃপর সুলায়মান আমার অভিমুখী হলো। সে বলল, ‘আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। আপনি তো পরম দাতা। তখন আমি তার অধীন করে দিলাম বায়ুকে, যা তার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করত সেথায় মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হতো (৩৮:৩৪-৩৬)। [আল্লাহ মানুষকে যেভাবে ইচ্ছা পরীক্ষা করতে পারেন?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘একদা সুলায়মান বললেন, ‘অবশ্যই আমি অদ্য রাত্রে আমার নব্বই জন স্ত্রীর নিকটে গমন করব, অপর এক বর্ণনায় আছে- একশত স্ত্রীর কাছে গমন করব। আর প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে অশ্বারোহী মুজাহিদ গর্ভে ধারণ করবে এবং এরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন মালাইকা তাঁকে বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ’ বলুন। কিন্তু সুলায়মান তা বলতে ভুলে যান। অতঃপর তিনি সমস্ত বিবিদের কাছে গমন করলেন, কিন্তু একজন ছাড়া তাদের কেউই গর্ভধারণ করল না। সেও অর্ধ অঙ্গের একটি সন্তান প্রসব করল (মেশকাত-১০/৫৪৭৫)। [একজন বিবিকে ঘুম ভাঙ্গাতে, দরজা খুলতে, প্রস্তুতি নিতে এবং মিলিত হতে ১০ মিনিট করে লাগলে সময়ের প্রয়োজন [(১০০দ্ধ১০)স্ট৬০ = ১৬.৬। প্রায় ১৭ ঘণ্টা সময়। এ কি করে সম্ভব? সু-প্রিয় পাঠক! আপনি কতটুকু পারেন?]

২৪. কুরআনে ‘পরীক্ষার জন্য সৃষ্টি, বুখারি-মুসলিমে ‘সৃষ্টির আগেই কে কি করবে তা লেখে রাখা হয়েছে!
কুরআনে দেখুন, ‘আর তিনিই আকাশম-লী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, ... তোমাদের মধ্যে কে কার্যে শ্রেষ্ঠ তা পরীক্ষা করার জন্য (১১:৭)। ‘পৃথিবীর ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা করেছি, মানুষকে এ পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ (১৮:৭)। ‘যিনি (আল্লাহ্) সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? (৬৭:২)। ‘আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য; এজন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন (৭৬:২)। ‘ইচ্ছা করলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে এক উম্মত (জাতি) করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তাদ্বারা পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগীতা কর (৫:৪৮)। [আল্লাহ্ ভবিষ্যতে কে-কি করবেন তা লিখে রেখেছেন কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ্ তাঁর মাখলুকাতের তক্দীর লিখে রেখেছেন (মেশকাত-১/৭৩)। ‘তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টিতে চল্লিশ দিন তার মা গর্ভে শুক্ররূপে, তারপর চল্লিশ দিন লাল জমাট রক্তপি-রূপে, তৎপর চল্লিশ দিন মাংসপি-রূপ ধারণ করে। অতঃপর আল্লাহ্ চারটি বিষয়সহ জনৈক মালাইকাকে তার নিকট পাঠান। মালাইকা (ফিরিশতা) লিখে দেন ১. তার আমল, ২. তার মৃত্যু, ৩. তার রিয্ক ও ৪. সে সৎ লোক কি অসৎ লোক হবে (মেশকাত-১/৭৬)। [উপরোক্ত তিন ধরনের লেখা-লেখির বিষয় আল্লাহর কিতাবে আছে কি?]

২৫. কুরআনে ‘এক ব্যক্তি হতে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেন, বুখারি-মুসলিমে ‘পাঁজরের হাড় হতে!
কুরআনে দেখুন, ‘হে মানবম-লী! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তা হতে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেন, যিনি তাদের দুইজন হতে বহু নর-নারী ছড়ায়ে দেন ... (৪:১; ৭:১৮৯; ৩৯:৬; ৪৯:১৩)। [আল্লাহ কি মানব সৃষ্টির ইতিহাস বলেন নি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘নারীকে পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তোমার জন্য কখনো কিছুতেই সোজা হবে না। যদি তুমি তার দ্বারা কাজ নিতে চাও, এ বাঁকা অবস্থায় নিবে। যদি সোজা করতে যাও ভেঙ্গে ফেলবে। আর এ ভাঙ্গা হলো তাকে তালাক দেয়া (মেশকাত-৬/৩১০০, ৩১০১)। [আল্লাহ কি ‘নারীকে পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্টি করার কথা বলেছেন?]

