এই পোস্টে ভূমিকার প্রয়োজন নেই, কেননা আমার হাত নিশপিশ করছে মূল বিষয়ে পৌঁছাতে, সো লেট স্টার্ট!
পূর্বের পর্ব:
কোন ব্লগার কিভাবে প্রিয়তমাকে প্রপোজ করিবেন এবং অপরপ্রান্তের জবাব কি হইবে? (সেই লেভেলের ফাজলামি পোস্ট)
কোন ব্লগার কিভাবে প্রিয়তমাকে প্রপোজ করিবেন এবং অপরপ্রান্তের জবাব কি হইবে? (আবারো সামুপাগলার ফাজলামি)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রামানিক: ব্লগ সেরা ছড়াকারের প্রপোজে ছড়া তো থাকবেই!
প্রপোজ স্টাইল:
কন্যে তোমার লালচে চুল
পাগল হলো প্রেমিক কুল
আমি এক অধম ভক্ত
দেবীর চরণে দানিব তাজা রক্ত!
একি তোমার চোখে পানি?
ভেবোনা হৃদয় রাণী
নিজ আঙ্গুলের রক্ত নয়
মুরগী দেব জবাই!
রান্না করে দিও আমায়
পেঁয়াজ মরিচ দই মাখানো
সেকেলে গ্রাম্য বিয়ের দাওয়াত
মনে পরে যেন!
তোমায় কত ভালোবাসি
কি দেব তুলনা?
গোঁফের মতোই আপন তুমি
নিঃশ্বাসের স্পর্শে মেশা আপনজনা!
ছড়া শুনে দীর্ঘ ক্ষন হা হয়ে থাকার পরে কন্যে বলিল: আপনি আপনি আপনি একটা বিদঘুটে! ইশ! রাগে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। এভাবে কেউ ভালোবাসার কথা বলে? আপনার তো প্রেমিকা নয়, রান্নার মাসি দরকার। আর ছন্দের কি বাহার! গোঁফের সাথে আমার তুলনা? ইয়াক! আপনি এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান, নাহলে আপনার গোঁফের ইন্নালিল্লাহ করে দেব .....
হাবিব স্যার স্বল্পসময়েই মেধা ও আন্তরিকতার সাথে সবার মনে জায়গা করে নেওয়া ব্লগারটির প্রপোজ স্টাইল জেনে নেই চলুন!
প্রপোজ স্টাইল:
তোমার হাসি হচ্ছে আসল
গালের টোলটি যেন সুদ;
দোষ কি দেবে বলতো?
যদি হই ঋণে জর্জরিত!!
ভালোবেসে টানলে কাছে
প্রেমের শেয়ার বাজারে,
রবে অধিক মুনাফা লাভে
থাকবে যত্নে হৃদমাঝারে!!
যদি হও নিষ্প্রাণ প্রতারক
ঋণখেলাপির দায়ে থাকবে কারাগারে।
যদি আজ হ্যাঁ বল, অন্তরে রাখো মোরে -
আজন্ম ঋণী হয়ে থাকব প্রিয়ারে!!
কবিতাটি আমি এজ ইউজাল এক ব্লগারের প্রতিউত্তরে লিখেছিলাম, তোমাকে দেখামাত্র মনে হলো, যেন তোমার জন্যেই লেখা হয়েছিল!
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন: ছড়াকার, আবৃত্তিকার, গীতিকার, গায়ক - নানা গুণে গুনান্বিত মানুষটির প্রপোজ স্টাইল নিম্নরূপ:
প্রপোজ স্টাইল:
আমি তোমার জন্যে
রাখবে এই বিশ্বাস
মন বলে ভালোবাসি
ভাবছি, ভুল'তো সেটাই!
হৃদয় পোড়া গন্ধে
কান্দেরে মন
ভালোবাসার সুখ পাখি হয়ে
দিয়ে গেছ ক্ষত
কষ্টগুলো ক্ষরস্রোতা নদীর মতো!
কি করি এখন?
তোর পিরিতে জীবন আমার গেল!
এখানেই বেদনার শেষ নেই
জীবন মানেই তো যন্ত্রণা
ও'পাষানী বুঝবেনা!
প্রিয়তমার জবাব: কস কি মমিইন্না? থুক্কু নয়ন্না? তুই তো ব্যাডা পুরাই দেবদাস আচিস! মদ টদ খাস নাহি? এইডা লাভ লেটার লিখচিস না টেরাজেডি মুভির গান? তোর তো কি কইলি যেন, হ হ প্রিয়তমা লাগব না, তোর দরকার টিস্যু পেপার! আহারে বেচারা, কত্ত দুঃখ! যাভিবি দিল ছোট হইব, আমার বাপের হোটেলে যাইবি। পুরান ঢাহার বিরিয়ানি খাইলে তোর সব দুঃখ ভুইল্লা যাবি! হ! অহন যা গা, আমার বফ আমারে রিং দিছে।
ঐ দাড়ায়া আছস কিল্লায়? যাহ কইলাম।
সৈয়দ তাজুল ইসলাম : সকল ব্লগারকে ভীষন আপন ভাবা, গুণী লিখিয়ের প্রপোজ স্টাইল কেমন যে হবে!
প্রপোজ স্টাইল:
সৈয়দ তাজুল ইসলাম: তোমার স্বপ্নেই আমি দিনরাত বিভোর থাকি। তোমার কথা ভেবে আমার "ব্লগ পরিচয়ে" এত মুরুব্বীর সামনে নির্লজ্জের মতো টাঙিয়ে রেখেছি, "সকল সুন্দর শিরোনাম প্রিয়তমার জন্য!" তোমার প্রশংসায় কি আর বলব? তুমি ব্লগার বৃষ্টি বিন্দু আপুর মতো আন্তরিক ও চঞ্চল। ব্লগার কালীদাসের মতো বাস্তববাদী ও স্পষ্টভাষী! ব্লগার কবি রহমান লতিফের বই "জীবনের ব্যাকরণ" নামের মতোই তুমি আমার ব্যাকরণ।
প্রিয়তমা: কিসব আবোল তাবোল বলছেন? ব্লগ ব্লগার! আমি কিছু বুঝতে পারছিনা, আমাকে বিশেষ কি একটা বলার জন্যে ডেকে আনলেন সেটা বলেন।
সৈয়দ তাজুল ইসলাম: হ্যাঁ হ্যাঁ বলছি, আসলে তুমি তো বুঝতেই পারছ কি বোঝাতে চাইছি। আমি তোমার অযত্ন হতে দেবনা। সামনে তোমার জন্মদিনে সদা হাস্যোজ্জল ব্লগার সোহানী আপুর জন্মদিন পোস্টে যে কেকের ছবি দিয়েছিলাম তেমন টেস্টি কেক, আর মহৎ মনের অগ্নি সারথি ভাইয়ার জন্মদিন পোস্টের বিশাল দাওয়াতের মতো আয়োজন করব।
প্রিয়তমা: ওহ আচ্ছা বুঝলাম, আপনি সবার জন্মদিন পালনের ঠেকা নিয়ে রেখেছেন, কেটারারের কাজ করেন। ঠিক আছে সামনে আমার ফিয়ান্সের জন্মদিন আসছে, ওর জন্মদিনের দায়িত্ব আপনাকেই দেব। আর অনুষ্ঠানের যাবতীয় ছবি আপনার ব্লগেও দিয়ে দিয়েন। ওকে? বাই!
