somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুমু (একটি ১৮+ জোকস পরিবেশনা)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে আনিসের সম্পর্ক ভালো না প্রথম থেকেই।সেই প্রথম যেদিন টিনা বাসায় জানাল আনিসের কথা সেইদিন থেকেই ...আনিসের যোগ্যতা-পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে নানা কথা হতে হতে ইদানিং আনিসের মনটা একেবারে বিষিয়ে উঠেছে।
ওরা দুইজনে ডিটারমাইন্ড থাকাতেই হয়তো ওদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিল।
কিন্তু বিয়ের পর পর ও আনিস যতবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে খালি জুটেছে অনাদর আর শ্বাশুড়ির খোঁটা।টিনা এইটা নিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটিও করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
শেষে বাধ্য হয়ে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়া একরকম বন্ধই করে দিয়েছে আনিস।
অবশ্য শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের এহেন আচরণে আনিস কিংবা টিনা কারোই ভালোবাসায় কোন প্রভাব ফেলেনি।আনিসের ছোট চাকরিতেও দিব্যি চলছিল দুজনার ছোট্ট সংসার।

তারপর ...ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি কিছুদিন পরই একটা ভয়াবহ কার অ্যাক্সিডেন্টে টিনা দারুনভাবে আহত হয়।র্দুঘটনাটিতে ভয়াবহভাবে পুড়ে যায় টিনার শরীর।সারা শরীরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার, কিন্তু ডাক্তারের ভাষ্যমতে সবচে বাজে অবস্থা মুখের।ডাক্তার জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে।অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে বসাতে হবে মুখে।কিন্তু টিনার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।

টিনার এ অবস্থায় আনিস তার নিজের শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিল।ডাক্তার রাজি হলেন, এবং আনিসের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে টিনার মুখে বসালেন।অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্যে।

অপারেশন শেষে দেখা গেলো, টিনাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে।আত্মীয়স্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এবং এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন টিনা-আনিস।

কিছুদিন পর নিরালায় টিনা ধন্যবাদ জানালেন আনিসকে।‘তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।’ গদগদ হয়ে বলল টিনা।

আনিস তাকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি।আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না।যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খাবে, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
৩২টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×