somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবং বিয়ে।।

১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন আমার জন্য সময়টা খুব একটা সুখের না। ওর রোজ রোজ ৯টা-৫টা অফিসও ৭টা-৮টা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার জন্য ম্যানেজ করা এই ১৩ ঘণ্টাই অনেক বেশি কষ্টকর। ভাবা যায়? যার মেসেজের সংস্পর্শ থেকে আমি এক মিনিটও আলাদা থাকি না সেখানে ১৩ ঘণ্টা!!!!!!!! তাও বিয়ের এক সপ্তাহ পরেই?? তারপরো সহ্য করতে হচ্ছে। পরিস্থিতিতে পড়লে মানুষ এমন অনেক কাজই করে। আমিও করে চলেছি।

বিয়েটা হুট করেই করে ফেলেছি দুজন। ওর হয়ত অনেক কিছু ভাবার সময় ছিলো কিন্তু আমার ছিলোনা। আমি অপেক্ষা করতে নারাজ ছিলাম। ছিলাম বাধ্যও। তাই অবশেষে ঘর বাধতে দুজন পারি জমাই অজানায়। এখানে আমাদের আগে পিছে কেউ নেই। আমরাই একজন আরেকজনের জন্য সব।
আমরা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করি। আইনতভাবে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এই ভাবনাটা নিয়ে খুব যে সুখে আছি ব্যাপারটা তা নয়। চাইছি ধর্মীয় স্বীকৃতি পেতে। অনেক দূর যেতে হবে তার জন্য। প্রায় দু’মাস। কারোরই আর সইলনা। এতদিন পর দেখা করে, এফিডেভিটের পরো এক রাত আলাদা থাকাকে আমি ইতোমধ্যে যুদ্ধ সমতুল্য মনে করেছিলাম। অতঃপর সব বাধা পেরিয়ে, ছোটখাটো এক রুম নিয়ে সংসার শুরু করি ঐদিন রাত থেকেই।
কোন এক আজব কারণে হঠাৎ ঝগড়া লেগে যায় পরদিনই। পরের রাতেও ব্যাতিক্রম হয়না। মনের মধ্যে একরকম অদ্ভুত অনূভুতি দানা বাধতে থাকে। মনে হয়, “এই ছেলেকে আমি চিনিনা”। তবুও মিটমাট হয়। কাছাকাছি থাকলে ঝগড়া করাটা খুব কঠিন একটা কাজ। একটা প্রিয় মুখের দিকে তাকিয়ে কঠিন হওয়া অতো সহজ না। আমার মত ঝগড়াটে মেয়ে এই কথা বলছে। ক’জন বিশ্বাস করবে সন্দেহ আছে। এটাই বাস্তবতা। আমাকে এটাই মেনে নিতে হবে। আমার মত পাগল, যে কিনা এক সেকেন্ড থাকতে পারেনা তাকে ছাড়া সেই আমাকে এখন মেনে নিতে হবে ওর ২ ঘণ্টা দুরের অফিস। মানতে হবে ফিরেই ওর প্রোজেক্টের কাজ অথবা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়া। কারণ ওরই বা এখানে কি করার আছে? ও আমার জন্য অনেক করেছে। অনেক অঅঅনেক করেছে।
মানতেই হবে যে ও অনেক বড় ত্যাগ করেছে। ওর মায়ের কাছে মিথ্যা বলা কতটা কঠিন আমি সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। এর থেকে বেশি কিছু আমার আশা করাই অন্যায়। আমি এখন আর ওর প্রেমিকা নই। আমি ওর স্ত্রী। আমারও ওর উপর দায়িত্ব রয়েছে। আমি এখন ওর সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতে পারিনা। আমার এখন ওকে দেখে শুনে রাখতে হবে। ওর খেয়াল রাখা আমার একান্ত কর্তব্য।
অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে যে ওর প্রতি আমি এত আহ্লাদী আর আজ আমি এসব বলছি, এত বিজ্ঞ মানুষের মত কখা বলছি কিভাবে??? আসলে ‘স্বামী’ শব্দটার মারাত্মক শক্তি। একে পার করা চাট্টিখানি কথা নয়…….
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×