২৬. কুরআনে ‘সালামুন আলাইকুম, বুখারি-মুসলিমে‘আসছালামু আলাইকুম.........
কুরআনে দেখুন- ‘সালামুন আলাইকুম (৭:৪৬; ১৩:২৪; ১৬:৩২; ৩৯:৭৩) ও ‘সালামুন (১৪:২৩; ৩৩:৪৪; ৩৬:৫৮; ৪৩:৮৯; ৫০:৩৪; ৫১:২৫; ৫৬:২৬, ৯১; ৯৭:৫ আয়াত)। ‘তোমাদেরকে যখন অভিবাদন করা হয় তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম প্রত্যাভিবাদন করবে অথবা তারই অনুরূপ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী (৪:৮৬)। [কুরআন থেকে উত্তর দেওয়াটাই উত্তম। কুরআন অনুসারে মুসলিমরা সালাম বিনিময় করেন কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘এক ব্যক্তি নবীর খেদমতে এসে বললো, ‘আস্সালামু আলাইকুম। ... আরেক ব্যক্তি এসে বললো, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ্। আরেক ব্যক্তি এসে বললো, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ ওয়া বারাকাতুহ্ (তিরমিযি ও আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৯/৪৪৩৯। ‘আরও এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, ওয়া মাগফিরাতুহু (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৯/৪৪৪০। ‘রাসূলের কাছে কেউ আসলে তিনি তাকে বলতেন, চলে যাও এবং এসে বল, ‘আস্ছালামু আলাইকুম’ (তিরমিযি ও আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৯/৪৪৬৬। [রাসূলকে আল্লাহ সালাম দিতে বলেছেন (৬:৫৪)। প্রচলিত হাদিসে রাসূল সালাম প্রত্যাশী ছিলেন কেন?]

২৭. কুরআনে ‘সৎকর্মে জান্নাত, অস্বীকৃতিতে জাহান্নাম, প্রচলিত হাদিসে ‘পূর্ব নির্ধারিত!
কুরআনে দেখুন, ‘তিনিই (আল্লাহই) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ হয় মু‘মিন, ... যে ব্যক্তি আল্লাহে বিশ^াস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তার পাপ মোচন করবেন এবং তাকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে, ... কিন্তু যারা কুফরি করে এবং আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে (৬৪:২, ... ৯, ১০)। [ঈমান এনে সৎকর্ম করলেই জান্নাত, না করলে জাহান্নাম নয় কি?}
প্রচলিত দেখুন, ‘একদিন রাসূল করিম দুইটি কিতাব নিয়ে বের হলেন ... ডান হাতের কিতাবের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন ঃ এ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে একটি কিতাব, এতে সমস্ত জান্নাতিদের নাম, তাদের বাপদাদার নাম ও বংশ পরিচয় এবং এদের শেষ ব্যক্তির নামের পর সর্বমোট যোগ করা হয়েছে। ... অতঃপর তাঁর বাম হাতের কিতাবের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন ঃ এও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ হতেই একটি কিতাব। এতে সমস্ত জাহান্নামিদের নাম ও বংশ পরিচয় রয়েছে (তিরমিযি);-মেশকাত-১/৯০। [উক্ত হাদিস সঠিক হলে সকল অপকর্মের জন্য আল্লাহই দায়ী নয় কি?]

২৮. কুরআনে ‘মূসাকে কিতাব দেওয়া হয় পর্বতে, প্রচলিত হাদিসে‘আদম সৃষ্টির চল্লিশ বছর আগে!
কুরআনে দেখুন, ‘[পাহাড়ে সংজ্ঞাহীন মূসার জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর আল্লাহ বললেন,] ... আমি যা দিলাম তা গ্রহণ কর ... আমি তার জন্য ফলকে সর্ববিষয়ে উপদেশ ও সকল বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা লিখে দিয়েছি; সুতরাং এগুলো শক্তভাবে ধর এবং তোমার সম্প্রদায়কে তাদের যা উত্তম তা গ্রহণ করতে দির্দেশ দাও (৭:১৪৪-১৪৫)। [আল্লাহ কি আদম সৃষ্টির আগে তাওরাত কিতাব লিখেছিলেন?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘ ... মূসা আদমকে বললেন, ‘... আপনি আপনার ত্রুটির-বিচ্যুতির দ্বারা মানব জাতিকে জমিনে নামিয়ে এনেছেন। আদম বললেন, ‘... আমার সৃষ্টির কতকাল পূর্বে আল্লাহ তাওরাত কিতাব লিখেছেন বলে তুমি জান? মূসা বললেন, ‘চল্লিশ বছর পূর্বে! ... আদম বললেন, ‘তবে কি তুমি আমায় এমন একটি কাজ করেছি বলে তিরস্কার করছো যা আমি আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে আমি তা করব বলে আল্লাহ লিখে রেখেছিলেন? (মুসলিম);-মেশকাত-১/৭৫। [আল্লাহ আগেই তা লিখে রাখলে আমাদের সকল কর্মের জন্য আল্লাহই দায়ী নয় কি?]

