আমাদরে সমাজে ইসলামের কি অবস্থা সেটা বুঝার জন্য খুব বেশি চিন্তা ভাবনার দরকার নাই। আমরা আমাদের আশেপাশে একটু তাকলেই সেটা বুঝতে পারবো।আমরা বেশিরভাগ লোকই নামে মুসলিম। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক গবেষনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের ২-৫% লোক নামায পড়েন। এখানে নামায পড়েন মানে নিযমিত ৫ ওয়াক্ত নামাযকে বুঝানো হয়েছে। যারা ১,২,৩ অথবা ৪ ওয়াক্তও পড়েন তাদেরকে নামাযি বলা হয় নি। একবারে সঠিক হিসাবে হয়ত ২-৩% এদিক -সেদিক হবে। অথচ আমরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করি।কিন্তু আমরা নিয়মিত নামায পড়ি না। কিন্তু নামায ছাড়া কোন মুসলমানই মুসলমান খাকে না।
আমাদের সামাজে সুদ,ঘুষ,বেহায়াপানা,মদ,জুয় এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে এগুলো থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল ইসলামিক জীবন-যাপন পদ্ধতির অনুসরণ। অথচ যারা ইসলামিকভাবে জীবন-যাপন করে বা করতে চায় তাদেরকে সমাজে Tease করা হয়। আপনি যদি দাড়ি রাখেন মানুষ বলবে এত দেখি হুজর হয়ে গেছে , আর এত অল্প বয়সে দাড়ি রাখার কি দরকার? অখচ দাড়ি সেভ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যদি টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়ে তার দিকে লোকজন এমনভাবে তাকায় যেন সে অন্য গ্রহের কেউ।অথচ টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়লে তার সে অংশটুকু জাহান্নামে যাবে এবং শেষ বিচারের সময় আলাহপাক তার দিকে ফিরেও তাকাবেন না।
আর হালাম-হারাম বলেতো কিছু মনে হয় আমাদের সমাজে নাই। সুদ/ঘুষ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ এগুলোকে এখন হারামই মনে করে না। আমাদের চারপাশে এখন ষুষ আর সুদের ছড়াছড়ি। আপনি সরকারি কোন কাজ করতে যাবেন আপনাকে ঘুষ দিতে হবে, চাকরির জন্য ঘুষ দিতে হবে। আর সুদতো এখন খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে।ব্যাংকের সুদকে অনেকে এখন সুদ মনে করে না। মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় বাবা-মারা এখন আর পাত্রের ইনকাম হালাল নাকি হারাম তা অার যাচাই করে না। আর মদ-বিয়ার এগুলো ঐভাবে না ছড়ালেও পার্টি-প্রোগ্রামে খুবই কমন।
আর আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে বিদাআত। একটু খেয়াল করলে দেখবেন বিদাআত কেমন করে আমাদের মুসলমানদের আমলকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অথচ বিদাঅাতকারী ব্যক্তিকে রাসূল সা: শাফায়াত পর্যন্ত করবেন না। আর অাল্লাহর রহমত এবং রাসূলের শাফায়াত ছাড়া আমরা গুনাহগাররা কেউ জান্নাতে যেতে পারবো না।
আমাদের সমাজের বড় বিদাআতগুলো হচ্ছে মিলাদ, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী,চল্লিশা,উরস,অতিরিক্ত মাজার ভক্তি। অথচ আপনি এগুলো নিয়ে কথা বললে মানুষ বলবে আপনি বেশি বুঝেন। চল্লিশা নিয়ে কথা বলায় আমার এক আত্মীয় আমাকে বলে, মৃত ব্যক্তির নামে চল্লিাশা করে কিছু মানুষকে খাওয়ালেতো আরো সোয়াব হবে।। এর পর অার উত্তর দেয়ার কিছু থাকে না। কারন কিছু মূর্খ মাওলানা এবং হুজররা এর জন্য দায়ী। অনেকে বুঝে এটা বিদাআত কিন্তু সমাজের ভয়ে তারাও চল্লিশা করে এবং এতে অংশগ্রহনও করে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামিকভাবে জীবন-যাপন করার তৌফিক দান করুন।
সামনে ইনশা-আল্লাহ বিদাআত নিয়ে কিছু লিখব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


