যদি কেও কাওকে জিজ্ঞাসা করে যে, একজন মানুষ আত্তহত্যা করার জন্য সাততলা বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, আরেকজন মানুষ দেখলে কি করবে?
মোটামুটি নিশ্চিত যে , সে মানুষটিকে বাচানোর চেস্টা করবে।
১৯৮১ সালে মনোবিজ্ঞানীরা গবেষনা করে আবিষ্কার করেন যে, আত্তহত্ত্য করতে যাওয়া ব্যক্তিকে যদি শ'তিনেক মানুষ থেকে বেশী মানুষ দেখার জন্য ভির করে আবার তা যদি হয় সন্ধার দিকে তাহলে তারা লোকটিকে থামানোর চেষ্টা করবেনা ।উল্টো প্ররোচিত করতে থাকবে।
ব্যাপারটি মোটেও বিশ্বাস যোগ্য মনে হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষন করে এটাই দেখেছেন।
মানুষ একক ভাবে এক রকম ব্যবহার করে,আর একসাথে অনেক মানুষ যখন থাকে তখন ব্যক্তিগত চরিত্র পাল্টে সম্মিলিত মানুষের সম্পুর্ন ভিন্ন চরিত্র ফুটে ওঠে।
মানুষের চরিত্র বড় বিচিত্র ।
এতক্ষন যে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে তা ছিল বিজ্ঞানীদের সাজানো।
এখন যে পরীক্ষার কথা বলব তা সাজানো ছিল না।
আলোচিত একটা ঘটনা।
জশুয়া বেল নামক একজন খুব বিখ্যাত, পৃথিবীর সর্বশ্রেস্ট বেহালাবাদক ঘটনাটা ঘটিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ৭ এপ্রিল তিনি জীর্ণ-শীর্ণ পোশাক পরে বেহালা নিয়ে ওয়াশিংটন ডি.সি.র পাতাল ট্রেনের স্টেশনের গেটের কাছে এসে বেহালা বাজাতে লাগলেন। সেই দেশের দরিদ্র ভিখারিরা যেভাবে ভিক্ষা করে সেইভাবে। যেই বেহালাটি বাজাচ্ছিলেন তা অত্যান্ত দামি এবং যে সুর তুলচ্ছিলেন সেই সুর শোনার জন্য অসংখ মানুষ হাজার হাজার ডলার খরচ করে তার অনুস্টানে আসতেন।
কিন্তু মজার ব্যপার হল, প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট তিনি বেহালা বাজালেন তার দিকে কেও ঘুরেও তাকালো না।যেটুকু ভিক্ষা পেলেন তা না পাওয়ার মতোই।
কিন্তু অবাক হওয় বিষয়, থমকে ধারালো শিশুরা।
তার পরও আমরা শিশুদের বিচারবুদ্ধিকে অবহেলা করব?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