২৯. কুরআনে ‘রাসূল গায়েব জানতেন না, প্রচলিত হাদিসে ‘সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগের খবর জানতেন!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘... গায়েব সম্বন্ধেও আমি অবগত নই (৬:৫০)। ‘গায়েবের জ্ঞান তো কেবল আল্লাহরই আছে (১০:২০)। ‘আমি তোমাদেরকে বলি না যে, ‘আমার নিকট আল্লাহর ধন ভান্ডার আছে, আর না গায়ের (অদৃশ্য) সম্বন্ধে আমি অবগত (১১:৩১)। ‘আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম তবে তো আমি প্রভুত কল্যাণই লাভ করতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করত না (৭:১৮৮)। [রাসূল কি গায়েবের খবর জানতেন?]
বুখারি- মুসলিমে দেখুন, ‘আল্লাহ্ আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন যা হতে দুইটি আয়াত নাযিল করে তা দ্বারা সূরা বাকারা সমাপ্ত করেছেন। এমন হতে পারে না যে কোন ঘরে তা তিন রাতে পড়া হবে আর তারপরও শয়তান তার নিকটে যাবে (তিরমিযি ও দারেমী);-মেশকাত-৫/২০৪২। ‘আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে সূরা ‘তা-হা’ ও ‘ইয়াসিন’ পাঠ করলেন (দারেমী);-মেশকাত-৫/২০৪৫। [রাসূল উক্ত আয়াত নাযিলের ও পাঠ করা বিষয় কিভাবে জানলেন?]

৩০. কুরআনে ‘পরিচ্ছদ স্থান-কাল-পাত্র ভেদে, বুখারি-মুসলিমে ‘টাখনার নীচে গেলে জাহান্নাম!
কুরআনে দেখুন, ‘হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশ-ভুষার জন্য আমি তোমাদেরকে পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং তাকওয়ার পরিচ্ছদ, এ সর্বোৎকৃষ্ট। এ আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে (৭:২৬)। ‘তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেন পরিধেয় বস্ত্রের; তা তোমাদেরকে তাপ হতে রক্ষা করে (১৬:৮১)। [মানুষ পোষাক পরিধান করে তিনটি কারণে- ১. লজ্জাস্থান ঢাকা, ২. সৌন্দর্য বর্ধন ও ৩. তাপ (ঠান্ডা ও গরম) হতে রক্ষার জন্য। কুরআন অনুসারে পরিচ্ছদ পরবে মানুষ স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে। আল্লাহ কি পরিচ্ছদের কারণে মানুষকে জাহান্নামে দিবেন?]
বুখারি- মুসলিমে দেখুন, ‘যে ব্যক্তি অহংকারবশত পরিধেয় কাপড় টাখনার নীচে ঝুলাবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না (মেশকাত-৮/৪১২২, ৪১২৩, ৪১৭৪)। ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ কোন কথা বলবেন না, রহমতের দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক আযাব নির্ধারিত আছে- সেই ব্যক্তি হলো যে ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র পায়ের গিঁটের নীচে পৌঁছায় (তিরমিযি)-মেশকাত-৬/২৬৭৩। ‘এক ব্যক্তি অহংকারবশত তার ইয়ার হেঁড়ায়ে যেতেছিল, এমতাবস্থায় তাকে মাটিতে ধসায়ে দেওয়া হলো। ফলে সে কিয়ামত পর্যন্ত যমীনের ভিতরে তলায়ে যেতে থাকবে (মেশকাত-৮/৪১২৪)। ‘টাখনার নীচে ইয়ারের যে অংশ থাকবে তা জাহান্নামে (মেশকাত-৮/৪১২৫)। ‘মু’মিনের ইয়ার পায়ের অর্ধনলা পর্যন্ত থাকা চাই, ... টাখনার নীচে যা যাবে তা জাহান্নামে (আবু দাঊদ ও ইবনে মাযাহ);-মেশকাত-৮/৪১৩৮। [স্ত্রীলোকদের কি হবে? আর একই ব্যক্তির শরীর জান্নাতে আর পা জাহান্নামে থাকবে কিভাবে?]