নীল আকাশ: দারূণ মেধাবী গল্পকার ও হেল্পফুল ব্লগারটির প্রপোজ স্টাইল হবে এমন:
প্রপোজ স্টাইল:
আপনি দেখতে ভীষন সুন্দরী, স্বভাবও অনেক ভালো। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
১) কপালের টিপ, ঠোঁটের লিপস্টিক, কানের দুল এর রং ও ডিজাইন পোশাকের সাথে মিলিয়ে ঠিক করে রাখবেন। যেমন, আপনার টিপ ও লিপস্টিক একেবারেই মিল খাচ্ছেনা, দৃষ্টিকটু লাগছে দেখার সময়ে। এদিকে সামনে থেকে সতর্ক হবেন।
২) হাসার সময়ে কালো মাড়িটা যেন না দেখা যায় সেজন্যে হালকা হালকা করে হাসবেন, গল্পের ছোট ছোট প্যারার মতো।
৩) কথাবার্তার ভঙ্গিতে বিশেষ সমস্যা দেখতে পারছি। কথা বলার সময়ে দাড়ি, কমার দিকে লক্ষ্য রাখবেন। এক নিঃশ্বাসে সব বলে গেলে শ্রোতার বুঝতে অসুবিধা হবে। শুদ্ধ ভাষার দিকে জোর না দিয়ে যেভাবে নিত্য কথা বলেন সেভাবেই বলবেন, কেননা অনভ্যাসে গুলিয়ে ফেলছেন দুটো। প্রয়োজনে আয়নার সামনে দাড়িয়ে ব্রিথিং এন্ড স্পিচিং প্র্যাকটিস করবেন।
ওপরের কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে আমার ব্লগে ঘুরে আসবেন। সকল বিষয়ে পোস্ট রয়েছে। লিংকগুলো আমি আপনাকে পাঠিয়ে দেব। দয়া করে সেগুলো উদার ও খোলা মনে পড়বেন। কেউ তো পৃথিবীতে আসার আগেই সব শিখে আসেনা। আপনার মধ্যে পোটেনশিয়াল আছে। আমি কিন্তু অন্য কাউকে এতটা খেয়াল করিনা বা উপদেশ দেইনা, আপনার মধ্যে সেই ব্যাপারটা আছে মনে হলো। এজন্যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বারবার মাথা থেকে পা পর্যন্ত আপনাকে দেখেছি। আপনি চেষ্টা করুন, পারবেন পুরোপুরি আমার মনের মতো হতে। আগ বাড়িয়ে এত কিছু বললাম বলে মাইন্ড করবেন না নিশ্চই। ওহ আপনার ইমেইল এডরেসটি দিন, আমার পোস্টের লিংকগুলো পাঠাব।
মেয়েটি হা হয়ে এতক্ষন শুনছিল, কথা শেষ হবার পরে একটি কাগজে কিছু লিখে চলে গেল। সেই কাগজটিতে লেখা ছিল,
"[email protected]" আপনাকে পাবনার পাগলাগারদের ইমেইল দিলাম, প্রেমিকা নয় আপনার চিকিৎসা দরকার।"
নূর মোহাম্মদ নূরু: গুণী এই ব্লগারের কল্যাণে নানা গুণী মানুষের ব্যাপারে জানতে পারি, বিশেষ দিনগুলোতে তাদেরকে স্মরণ করতে পারি।
প্রপোজ স্টাইল: তোমায় প্রথম দেখেছিলাম ১৪২৩ সালের দশম বৈশাখে। হুট করে হেসে উঠেছিল কি একটা কথায়, কিন্নরকন্ঠী গায়িকা উৎপলা সেন যার জন্ম ১২ মার্চ, ১৯২৪ ইং এবং মৃত্যু ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ইং, তার মতোই বেজে উঠেছিল সেই সুর। এরপরে আবারো তোমার সাথে দেখা হয় ১৪২৪ সালের তেসরা জৈষ্ঠ্যে, সেদিন জেনেছিলাম বাংলা কথাসাহিত্যের সম্রাজ্ঞী ভারতীয় মহিলা ঔপন্যাসিক আশাপূর্ণা দেবী যার জন্ম ০৮ জানুয়ারি ১৯০৯ ইং, এবং মৃত্যু ১৩ জুলাই ১৯৯৫ ইং, তার মতোই আটপৌরে কিন্তু গভীর অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্না তুমি! এরপরে আবারো দেখা হয় ১৪২৫ সালের মাঘের শুরুতে, তখন বুঝি স্ববাক বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মুসলিম অভিনেত্রী যার জন্ম ১৯২৪ সালের মে মাসে বনগাঁতে এবং ১৯৯৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকায় মৃত্যু, তার মতোই সাহসী ও রূপসী তুমি। এরপরে তোমার সাথে কথা বলে মনে পরে যায়...
মাঝপথে বালিকা থামিয়ে বলে: আপনার চেহারা দেখে অর্ধ পাগল মনে হয়েছিল, কথা শুনে বুঝলাম পুরাই গন কেস! এ কি অবস্থা! কিসব সাল বিড়বিড় করে বলে যাচ্ছেন! আমার মাথা ঘুরছে, কেউ আমাকে ধরো, মাআআআ গোওও বাবাআআ গোওওও, বয়ফ্রেন্ড গোওওও
আর্কিওপটেরিক্স: মেধাবী, ও ভীষন এক্টিভ ব্লগারটির সামুকে নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। তার প্রপোজ স্টাইলেও দেখা যাবে তারই ছায়া।
প্রপোজ স্টাইল: বালিকা তোমার মুখটা যেন সামুর মতোই উজ্জ্বল মুখর, যদিও স্ক্রিন ব্রাইটনেস, ক্লিয়ারিটি বাড়াতে কর্তৃপক্ষ আরো কাজ করতে পারে। তোমার হাঁটাচলা সামুর সহযোগিতা পেইজের মতো, রহস্যময়, নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। তোমার টিপ দুই ভুরুর মাঝখানে ঠিক স্পেসে পড়েনি, অবশ্য তোমার দোষ নয় তা, সামুতে স্পেস বিষয়ক লেখাই তো নেই। সবকিছু আমি ঠিক করে ফেলবে আস্তে আস্তে। চাঁদগাজী ভাইকে নিয়ে যেভাবে আমি গবেষনা করেছি, উল্টেপাল্টে তাকে পড়েছি, তোমার গভীর থেকে গভীরে সেভাবেই জানতে চাই। দেবে কি আমায় সেই সুযোগ?
বালিকার জবাব: তুই এক কাজ কর, তোর সামুরে বিয়া কর আর চাঁদগাজীরে কাজী রাখিস। আমার সাথে ফারদার কন্ট্যাক্ট করার চেষ্টা করলে তোর নামে সামু অফিসে গিয়ে মামলা করমু। ফাজিল ছোড়া! প্রপোজ করতে এসে আজেবাজে কিসব বকে যাচ্ছে! যত্তসব!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পোস্টটি দেখামাত্র তরিৎ গতিতে ক্লিক করে নিচে স্ক্রল করতে করতে যারা নিজের নাম দেখতে না পেরে একই সাথে রিলিফ ও কিছুটা খারাপ লাগার মিশ্র অনুভূতির মধ্যে পরেছেন, তাদেরকে বলব, ডোন্ট ওয়ারি ডিয়ার, ইউ মাইট বি নেক্সট!
আর যাদের নাম পোস্টে নিয়েছি তারা মাইন্ড করবেন না সেটা মোটামুটি জানি, তবুও কিছু খারাপ লেগে থাকলে সরি। রম্যকে রম্য হিসেবেই দেখার অনুরোধ রইল সবার প্রতি। লাভ ইউ অল!
ওহ হ্যাঁ পূর্বের পর্বে ব্লগার ভ্রমরের ডানা আমার প্রপোজ স্টাইল নিয়ে বেশ কয়েকটি পার্ট লিখে ছিলেন। এই পোস্টটি পড়ে কেউ আমার প্রতি অসন্তুষ্ট অথবা বিরক্ত হলে, সেগুলো পড়ে মনের জ্বালা মেটাতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১