একজন পাঠকের পড়াটাই মূল লক্ষ:---
শুধুমাত্র একটি চাকুরির জন্য যুবকটি অনার্স ফাস্ট ইয়ার
থেকে মুখস্ত করে আসছে –
☆কারেন্ট নিউজ, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডয়ের সব সংখ্যা;
জবের সকল গাইড।
☆পৃথিবীর ২১৫ টি দেশের রাজধানী, মুদ্রা,
আয়তন, জনসংখ্যা, রাষ্ট্রনায়কের নাম সবই তার মুখস্থ।
☆যমুনা সেতুর পিলার কয়টা?
☆চর্যাপদের কোন লাইন কে লিখেছেন?
☆কোন জেলায় কি আছে?
☆পৃথিবীর কোন নদী, শহর, প্রনালী, বাঁধ
কোথায়? .. …. … সবই তার মুখস্থ।
যুবকটি একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে রাতভর পাড়ি দিয়ে ঢাকা
পোঁছায়। সকালে পরীক্ষা। ঢাকায় নেমে হাতমুখ
ধুয়ে ২টা পরটা গিলে এক্সাম হলে দৌড় দেয়।
পরীক্ষা ভালোই দেয়; হল থেকে বের হওয়ার
পরপরই পর্যায়ক্রমে- মা, বাবা, প্রিয়তমা, বন্ধুদের
ফোন।
বাসে ওঠে যখন শুনে তার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে
গেছে; মন ভেঙ্গে যায়। বেশিরভাগ যুবকেরাই
বার বার ভাইভা দেয়, কিন্তু চাকরি মিলে না।
¤গণিত বিভাগের ছাত্রদের টিউশনি করেই কাটিয়ে
দিতে হয় বছরের পর বছর;
¤ফিজিক্স থেকে পাস করে চাকরি মিলে
হয়ত কৃষি ব্যাংকে;
¤সারাজীবন রসায়ন পড়ে হয়ত ঢুকে পুলিশ বিভাগে;
¤প্রানীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা পড়ে
তাকে ঢুকতে হয় মার্কেটিং জবে !!
কেউ পুরো বেকার; কেউ অর্ধেক বেকার;
কেউ কোনমতে পড়ে থাকে পেটচালানোর
জন্য।।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও আমাদের যুবকদের জন্য
চাকরির নিশ্চয়তা নেই। রাষ্ট্র ডিজিটাল হয়; জিডিপি বাড়ে;
বাজেটের আকার বাড়ে; শতশত মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানি দেশে ঢুকে; কেবল উন্নয়নের চুক্তি
হয়; বৈঠক হয়; ঝাঁকে ঝাঁকে সেমিনার-সিম্পজিয়াম হয়
……
কেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাড়ে না, কর্মসংস্থান
বাড়ে না। বেকারের ভীড় বাড়তে থাকে; ১টি
পোস্টের বিপরীতে উপচে পড়ে হাজার হাজার
প্রতিযোগী ।।
তারপরও যুবকেরা একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে প্রতি
বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে; কোন এক
শুক্রবারে তার স্বপ্ন পূরণ হবে।।
♡মাকে ফোন করে বলবে- ‘মারে আমার চাকরি
হয়েছে’
♡বাবাকে বলবে- ‘বাবা তুমি এবার বিশ্রাম নাও; শুধু বাজার
করবে; পত্রিকা পড়বে’।
♡প্রিয়তমাকে বলবে- ‘আগামী মাসেই তোমার
বাবার সামনে আমি দাঁড়াবো; দেখি কে ঠেকায়’
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