৩১. কুরআনে ‘শোভার বস্ত দুনিয়া ও কিয়ামতে, প্রচলিত হাদিসে‘কিয়ামতে হবে আগুনের!
কুরআনে দেখুন, [‘রাসূল! তুমি] বল, ‘আল্লাহ্ স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ রিয্ক সৃষ্টি করেছেন তা কে হারাম করেছে? বল, ‘দুনিয়ার জীবনে বিশেষ করে কিয়ামতের দিনে এ সমস্ত তাদের জন্য, যারা ঈমান আনে। ... বল, ‘নিশ্চয়ই আমার রব হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোন কিছুকে আল্লাহর শরিক করা- যার কোন সনদ তিনি প্রেরণ করেননি এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না (৭:৩২-৩৩)। বিধান দিবার অধিকার কেবল আল্লাহরই (১২:৪০)। ‘আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে আমি তোমাদের জন্য কিছু করতে পারি না। বিধান আল্লাহর (১২:৬৭)। [রাসূল আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে (১০:১৫) বিধান দিতে পারেন কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘যে নারী গলায় সোনার হার পরল, কিয়ামতের দিন তার গলায় অনুরূপ আগুনের হার পরানো হবে। আর যে নারী স্বীয় কানের মধ্যে সোনার বালি পরবে, কিয়ামতের দিনে তার কানে তার অনুরূপ আগুনের বালি পরানো হবে (আবূ দাঊদ ও নাসাঈ);-মেশকাত-৮/৪২০৬। [আল্লাহ ব্যাহারের শোভার বস্তু সোনার হার-বালি ব্যবহার করলে তাকে কিয়ামতে আগুনের শাস্তি দিবেন কি?]

৩২. কুরআনে ‘পুত্রকে লুকমানের উপদেশ এক রকম,
প্রচলিত হাদিসে ‘অন্য রকম!
কুরআনে দেখুন, ‘স্মরণ কর, যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলেছিল, ‘হে বৎস! আল্লাহর কোন শরিক করো না। নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম।... ... হে বৎস! ক্ষুদ্র বস্তুটি যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা যদি থাকে শিলাগর্ভে অথবা আকাশে কিংবা মৃত্তিকার নিচে, আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন, ... হে বৎস! সালাত প্রতিষ্ঠিত করিও, সৎকর্মের নির্দেশ দিও আর অসৎ কর্মে নিষেধ করিও এবং আপদে-বিপদে ধৈর্য ধারণ করিও। এটাই তো দৃঢ়সংকল্পের কাজ। ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করিও না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ করিও না; নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন উদ্ধত, অহংকারীকে পছন্দ করেন না। ‘তুমি পদক্ষেপ করিও সংযতভাবে এবং তোমার স্বর নিচু করিও; নিশ্চয়ই স্বরের মধ্যে গর্দভের স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রতিকর (৩১:১৩-১৯)।[আমরা আমাদের পুত্রদেরকে এমন উপদেশ দেই কি?]
রাযীনে দেখুন, ‘লুকমান স্বীয় পুত্রকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে বৎস! মানুষের সাথে যে সমস্ত বিষয়ে প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে, তার দীর্ঘ যমানা অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। আর তারা আখিরাতের দিকে অতি দ্রুত চলে যাচ্ছে। হে বৎস! তুমি যেই দিন জন্ম নিয়েছ সেই দিন হতে তুমি দুনিয়াকে পিছনে ছেড়ে এসেছ এবং ক্রমশঃ আখিরাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছো ... (মেশকাত-৯/৪৯৯২)। [লূকমান এরূপ কথা বলেছেন কি?]

৩৩. কুরআনে ‘কুরআন সহজ, বুখারি-মুসলিমে ‘সাত রীতিতে পাঠ!
কুরআনে দেখুন, ‘তুমি ক্লেশ পাবে এজন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করি নি, বরং যে ভয় করে কেবল তার উপদেশার্থে (২০:২-৩)। ‘আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পার (৪৩:৩)। [কুরআন ছাড়া কোন গ্রন্থ না বুঝে পড়া হয় কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘ওমর বিন্ খাত্তাব হিশাম বিন্ হাকামকে তার চাদর গলায় পেঁচায়ে রাসূলের কাছে এনে অভিযোগ দিল সে সূরা ফুরকান ভিন্নভাবে পড়ে। রাসূল তার পাঠ শুনে বললেন, ‘বস্তুত এ কুরআন সাত রীতিতে নাযিল হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যা সহজ হয় তাই পড়বে (মেশকাত-৫/২১০৭, ২১০৮, ২১০৯)। ‘রাসূলকে জিব্রীল সাত রীতিতে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন; তবে এই সাত রীতি অর্থের দিক দিয়ে একই (মেশকাত-৫/২১১০, ২১১১)। [রামাদানকে (২:১৮৫) রমযান, ফরদকে (৯:৬০; ২৪:১) ফরয, গদবকে (২৪:৯) বলা হয় গযব। আল্লাহ কুরআন সাত রীতিতে নাযিল করেছেন কি?]

৩৪. কুরআনে, ‘ঈমান আনতে হবে ৫টি বিষয়ে, বুখারি-মুসলিমে ‘৭টি!
কুরআনে দেখুন, ‘তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহতে ঈমান আন না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আনতে আহ্ববান করছে (৫৭:৮)। ‘তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে নূর (জ্যোতি) অবতীর্ণ করেছি তাতে ঈমান আন (৬৪:৮)। ‘১. আল্লাহ, ২. আখিরাত, ৩. ফিরিশতাগণ, ৪. সমস্ত কিতাব ও ৫. নবিগণে ঈমান আনে (২:১৭৭)। ‘রাসূল, ১. তার রবের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হতে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু‘মিনগণও। তাদের সকলে ২. আল্লাহে, ৩. তাঁর ফিরিশতাগণে, ৪. তাঁর কিতাব সমূহে এবং ৫. তাঁর রাসূলগণে ঈমান আনে (২:২৮৫)। ‘হে মু‘মিনগণ! তোমরা আল্লাহে, তাঁর রাসূলে, তিনি যে কিতাব তাঁর রাসূলের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন তাতে এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে অবতীর্ণ করেছেন তাতে ঈমান আন। ১. কেউ আল্লাহ, ২. তাঁর ফিরিশতা, ৩. তাঁর কিতাব, ৪. তাঁর রাসূল এবং ৫. আখিরাত প্রত্যাখ্যান করলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে (৪:১৩৬)। ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনে না, আমি সেই সব কাফিরদের জন্য জ্বললন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি (৪৮:১৩)। [উপরোক্ত ৫ (পাঁচ)টি বিষয় ছাড়া আল্লাহ আর কি কি বিষয়ে ঈমান আনতে বলেছেন? আর সে-ই বিষয়গুলোতে ঈমান না আনলে আল্লাহ আমাদেরকে কি কি শাস্তি দিবেন?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘জিবরাঈল রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমাকে বলুন, ‘ঈমান কাকে বলে? রাসূল উত্তর দিলেন, ‘১. আল্লাহতে ঈমান আনবে এবং ২. তাঁর ফিরিশতাগণে, ৩. তাঁর কিতাবসমূহে, ৪. তাঁর নবি-রাসূলগণে ও ৫. আখিরাতে ঈমান আনবে এবং ৬. তকদীরে- এর ভালো ও মন্দতে ঈমান আনবে এবং ৭. মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি [ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুসÍক বোর্ড, বাংলাদেশ, শিক্ষাবর্ষ- ২০১৭];- মেশকাত-১/২। [মেশকাতে ৬ ও ৭ নং এ বিশ্বাসের কথা উল্লেখ নাই। (৬) তকদীরে- এর ভালো ও মন্দতে ঈমান আনবে এবং (৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি ঈমান আনার কথা আল্লাহ বলেছেন কি?]

৩৫. কুরআনে ‘অনেকে জান্নাতে যাবে, বুখারি-মুসলিমে ‘হাজারে একজন!
কুরআনে দেখুন, ‘যখন কিয়ামত ঘটবে, ... তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন শ্রেণিতে- (১) ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! এবং (২) বাম দিকের দল; কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! আর (৩) অগ্রবর্তিগণই তো অগ্রবর্তী, তারাই নৈকট্য প্রাপ্ত- নি’আমতপূর্ণ উদ্যানে; বহু সংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে; এবং অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে। ... কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! তারা থাকবে এমন উদ্যানে, সেখানে আছে কণ্টকহীন কুলবৃক্ষ, কাদিভরা কদলী বৃক্ষ, সম্প্রসারিত ছায়া, সদা প্রবহমান পানি, ও প্রচুর ফলমূল, ... ডান দিকের লোকের জন্য। তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে এবং অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে (৫৬:১-৪০)। [আল্লাহ্ জান্নাতি ও জাহান্নামিদের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘... (কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ আদমকে বলবেন, তোমার আওলাদের মধ্য হতে) জাহান্নামের দলকে বের কর। আদম বলবেন, জাহান্নামের দলে কত জন? আল্লাহ্ বলবেন, ‘প্রতি হাজারে নয় শত নিরানব্বই জন। ... (মেশকাত-১০/৫৩০৭)। ‘(দ্বিতীয় বার সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়ার পর) মালাইকাকে বলা হবে, ঐ সমস্ত লোকদের বের কর যারা জাহান্নামের উপযোগী হয়েছে। তখন মালাইকা বলবেন, কতজন হতে কতজন বের করব? বলা হবে, প্রত্যেক হাজার হতে নয়শত নিরানব্বই জনকে জাহান্নামের জন্য বের কর... (মেশকাত-১০/৫২৮৬)। [বর্তমান বিশ্বে সাতশত কোটি লোকের মধ্যে নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি-নাসারাসহ অন্যন্য ধর্মের লোক আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ শত কোটি। উক্ত হাদিসদ্বয় অনুসারে সাতশত কোটি লোকের মধ্যে জান্নাতি লোকের সংখ্যা মোটে সত্তর লক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় তিন লক্ষ মসজিদে ইমাম আছেন তিন লক্ষের ওপরে। সু-প্রিয় পাঠক! বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করুন! ষোল কোটি মানুষের মধ্যে জান্নাতে যাবে মোটে এক লক্ষ ষাট হাজার মুসলিম। সুতরাং বুখারি-মুসলিমের হাদিস অনুসারে বাংলাদেশের এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মসজিদের ইমাম জাহান্নামে যাবে। তিন লক্ষ মুয়াজ্জিনও জাহান্নামে যাবে। ইমাম-মুয়াজ্জিনরা জাহান্নামে গেলে কুরআন সম্পের্কে অজ্ঞ মুক্তাদিরা কোথায় যাবে?]

