যেদেশে ১৭ বছর পড়ালেখা করে পড়ালেখার
পাঠ চুকিয়ে চাকরির আবেদন করতে গিয়ে
বেকার যুবক শোনে "অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি
দেয়া হয়না", তখন প্রশ্ন জাগে তাহলে
১৭বছর ওয়ার্কশপে কাজ শিখলেই হতো!
.
- যেদেশে পাশ করার ৪ বছরের মধ্যে বিয়ে
করতে গেলে পাত্রীর মা "প্রতিষ্ঠিত
পাত্রের" দোহাই দিয়ে বিদায় করে দেয়
সেখানেও প্রশ্ন আসে ১৭ বছর পড়ালেখা না
করে তো ব্যবসার চিন্তা করলেই হতো, কাড়ি
কাড়ি টাকা থাকতো !
.
- এদেশে কি সার্টিফিকেট আর ২ টাকার
পুরোনো নোটের মধ্যে আদৌ কি কোন পার্থক্য
থাকছে? ১৭ বছর পড়াশোনা করে যদি
১২হাজার টাকা বেতনে সকাল ৯টা টু রাত
৯টা ডিউটির অফার আসে তাহলে নামের
আগে ওই "ইঞ্জিনিয়ার/ গ্রেজুয়েট" শব্দের
দরকার কি? সিএনজি চালিয়েও
১৫হাজারেরও বেশী ইনকাম করা যায়!
.
তারুণ্যের হতাশা হাজার মোটিভেশনাল
বাণী শুনিয়ে দূর করা যায়না। রাতারাতি
বদলে দেয়াও যায়না।
.
প্ল্যান কী আপনাদের? আগামী দশ বছর পর
যে আরো কয়েক লাখ যুবক বেকার হবে তাদের
জন্যে পরিকল্পনা কি এখন থেকেই করে রাখা
উচিত না? নাকি পাশ করে বের হলেই কোন
এক সমাবেশে মোটিভেশনাল স্পীচ দিয়ে
দায় সারবেন। পেটে ভাত না থাকলে
মোটিভেশন পিছন দিয়ে পালাবে !!
বর্তমানে চাকরি পাওয়া অনেক সহজ আবার
অনেক কঠিন.......
১) সরকারি চাকরি :- এটা এখন সোনার গরু
তাই দাম অনেক বেশি, তাই কিনতে
বর্তমানে ১০-১৫ লাখ কাটা লাগে। মামা
খালু খুজা লাগে যাকে টাকা দেওয়া হবে,
এমপি, মন্ত্রী, সচিব, বড় বড় নেতার
সুপারিশ লাগে । যাদের এগুলো সব আছে
তাদের জব হবেই। তখন তারা এত টাকা
দিয়ে গরু কিনছে তো দুধ বেচে টাকা
কামাবেই এটা স্বাভাবিক দেশ জাহান্নামে
যাক দেখবে না। তাই আমার দারা এই
চাকরি করা সম্ভব না & হবেও না.........
২) বেসরকারি চাকরি :- পাওয়া অনেক সহজ
যদি লোক থাকে তাহলেই হবে নতুবা জুতা
ছিড়ে যাবে খুজতে খুজতে। বেসরকারি চাকরি
অনেক সহজ যখন বস নিজের কেউ হয় তাহলে
কাজ সহজে বুঝায় দিবে, ভুল হলে সংশোধন
করে দিবে অনেক সময় আগে অফিস থেকে
যাওয়া য়ায়, পাটি করা য়ায় আরো অনেক
সুবিধা পাওয়া য়ায়।
আর যদি কোন লোক না থাকে তাহলে খবর আছে
যত কাজ আছে সব ঘাড়ে চাপায় দিবে , ছুটি
দিবে না, ঝাড়ি দিবে, কাজের ভুল হলে
রিপোর্ট করবে এক কথায় জীবন অতিষ্ঠ করে
তুলবে নিজের লোক ডুকানোর জন্য......
চাকরি হল আধুনিক দাসত্ত, আর এই
চাকরজীবি জীবন বেছে নেওয়ার জন্য মানুষ
আজ অমানুষ, ঘুষ দেওয়ার প্রতিযোগিতা।
ঘুষ দিয়ে চাকর হওয়াও নাকি অনেক
সম্মানের??
এত সম্মান রাখার মত আমার কাছে জায়গা
নাই।
তাই যারা চাকরির জন্য হতাশ, তাদের
বলছি কোন কাজেই ছোট না, অন্তত ঘুষ দেওয়া
বা নেওয়ার চেয়ে।
আপনি নিজেই নিজের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি
করেন, ছোট বা মাঝারি বা বড়। নিজে বাচুন
আরও ১০ জনকে বাচার(ভাল ভাবে বাচার)
সযোগ তৈরি করে দিন।
আর প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই ব্যবসাকে হালাল
বলা হয়েছে, এমনকি চাকরির চেয়ে বেশি
গুরুত্ত দেওয়া হয়েছে।
N.B. আজকের ব্যবসায়ি আগামি দিনের
চাকরিদাতা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪১