আমি আর সীমান্ত বাসন্ডা নদীর পাড় ধরে হাঁটছিলাম। আজও লাবণ্যকে স্বপ্ন দেখার কথা বললাম। আজ আর সীমান্ত হাসলো না। ওকে কেমন চিন্তিত মনে হলো।
‘জানিস গত রাতে আমি তসলিমাকে স্বপ্ন দেখেছি।’
আমি জোরে হাসলাম। এ হাসি শরীয়তের তিন প্রকার হাসির আওতায় আটকে থাকলো না। আমার হাসি দেখে সীমান্ত কিছুটা বিরক্ত হলো।
‘আচ্ছা তুই প্রতিরাতে জীবনানন্দের বউকে স্বপ্নে দেখতে পারিস। আর আমি সিঙ্গেল তসলিমাকে স্বপ্ন দেখতে পারবো না?’
............
চোখের সামনে লাবণ্য দাশ হাঁটছে। আমিও হাঁটছি তার পিছু পিছু। পিছন থেকে তাকে দেখছি। হেলেদুলে চলা লাবণ্য দাশ কিছু দূর গিয়ে ক্ষাণিক দাঁড়ালো। আমি একটু পিছিয়ে পড়েছিলাম। আমি আবার দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করলাম। লাবণ্য দাশ আবার হাঁটা শুরু করলো। আমিও হাঁটছি। আমাদের দূরত্ব বাড়ছে। আমি হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলাম। তাও দূরত্ব কমছে না। একসময় লাবণ্য দাশ আবছা হয়ে গেলো। আর দূরে স্পষ্ট হয়ে উঠলো একটা অশ্বত্থ গাছ।
.............
বইয়ের নাম: লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর
লেখকের নাম: সানাউল্লাহ সাগর
বইয়ের ধরন: গল্পের বই
প্রকাশক: অনুপ্রাণন প্রকাশন
প্রকাশকাল: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ খ্রি.
প্রচ্ছদ: আল নোমান
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