৩৬. কুরআনে ‘অধিকাংশের অনুসরণ নয়, প্রচলিত হাদিসে ‘অধিকাংশের!
কুরআনে দেখুন, ‘সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে তোমার রবের কালেমা পরিপূর্ণ। .... তুমি যদি দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের কথামত চল তবে তারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হতে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে (৬:১১৫-১১৬)। ‘তোমরা শুধু কল্পনারই অনুসরণ কর এবং শুধু মনগড়া কথা বল (৬:১৪৮; ১০:৩৬, ৬৬; ৪৯:১২)। [আল্লাহ্ অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করতে বলেছেন কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘বৃহত্তম দলের অনুসরণ করবে; কেননা, যে ব্যক্তি পৃথক হয়ে গিয়েছে সে তা হতে পৃথক হয়ে গিয়ে অবশেষে জাহান্নামে যাবে (তিরমিযি);-মেশকাত-১/১৬৫। [বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক দলই বৃহত্তম দল। বৌদ্ধরাও সংখ্যায় অধিক। হিন্দুরাও কম নয়। সু-প্রিয় পাঠক! পৃথিবীর বৃহত্তম দল হিসেবে তাদের অনুসরণ করা যাবে কি?]

৩৭. কুরআনে ‘কিয়ামতের নিদর্শন সূর্য নিষ্প্রভ, বুখারি-মুসলিমে‘সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয়!
কুরআনে দেখুন, ‘সে প্রশ্ন করে, ‘কখন কিয়ামত দিবস আসবে? যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে এবং চন্দ্র্র হয়ে পড়বে জ্যোতিহীন, যখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্র করা হবে- সেদিন-মানুষ বলবে, ‘আজ পালাবার স্থান কোথায়? (৭৫:৬-১০)। ‘যখন সূর্যকে নি®প্রভ করা হবে, যখন নক্ষত্ররাজি খসে পড়বে... (৮১:১-২)। ‘যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হবে (৭৭:৮)। ‘যখন নক্ষত্রমন্ডলী বিক্ষিপ্তভাবে ঝরে পড়বে (৮২:২) [কিয়ামতের দিন সূর্য আলোকিত হবে কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘কিয়ামতের নিদর্শন হচ্ছে- পশ্চিমাকাশ হতে সূর্য উদিত হওয়া (মেশকাত-১০/৫১৭৭, ৫২৩০, ৫২৩১, ৫২৩২, ৫২৩৩, ৫২৩৪)। ‘কিয়ামতের দিন সূর্যকে সৃষ্টিকুলের অতি নিকটে করে দেওয়া হবে। এমন কি তা প্রায় এক মাইলের ব্যবধান হয়ে যাবে (মেশকাত-১০/৫৩০৬)। ‘কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্রকে দুইটি পনীরের আকৃতি বানিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (বায়হাকী);-মেশকাত-১০/৫৪৪৮। [কিয়ামত সম্পর্কে হাদিসের বক্তব্য কুরআন বিরোধী নয় কি]

