অনেক আগে একটা অ্যাড দেখাতো, বিষন্নতা একটি মানসিক রোগ। বিষন্নতা, আমি দেখে ভাবতাম মাইনসের বিলাসিতা। কাজকাম করার কিছু পায়না, তাই বিষন্ন থাকে। আমি নিজে সবসময় দৌড়ঝাঁপ, হাউকাউ এর মধ্যে ছিলাম...মন কখনো বিষন্ন হওয়ার সুযোগ পায়নি। ট্রেসকোথিক মানসিক অবসাদের কারণে খেলা ছেড়ে দিলো, তখন মনে হলো বিদেশীদের এইসব ঢং হয়। কোন জাপানী বিষন্ন থাকার কারণে সুইসাইড করলো অথবা অ্যাডিক্টেড হয়ে গেলো, ভাবতাম আজিব!!! মনটন একটু খারাপ সবার হতেই পারে, তাই বলে সবকিছু ছেঁড়েছুঁড়ে দিবে ক্যান? কিছুদিন আগে আরেক ইংলিশ ক্রিকেটার ইয়ার্ডি খেলা ছাড়লো একি কারণে, এইবার মনে হলো ঘটনা খুবি স্বাভাবিক এবং হতেই পারে।
নিজে বিদেশে পরবাসী হওয়ার পর থেকে আমি জানি বিষন্নতা কি জিনিস এবং কি ভয়াবহ বাজে একটা জিনিস। আমেরিকায় নাকি ১১০ লাখ লোক মানসিক অবসাদের শিকার। এই বিষন্নতা রোগে না পড়ার জন্যই নাকি অনেকে দিনরাত আনন্দ ফূর্তিতে থাকার চেষ্টা করে। একটা লেখা পড়েছিলাম, 'প্রচুর অর্থ, সুবিধা, ঐশ্বর্জ ও মানুষের মনের আনন্দের নিশ্চয়তা দিতে পারেনা'। আমরা উল্টো সবসময় নানা ধরনের পার্থিব সাফল্যের কথা চিন্তা করে এর পিছনে পাগলের মতো দৌড়াতে থাকি। পেয়ে যাওয়ার পরে বুঝতে পারি আসলে কি কি হারালাম। আগে না পাওয়ার কষ্টে বিষন্ন থাকতাম, পেয়ে যাওয়ার পরে কি কি হারালাম সেটা ভেবে বিষন্ন হই।
এত আবঝাব কথা বললাম শুধুমাত্র একটি কারণে, বিষন্নতা একটি মানসিক রোগ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৫৪