৩৮. কুরআনে ‘কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহরই, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূলের!
কুরআনে দেখুন, ‘তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে কিয়ামত কখন ঘটবে। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আমার রবেরই আছে। শুধু তিনিই যথাকালে তা প্রকাশ করবেন, তাতে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা হবে। আকস্মিকভাবেই তা তোমাদের ওপর আসবে।’ ... ... বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আল্লাহরই আছে, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না (৭:১৮৭)। ‘কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকট রয়েছে,.. (৩১:৩৪)। ‘লোকে তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে। তুমি এ কী করে জানবে? সম্ভবত কিয়ামত শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে (৩৩:৬৩; ৭৯:৪২-৪৪)। [কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো আছে কি?]
মুসলিমে দেখুন, ‘জুমু‘আর দিন ব্যতীত কিয়ামত কায়েম হবে না (মেশকাত-৩/১২৭৭)। ‘তোমাদের সকল দিন অপেক্ষা জুমু‘আর দিনটি হলো শ্রেষ্ঠ,- তাতেই আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাতেই তাঁর মুত্যু হয়েছে এবং তাতেই বিশ্ব ধ্বংসের জন্য ফুৎকার দেওয়া হবে এবং তাতেই পুন: জীবিত করার জন্য শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে। ... ‘জুমু‘আর দিনে কিয়ামত কায়েম হবে (আবূ দাঊদ, নাসাঈ, ইবনূ মাযাহ, দারেমী ও বায়হাকী, তিরমিযি ও মালেক);-মেশকাত-৩/১২৮২, ১২৮০, ১২৮৩। ‘জুমু‘আর দিনে কিয়ামত কায়েম হবে (ইবনু মাযাহ);-মেশকাত-৩/১২৮৪। [রাসূল আল্লাহ্র চেয়ে বেশি জানেন কি?]

৩৯. কুরআনে ‘হালাল পোষাক, বুখারি-মুসলিমে ‘হারাম!
কুরআনে দেখুন, ‘হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভুষার জন্য আমি তোমাদেরকে লেবাস দিয়েছি এবং তাকওয়ার লেবাস। তা-ই উৎকৃষ্ট। এ আল্লাহ্র আয়াত সমূহের অন্যতম যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে (৭:২৬)। ‘তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেন পরিধেয় বস্ত্রের তা তোমাদেরকে রক্ষা করে তাপ হতে (১৬:৮১)। [পোষাক স্থান-কাল-পাত্রভেদে। তবে চুরি, সূদ-ঘুষ ইত্যাদি অবৈধ টাকার পোষাক তাকওয়ার লেবস নয়।]
কুরআনে দেখুন, [‘রাসূল! তুমি] বল, ‘আল্লাহ্ স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ রিয্ক সৃষ্টি করেছেন তা কে হারাম করেছে? বল, ‘দুনিয়ার জীবনে বিশেষ করে কিয়ামতের দিনে এ সমস্ত তাদের জন্য, যারা ঈমান আনে। ... বল, ‘নিশ্চয়ই আমার রব হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোন কিছুকে আল্লাহর শরিক করা- যার কোন সনদ তিনি প্রেরণ করেননি এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না (৭:৩২-৩৩)। বিধান দিবার অধিকার কেবল আল্লাহরই (১২:৪০)। ‘আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে আমি তোমাদের জন্য কিছু করতে পারি না। বিধান আল্লাহরই (১২:৬৭)। [রাসূল আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে কোন বিধান দিতে পারেন কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী পোষাক পরিধান করবে, সে আখিরাতে তা পরতে পারবে না (মেশকাত-৮/৪১২৭, ৪১২৮)। ‘রাসূল আমাদেরকে সোনা-রূপার পাত্রে পান করতে এবং তাতে আহার করতে, মিহি ও মোটা রেশমী কাপড় পরিধান করতে এবং তার ওপর বসতে নিষেধ করেছেন (মেশকাত-৮/৪১২৯)। ‘স্বর্ণ ও রেশমের ব্যবহার আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে (তিরমিযী ও নাসাঈ);-মেশকাত-৮/৪১৪৭। ‘রেশম এবং স্বর্ণ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম (আহমদ, আবূ দাঊদ ও নাসাঈ);-মেশকাত-৮/৪১৯৮। [রাসূলের কোন কিছু হারাম-হালাল করার ক্ষমতা ছিল কি?]

৪০. কুরআনে ‘দীনের কাজে পারিশ্রমিক হারাম, বুখারি ও অন্য হাদিসে হালাল!
কুরআনে দেখুন, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যারা তা গোপন রাখে ও বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে তারা নিজেদের উদরে অগ্নি ব্যতীত আর কিছুই ভক্ষণ করে না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে (২:১৭৪)। ‘তোমরা আমার কিতাবের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করো না (২:৪১)। ‘আমার আয়াতসমূহ তুচ্ছ মুল্যে বিক্রয় করো না (৫:৪৪; ৩:১৮৭, ১৯৯; ৯:৯)। ‘তোমরা অনুসরণ কর রাসূলদের; ‘অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের নিকট প্রতিদান চায় না এবং যারা সৎপথপ্রাপ্ত (৩৬:২০-২১)। [কা‘বাসহ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মসজিদের ইমাম! আপনারা রাসূলদের অনুসরণ করেন কি?]
বুখারিতে ... দেখুন, ‘এক ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাবের বিনিময়ে উজুরা (পারিশ্রমিক) নিয়েছিলেন। রাসূলকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, ‘তোমরা যে সব জিনিসের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে থাকো তাদের মধ্যে ‘আল্লাহ্র কিতাব’ অধিকতর উপযোগী (মেশকাত-৬/২৮৫৫)। ‘সূরা ফাতিহা পাঠ করে রোগীর নিকট থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ সম্পর্কে রাসূল বলেন, ‘খাও! আমার জীবনের শপথ, ‘যে ব্যক্তি বাতিল মন্ত্র দ্বারা খায় সে বাতিল পন্থায় খায় আর তুমি খাচ্ছো সত্য মন্ত্র দ্বারা (আবূ দাঊদ ও আহমদ);-মেশকাত-৬/২৮৫৬। [রাসূল কুরআন (১০:১৫) বিরোধী কোন হাদিস বলতে পারেন কি?]

৪১. কুরআনে ‘আল্লাহর নিকট প্রিয় সংগ্রাম ও ব্যয়, প্রচলিত হাদিসে ‘মহব্বত!
কুরআনে দেখুন, ‘যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মত, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন (৬১:৪)। ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আল্লাহ মুহসেনিনকে ভালোবাসেন (৩:১৩৪)। [কারা আল্লাহর প্রিয় তা কি আল্লাহ বলেন নি?]
আহমদ ও আবূ দাঊদে দেখুন, ‘তোমরা কি জান যে, আল্লাহর কাছে কোন কাজ সর্বাধিক প্রিয়? জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, সালাত ও যাকাত। আরেক জন বলল, জিহাদ। নবি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় কাজ হলো এক আল্লাহর জন্য মহব্বত রাখা এবং আল্লাহর জন্য শত্রুতা করা (মেশকাত-৯/৪৮০১)।[আল্লাহ তার কিতাবে কাদের ভালোবাসেন তা কি পরিষ্কারভাবে বলেন নি?]

৪২. কুরআনে ‘দাঊদ ছিলেন রাজা-ধিরাজ ও বিচারক, বুখারিতে ‘শ্রমিক!
কুরআনে দেখুন, ‘আমি তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা। ... ‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, কেননা এ তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে (৩৮:২০, ২৬)। [পৃথিবীর কোন রাজা-বাদশা বা বিচারক নিজ হাতে কাজ করেন কি?]
বুখারিতে দেখুন, ‘কারও জন্য নিজ হাতের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার বা খাদ্য আর নাই। আল্লাহর নবী দাঊদ আলাইহিছ সালাম নিজ হাতের কামাই খেতেন (মেশকাত-৬/২৬৩৯)। [যাঁরা রাষ্ট্র/বিচার কার্য পরিচালনা করেন তাঁরা কি হাতের কাজ করার সময় পান?]

৪৩. কুরআনে ‘আলেম ও ধনী সম্প্রদায়কে শাস্তির ভয়, প্রচলিত হাদিসে‘ শুধু ধনীকে!
কুরআনে দেখুন, ‘হে মু’মিনগণ! পণ্ডিত এবং সংসার-বিরাগীদের মধ্যে অনেকেই মানুষের ধন অন্যায়ভাবে ভোগ করে থাকে এবং মানুষকে আল্লাহর পথ হতে নিবৃত্ত করে। আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পাশর্^দেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে, এ তো তাই যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জীভূত করতে। সুতরাং তোমরা যা পুঞ্জীভূত করেছিলে তা আস্বাদন কর (৯:৩৪-৩৫)। [আলেম ও ধনী সম্প্রদায় উক্ত আয়াতের শাস্তির ভয় করেন কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘প্রত্যেক সোনা-রূপার অধিকারী ব্যক্তিই যে তা হতে তার হক আদায় করে না যখন কিয়ামতের দিন আসবে নিশ্চয়ই তার জন্য আগুনের বহু পাত তৈরি করা হবে এবং সে সমুদয়কে জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে, তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে, যখনই ঠান্ডা হয়ে আসবে পুনরায় তাকে গরম করা হবে সে দিনে যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান যাবৎ না বান্দাদের বিচার নিষ্পত্তি শেষ করা হবে। অতঃপর সে তার পথ ধরবে, হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে। ... উটের ... গরু-ছাগলের সম্পর্কেও অনুরূপ ঘটবে ... (মেশকাত-৪/১৬৮১)। [আল্লাহ কি আলেম-ওলেমা (৯:৩৪) সম্পর্কে শাস্তির কথা বলেন নি?]

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২১ দুপুর ১:০৮
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×